আল্লাহর তাআলার দয়া ও তওফিক ছাড়া কেউ হেদায়াত লাভ করতে পারে না। আল্লাহ তাআলা দয়া করে যাদেরকে ইচ্ছা সঠিক পথ প্রদর্শন করেন, সঠিক পথে অবিচল থাকার তওফিক দান করেন, আবার অনেককে আল্লাহ তাআলা পথভ্রষ্ট করেন অর্থাৎ তারা নিজেদের দম্ভ, অহমিকা জুলুম ও পাপাচারের কারণে আল্লাহর অনুগ্রহ ও হেদায়াতের তওফিক থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়। তাই আল্লাহ তাআলার কাছে সব সময় নিজের ও পরিবারের সবার জন্য হেদায়াত এবং হেদায়াতের ওপর অবিচলতার জন্য দোয়া করা উচিত, পথভ্রষ্টতা থেকে আশ্রয়ের জন্য দোয়া করা উচিত। বিশেষত কারো স্বামী বা স্ত্রী যদি হেদায়াত থেকে দূরে থাকে, গুনাহের পথে থাকে, তাহলে তার জন্য বেশি বেশি দোয়া করা উচিত যেন আল্লাহ তাআলা তাকে হেদায়াত দান করেন। দ্বীনের পথে ফিরে আসার তওফিক দান করেন।
এখানে আমরা কোরআনে বর্ণিত কিছু দোয়া উল্লেখ করছি যা স্বামী বা স্ত্রীর হেদায়াতের জন্য পড়তে পারেন:
১. নিয়মিত এই দোয়া পড়ুন: (দোয়া পড়ার সময় নিজের ও স্বামী/ স্ত্রীর নিয়ত করুন)
اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ
উচ্চারণ: ইহদিনাস সিরাত্বাল মুসতাক্বিম।
অর্থ: আমাদেরকে সরল-সঠিক পথ দেখান। (সুরা ফাতেহা: ৬)
২. নিয়মিত এই দোয়া পড়ুন:
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
উচ্চারণ: রাব্বানা হাব লানা মিন আওয়াজিনা ওয়া যুররিয়্যাতিনা কুররাতা আইয়ুনিন ওয়া-জআলনা লিলমুত্তাকীনা ইমামা।
অর্থ: হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে এমন জীবনসঙ্গী ও সন্তানাদি দান করুন যারা আমাদের চক্ষু শীতল করবে। আর আপনি আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানিয়ে দিন। (সুরা ফুরকান: ৭৪)
৩. নিয়মিত এই দোয়া পড়ুন: (দোয়া পড়ার সময় নিজের ও স্বামী/ স্ত্রীর নিয়ত করুন)
رَبَّنَا لَا تُزِغۡ قُلُوۡبَنَا بَعۡدَ اِذۡ هَدَیۡتَنَا وَ هَبۡ لَنَا مِنۡ لَّدُنۡکَ رَحۡمَۃً اِنَّکَ اَنۡتَ الۡوَهَّابُ
উচ্চারণ: রাব্বানা লা তুযিগ কুলুবানা বা’দা ইজ হাদাইতানা ওয়া হাবলানা মিন লাদুনকা রাহমাতান ইন্নাকা আনতাল ওয়াহহাব
অর্থ: হে আমাদের রব, আপনি হেদায়াত দেওয়ার পর আমাদের অন্তরসমূহ বক্র করবেন না এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদেরকে রহমত দান করুন। নিশ্চয় আপনি মহাদাতা। (সুরা আলে ইমরান: ৮)
মুমিন আল্লাহ তাআলার কাছে যে কল্যাণকর দোয়া করে, তা কখনও ব্যর্থ হয় না। দোয়ার বদলা আল্লাহ তাআলা অবশ্যই দান করেন। তবে বিভিন্ন সময় দোয়ার প্রতিদান বিভিন্ন রকম হয়। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যখন কোনো মুমিন ব্যক্তি এমন দোয়া করে যে দোয়াতে কোনো পাপ ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয় নেই, তাহলে আল্লাহ তিন পদ্ধতির কোনো এক পদ্ধতিতে তার দোয়া কবুল করে নেন; হয়তো যে দোয়া সে করেছে তা ওইভাবেই কবুল করেন, তার দোয়ার প্রতিদান আখেরাতের জন্য সংরক্ষণ করেন অথবা এ দোয়ার মাধ্যমে তার ওপর আগত কোনো বিপদ তিনি দূর করে দেন। (বুখারি ফিল আদাবিল মুফরাদ)
এখানে আমরা কোরআনে বর্ণিত কিছু দোয়া উল্লেখ করছি যা স্বামী বা স্ত্রীর হেদায়াতের জন্য পড়তে পারেন:
১. নিয়মিত এই দোয়া পড়ুন: (দোয়া পড়ার সময় নিজের ও স্বামী/ স্ত্রীর নিয়ত করুন)
اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ
উচ্চারণ: ইহদিনাস সিরাত্বাল মুসতাক্বিম।
অর্থ: আমাদেরকে সরল-সঠিক পথ দেখান। (সুরা ফাতেহা: ৬)
২. নিয়মিত এই দোয়া পড়ুন:
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
উচ্চারণ: রাব্বানা হাব লানা মিন আওয়াজিনা ওয়া যুররিয়্যাতিনা কুররাতা আইয়ুনিন ওয়া-জআলনা লিলমুত্তাকীনা ইমামা।
অর্থ: হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে এমন জীবনসঙ্গী ও সন্তানাদি দান করুন যারা আমাদের চক্ষু শীতল করবে। আর আপনি আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানিয়ে দিন। (সুরা ফুরকান: ৭৪)
৩. নিয়মিত এই দোয়া পড়ুন: (দোয়া পড়ার সময় নিজের ও স্বামী/ স্ত্রীর নিয়ত করুন)
رَبَّنَا لَا تُزِغۡ قُلُوۡبَنَا بَعۡدَ اِذۡ هَدَیۡتَنَا وَ هَبۡ لَنَا مِنۡ لَّدُنۡکَ رَحۡمَۃً اِنَّکَ اَنۡتَ الۡوَهَّابُ
উচ্চারণ: রাব্বানা লা তুযিগ কুলুবানা বা’দা ইজ হাদাইতানা ওয়া হাবলানা মিন লাদুনকা রাহমাতান ইন্নাকা আনতাল ওয়াহহাব
অর্থ: হে আমাদের রব, আপনি হেদায়াত দেওয়ার পর আমাদের অন্তরসমূহ বক্র করবেন না এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদেরকে রহমত দান করুন। নিশ্চয় আপনি মহাদাতা। (সুরা আলে ইমরান: ৮)
মুমিন আল্লাহ তাআলার কাছে যে কল্যাণকর দোয়া করে, তা কখনও ব্যর্থ হয় না। দোয়ার বদলা আল্লাহ তাআলা অবশ্যই দান করেন। তবে বিভিন্ন সময় দোয়ার প্রতিদান বিভিন্ন রকম হয়। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যখন কোনো মুমিন ব্যক্তি এমন দোয়া করে যে দোয়াতে কোনো পাপ ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয় নেই, তাহলে আল্লাহ তিন পদ্ধতির কোনো এক পদ্ধতিতে তার দোয়া কবুল করে নেন; হয়তো যে দোয়া সে করেছে তা ওইভাবেই কবুল করেন, তার দোয়ার প্রতিদান আখেরাতের জন্য সংরক্ষণ করেন অথবা এ দোয়ার মাধ্যমে তার ওপর আগত কোনো বিপদ তিনি দূর করে দেন। (বুখারি ফিল আদাবিল মুফরাদ)