ঢাকা , শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫ , ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সবাইকে জুলাই সনদ সইয়ের ঐতিহাসিক মুহূর্তের অংশ হওয়ার আহ্বান ৯টি খাবারের মাধ্যমে শরীরে আয়রনের ঘাটতি মেটাতে পারেন সামান্থা, তামান্না, রাকুলের ‘ভোটার কার্ড’, জুবিলি হিল্‌স-এর উপ-নির্বাচনের আগে কী ঘটল নায়িকাদের সঙ্গে? রাকসু: মুন্নুজান হলের ফল ঘোষণা, ভিপি পদে এগিয়ে শিবির সমর্থিত প্রার্থী জুলাই সনদ স্বাক্ষর, চূড়ান্ত মুহূর্তেও অনিশ্চয়তা ধানের শীষের জয় নিশ্চিত করতে মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন হযরত ও হেনা শেষ পর্যন্ত তায়কোয়ানডো ক্যাম্প থেকে ছিটকে গেলেন স্বর্ণজয়ী দিপু চাকমা পুঠিয়ায় প্রকাশ্যে চলছে মাদক ব্যবসা, নির্বিকার প্রশাসন ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে সাংবাদিক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ লালপুরে ৮ম উপজেলা কাব ক্যাম্পুরীর উদ্বোধন সার সংকট হলে প্রয়োজনে ডিসি অফিস ঘেরাও করবেন- নিজ নির্বাচনী এলাকায় ফখরুল নিয়ামতপুরে ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের মানববন্ধন নওগাঁ জেলায় ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল এত অপকর্মের সাথে জড়িত বায়তুল মসজিদের খতিব পর্যন্ত পালিয়ে গেছে: মির্জা ফখরুল মোহনপুর কেশরহাটে যুবদলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত তানোরে আবারো শীর্ষে কলমা আইডিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজ মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে আটক ১২ ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত গ্রেপ্তার নোয়াখালীতে লাঠিখেলা-লোকগানে বিএনপির ৩১ দফা প্রচার হৃদয়ে পাবনার আয়োজনে ৬ দিনব্যাপি পাবনা উৎসব ও উদ্যোক্তা মেলা শুরু হয়েছে

স্বামীদেরকে আর্সেনিক খাইয়ে হত্যা করেছিল যে গ্রামে স্ত্রীরা

  • আপলোড সময় : ২৫-০৯-২০২৫ ০২:১৫:৪৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৫-০৯-২০২৫ ০২:১৫:৪৮ অপরাহ্ন
স্বামীদেরকে আর্সেনিক খাইয়ে হত্যা করেছিল যে গ্রামে স্ত্রীরা ছবি- সংগৃহীত
হাঙ্গেরির ছোট শহর সলনোক। ১৯২৯ সালের ডিসেম্বরে এখাকার একটি স্থানীয় আদালতে শুরু হয় চাঞ্চল্যকর এক বিচার। এই বিচারের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল নাগিরেভ গ্রাম, যেখানে স্বামীদের খাবারে আর্সেনিক বিষ মিশিয়ে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হন একের পর এক নারী। 

ওই সময় নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছিল, প্রায় ৫০ জন নারী এ মামলায় বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন। ১৯১১ থেকে ১৯২৯ সাল পর্যন্ত নাগিরেভে ৫০ জনেরও বেশি পুরুষকে আর্সেনিক খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে পত্রিকাটি উল্লেখ করে। 

পরবর্তীতে ‘এঞ্জেল মেকার’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠেন স্বামী হত্যাকারী ওই নারীরা। ‘এঞ্জেল মেকার’ অর্থ স্বামী বা শিশুকে হত্যা করে ‘পরলোকে পাঠানো’।

