রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও আসন্ন রাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র জিএস প্রার্থী সালাহউদ্দিন আম্মারকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার স্থানীয়রা। মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা ফটকে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই ঘোষণা দেন তারা।
সালাহউদ্দিন আম্মার, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গত শনিবার তিনি অনুসারীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মাঈন উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান এবং ছাপাখানা কর্মকর্তা রবিউল ইসলামকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে 'মতিহারের সচেতন এলাকাবাসী' ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেটের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশ থেকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি সালাহউদ্দিন আম্মারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে স্থানীয়রাই তাকে প্রতিহত করবে।
কাজলা কেডি ক্লাবের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস ডলার সমাবেশে বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে হুঁশিয়ার করতে চাই, আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যা খুশি করবেন তা হবে না। আমরা এক না থাকলে কী হয়, তা আপনারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখেছেন। আপনারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে কলুষিত করলে তার দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।
ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল বাবু আরও কঠোর ভাষায় বলেন, শিক্ষক লাঞ্ছনার পর কয়েক দিন কেটে গেছে। ছাত্র নামের যেসকল সন্ত্রাসী জড়িত, তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে আমরা বিচার নিজের হাতেই তুলে নিব। আমরা ঘুমন্ত বাঘ, আমাদের জাগাবেন না। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে দখলদারিত্বের অভিযোগ এনে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে আপনারা যারা আছেন, তাঁরা দখলবাজ। তাই আপনাদের এই পরিণতি। দখলদারিত্ব থেকে বের হয়ে আপনারা মানবিক শিক্ষক হন, তাহলে এ ধরনের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটবে না।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কর্মচারী আলমগীর হোসেন ও মোঃ হায়দার আলী। এছাড়া মানববন্ধনে সম্মানীত বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মতিহার থানা বিএনপি সাবেক সভাপতি ও (২৮ নং ওয়ার্ড) সাবেক কাউন্সিলর মোঃ আনসার আলী ও রাবি সাবেক ছাত্রনেতা ও রাসিক (২৮ নং ওয়ার্ড) জনপ্রিয় সাবেক কাউন্সিলর মোঃ আশরাফুল হাসান বাচ্চু ।
এর আগে সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনেও একই কর্মসূচি পালিত হয়েছে এবং মঙ্গলবার বিকেলে বিনোদপুর বাজারে আরও একটি কর্মসূচি রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এর মধ্যে স্থানীয়রা কেন জড়াচ্ছেন, তা বুঝতে পারছি না। কারা, কী উদ্দেশ্যে এটি করছেন, তারই তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
এদিকে, গত শনিবারের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য শাটডাউন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন। এর জেরে ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকা রাকসু নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে ১৬ অক্টোবর।
এ ঘটনার জেরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ও অস্থিরতা বিরাজ করছে। স্থানীয়দের প্রতিবাদের মুখে এবং শিক্ষক-কর্মকর্তাদের শাটডাউন কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রমে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
সালাহউদ্দিন আম্মার, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গত শনিবার তিনি অনুসারীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মাঈন উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান এবং ছাপাখানা কর্মকর্তা রবিউল ইসলামকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে 'মতিহারের সচেতন এলাকাবাসী' ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেটের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশ থেকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি সালাহউদ্দিন আম্মারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে স্থানীয়রাই তাকে প্রতিহত করবে।
কাজলা কেডি ক্লাবের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস ডলার সমাবেশে বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে হুঁশিয়ার করতে চাই, আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যা খুশি করবেন তা হবে না। আমরা এক না থাকলে কী হয়, তা আপনারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখেছেন। আপনারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে কলুষিত করলে তার দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।
ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল বাবু আরও কঠোর ভাষায় বলেন, শিক্ষক লাঞ্ছনার পর কয়েক দিন কেটে গেছে। ছাত্র নামের যেসকল সন্ত্রাসী জড়িত, তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে আমরা বিচার নিজের হাতেই তুলে নিব। আমরা ঘুমন্ত বাঘ, আমাদের জাগাবেন না। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে দখলদারিত্বের অভিযোগ এনে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে আপনারা যারা আছেন, তাঁরা দখলবাজ। তাই আপনাদের এই পরিণতি। দখলদারিত্ব থেকে বের হয়ে আপনারা মানবিক শিক্ষক হন, তাহলে এ ধরনের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটবে না।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কর্মচারী আলমগীর হোসেন ও মোঃ হায়দার আলী। এছাড়া মানববন্ধনে সম্মানীত বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মতিহার থানা বিএনপি সাবেক সভাপতি ও (২৮ নং ওয়ার্ড) সাবেক কাউন্সিলর মোঃ আনসার আলী ও রাবি সাবেক ছাত্রনেতা ও রাসিক (২৮ নং ওয়ার্ড) জনপ্রিয় সাবেক কাউন্সিলর মোঃ আশরাফুল হাসান বাচ্চু ।
এর আগে সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনেও একই কর্মসূচি পালিত হয়েছে এবং মঙ্গলবার বিকেলে বিনোদপুর বাজারে আরও একটি কর্মসূচি রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এর মধ্যে স্থানীয়রা কেন জড়াচ্ছেন, তা বুঝতে পারছি না। কারা, কী উদ্দেশ্যে এটি করছেন, তারই তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
এদিকে, গত শনিবারের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য শাটডাউন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন। এর জেরে ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকা রাকসু নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে ১৬ অক্টোবর।
এ ঘটনার জেরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ও অস্থিরতা বিরাজ করছে। স্থানীয়দের প্রতিবাদের মুখে এবং শিক্ষক-কর্মকর্তাদের শাটডাউন কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রমে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।