চলতি মৌসুমে চতুর্থবারের মতো রাজশাহী অঞ্চলের প্রধান নদ-নদী, যেমন পদ্মা, মহানন্দা, পুনর্ভবা এবং পাগলার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিপৎসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এর ফলে রাজশাহীর পদ্মাতীরবর্তী এলাকার নিম্নাঞ্চল ও ফসলি জমি আবারও তলিয়ে গেছে। অনেক বাড়িঘর ও স্থাপনা ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন যে কোনো নদীর পানি এখনও বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।
জানা গেছে, পদ্মার চরাঞ্চলের অল্প কিছু বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে যা বন্যাস্তরের নিচে ছিল। এছাড়া নদীতীরের নিচু জমিতে বপন করা মাষকলাইয়ের খেত সম্পূর্ণ ডুবে গেছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, গত জুলাই মাসের শুরুতে প্রথম দফায় নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পায়, যা মাসের শেষের দিকে কমতে শুরু করে। এরপর ৪ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় পানি বাড়তে শুরু করে এবং ১৩ আগস্ট পদ্মার পানি বিপৎসীমার মাত্র ৩১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। ১৫ আগস্ট পাঁচটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত করার পর পানি আবার কমতে শুরু করে।
তৃতীয় দফায় নদীগুলোর পানি সবচেয়ে বেশি বেড়ে অনেক স্থানে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, যা মানুষকে দীর্ঘ দুর্ভোগে ফেলে এবং পানি নেমে যেতে বেশ কয়েক দিন সময় লাগে। গত ২৭ আগস্ট থেকে আবারও পদ্মার পানি বাড়তে শুরু করে এবং ৫ সেপ্টেম্বর পদ্মা বিপৎসীমার ১০৫ সেন্টিমিটার নিচে ২১ মিটারে প্রবাহিত হয়ে কমতে থাকে। মহানন্দা তখন বিপৎসীমার ১৪৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
চতুর্থ দফায় গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে পদ্মার পানি বাড়তে শুরু করেছে। এক সপ্তাহে ৫৫ সেন্টিমিটার বা প্রায় ২ ফুট বেড়ে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিপৎসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বুধবার রাতে জেলা পাউবো উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মাহবুব রাশেল বলেন, ভারত থেকে আসা পানি ও বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার নদীগুলোর পানি মৌসুমে ৪ বার বাড়ল। চলতি দফায় আর তেমন বাড়ার সম্ভাবনা নেই। নদীর পানি ২-১ দিন সামান্য বাড়লেও এরপর স্থির হয়ে কমতে শুরু করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির কারণে পদ্মা ও মহানন্দার কয়েকটি পয়েন্টে চলমান ভাঙন এখন কম। তবে পানি নামতে শুরু করলে ভাঙন বাড়বে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. ইয়াসিন আলী স্বীকার করে বলেন, চতুর্থ দফায় নদীর পানি বৃদ্ধিতে নিচু জমির কিছু মাষকলাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। চলমান বৃষ্টিপাতও সমস্যা সৃষ্টি করছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিপৎসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এর ফলে রাজশাহীর পদ্মাতীরবর্তী এলাকার নিম্নাঞ্চল ও ফসলি জমি আবারও তলিয়ে গেছে। অনেক বাড়িঘর ও স্থাপনা ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন যে কোনো নদীর পানি এখনও বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।
জানা গেছে, পদ্মার চরাঞ্চলের অল্প কিছু বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে যা বন্যাস্তরের নিচে ছিল। এছাড়া নদীতীরের নিচু জমিতে বপন করা মাষকলাইয়ের খেত সম্পূর্ণ ডুবে গেছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, গত জুলাই মাসের শুরুতে প্রথম দফায় নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পায়, যা মাসের শেষের দিকে কমতে শুরু করে। এরপর ৪ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় পানি বাড়তে শুরু করে এবং ১৩ আগস্ট পদ্মার পানি বিপৎসীমার মাত্র ৩১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। ১৫ আগস্ট পাঁচটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত করার পর পানি আবার কমতে শুরু করে।
তৃতীয় দফায় নদীগুলোর পানি সবচেয়ে বেশি বেড়ে অনেক স্থানে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, যা মানুষকে দীর্ঘ দুর্ভোগে ফেলে এবং পানি নেমে যেতে বেশ কয়েক দিন সময় লাগে। গত ২৭ আগস্ট থেকে আবারও পদ্মার পানি বাড়তে শুরু করে এবং ৫ সেপ্টেম্বর পদ্মা বিপৎসীমার ১০৫ সেন্টিমিটার নিচে ২১ মিটারে প্রবাহিত হয়ে কমতে থাকে। মহানন্দা তখন বিপৎসীমার ১৪৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
চতুর্থ দফায় গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে পদ্মার পানি বাড়তে শুরু করেছে। এক সপ্তাহে ৫৫ সেন্টিমিটার বা প্রায় ২ ফুট বেড়ে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিপৎসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বুধবার রাতে জেলা পাউবো উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মাহবুব রাশেল বলেন, ভারত থেকে আসা পানি ও বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার নদীগুলোর পানি মৌসুমে ৪ বার বাড়ল। চলতি দফায় আর তেমন বাড়ার সম্ভাবনা নেই। নদীর পানি ২-১ দিন সামান্য বাড়লেও এরপর স্থির হয়ে কমতে শুরু করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির কারণে পদ্মা ও মহানন্দার কয়েকটি পয়েন্টে চলমান ভাঙন এখন কম। তবে পানি নামতে শুরু করলে ভাঙন বাড়বে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. ইয়াসিন আলী স্বীকার করে বলেন, চতুর্থ দফায় নদীর পানি বৃদ্ধিতে নিচু জমির কিছু মাষকলাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। চলমান বৃষ্টিপাতও সমস্যা সৃষ্টি করছে।