বিচারের সময়ে একটি নাম বারবার উঠে আসে; ঝুঝানা ফাজেকাশ। তিনি ছিলেন গ্রামের ধাত্রী। কিন্তু, চিকিৎসা ও রাসায়নিক বিষয়ে জ্ঞান থাকায় কার্যত স্থানীয় চিকিৎসকের ভূমিকা পালন করতেন ওই নারী। মূলত, স্থানীয় ডাক্তার বা পুরোহিতের অভাবেই গ্রামের নারীদের প্রধান ভরসা হয়ে ওঠেন তিনি।

২০০৪ সালে বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মারিয়া গুনিয়া নামে এক গবেষক বলেন, নারীরা ঘরের ভেতরের নির্যাতন, স্বামীদের হিংস্রতা আর অবিশ্বস্ততার কথা ফাজেকাশকে জানাতেন। তখন ফাজেকাশ বলতেন, ‘যদি সহ্য করতে না পারেন, আমার কাছে সমাধান আছে।

আর এই সমাধানটাই ছিল আর্সেনিক, যা ফাজেকাশ নিজেই তৈরি করতেন। পরবর্তী সময় যুক্তরাজ্যের দ্য টাইমস পত্রিকার তথ্যানুসারে, ফাজেকাশের বাড়ির বাগান থেকে পুঁতে রাখা বিষের শিশি উদ্ধার করা হয়। 

নাগিরেভ কুনসাগ অঞ্চলের তিজা নদীর তীরে একটি ছোট কৃষিপ্রধান বসতি। সেখানে কম বয়সী নারীদেরকে বয়সে বড় পুরুষদের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়া হতো। জমি, উত্তরাধিকার আর আইনি বাধ্যবাধকতা ওই সময়টায় বিবাহবিচ্ছেদকে অসম্ভব করে তুলেছিল। 

১৯১১ থেকে ১৯২৯ সালের মধ্যে গ্রামের কবরস্থানে ৫০ জনের বেশি পুরুষ সমাহিত হয়। সন্দেহ ঘনীভূত হলে মরদেহগুলো উত্তোলন করা হয় এবং ৫০টির মধ্যে ৪৬টি মরদেহেই আর্সেনিকের অস্তিত্ব মেলে।

পুলিশ ফাজেকাশকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তিনি আগেই নিজের কাছে রাখা বিষ পান করে আত্মহত্যা করেন। 

স্ত্রীর হাতে স্বামীকে আর্সেনিক প্রয়োগে প্রথম হত্যাকাণ্ডটি ঘটে ১৯১১ সালে। ওই বছর ফাজেকাশ গ্রামে আসেন। তবে, তাকে একা দায়ী করা হয়নি। ১৯২৯ সাল থেকে সলনোক শহরের আদালতে ২৬ জন নারীকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়। আটজনের মৃত্যুদণ্ড হয়, সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং বাকিরা বিভিন্ন মেয়াদে সাজা পান।

স্বামীকে হত্যার পেছনে ওই নারীদের উদ্দেশ্য নিয়ে নানা তত্ত্ব রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কারণ হলো দারিদ্র্য, লোভ, একঘেঁয়েমি এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় রুশ যুদ্ধবন্দিদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হওয়া। স্বামীরা ফিরে এসে কঠোর আচরণ শুরু করলে নারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে এমন পদক্ষেপ নেন বলে ধারণা করা হয়। 

কেবল নাগিরেভই নয়, কাছের টিজাকুর্ট শহর থেকেও মৃতদেহ উত্তোলনের পর আর্সেনিকের উপস্থিতি ধরা পড়ে। যদিও সেসব ঘটনায় কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায়নি। ধারণা করা হয়, পুরো অঞ্চলে মৃতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে।

আজ নাগিরেভের ভয়ংকর ইতিহাস অনেকটাই বিস্মৃত। তবে মারিয়া গুনিয়া বিদ্রূপ করে বলেন, এই ঘটনার পর থেকে পুরুষদের স্ত্রীদের প্রতি আচরণে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছিল।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Admin News

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
ধানের শীষের জয় নিশ্চিত করতে মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন হযরত ও হেনা

ধানের শীষের জয় নিশ্চিত করতে মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন হযরত ও হেনা