জাতিসংঘের গাজা বিষয়ক আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশনের প্রধান নাভি পিল্লাই বলেছেন, গাজার গণহত্যা রুয়ান্ডা গণহত্যার সাথে তুলনীয়। সেই সঙ্গে এই গণহত্যার জন্য ইসরাইলি নেতাদের একদিন কারাগারে ভরা হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
নাভি পিল্লাই নেতৃত্বাধীন জাতিসংঘের ইনডিপেন্ডেন্ট ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অব ইনকোয়ারি (সিওআই) গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) গাজা বিষয়ে এক বিস্ফোরক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
ওই তদন্ত প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, গাজায় ২৩ মাসের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর জাতিগত নিধন চালাচ্ছে ইসরাইল। প্রতিবেদনে এই জাতিগত নিধনের জন্য ইসরাইলের শীর্ষ নেতাদের দায়ী করা হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক বিচারক নাভি পিল্লাই ১৯৯৪ সালে সংঘটিত রুয়ান্ডা গণহত্যার বিচারে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের প্রধান ছিলেন এবং পরে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানের দায়িত্বও পালন করেন। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এএফপিকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, গাজা গণহত্যার জন্য ইসরাইলি নেতাদের বিচার করা হবে বলে জোর আশাবাদী।
সঙ্গে সঙ্গে তিনি এও স্বীকার করেন যে, ন্যায়বিচার ‘একটি ধীর প্রক্রিয়া’। দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার একটি কথার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘ম্যান্ডেলা বলেছিলেন, ‘কোনো কাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত সবসময় অসম্ভব মনে হয়’।
বিচার একদিন হবেই এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে পিল্লাই বলেন, ‘আমি মনে করি ভবিষ্যতে (ইসরাইলি নেতাদের) গ্রেফতার ও বিচার হবে, এটা অসম্ভব কিছু নয়।’
এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ও প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ গাজায় হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ ও উসকানি দেন বলে তদন্তে দেখা গেছে। তারা যেহেতু ইসরাইল রাষ্ট্রের কর্মকর্তা, তাই বলা যায় এই জাতিগত নিধন ইসরাইলই চালিয়েছে।
তবে বরাবরেই মতো জাতিসংঘের এই তদন্ত প্রতিবেদনকে ‘ভুয়া’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে ইসরাইল। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলে, হামাসের ‘মিথ্যাচার’র ওপর নির্ভর করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এই ‘বিকৃত ও মিথ্যা’ প্রতিবেদন ইসরাইল প্রত্যাখ্যান করছে।
নাভি পিল্লাই নেতৃত্বাধীন জাতিসংঘের ইনডিপেন্ডেন্ট ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অব ইনকোয়ারি (সিওআই) গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) গাজা বিষয়ে এক বিস্ফোরক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
ওই তদন্ত প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, গাজায় ২৩ মাসের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর জাতিগত নিধন চালাচ্ছে ইসরাইল। প্রতিবেদনে এই জাতিগত নিধনের জন্য ইসরাইলের শীর্ষ নেতাদের দায়ী করা হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক বিচারক নাভি পিল্লাই ১৯৯৪ সালে সংঘটিত রুয়ান্ডা গণহত্যার বিচারে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের প্রধান ছিলেন এবং পরে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানের দায়িত্বও পালন করেন। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এএফপিকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, গাজা গণহত্যার জন্য ইসরাইলি নেতাদের বিচার করা হবে বলে জোর আশাবাদী।
সঙ্গে সঙ্গে তিনি এও স্বীকার করেন যে, ন্যায়বিচার ‘একটি ধীর প্রক্রিয়া’। দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার একটি কথার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘ম্যান্ডেলা বলেছিলেন, ‘কোনো কাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত সবসময় অসম্ভব মনে হয়’।
বিচার একদিন হবেই এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে পিল্লাই বলেন, ‘আমি মনে করি ভবিষ্যতে (ইসরাইলি নেতাদের) গ্রেফতার ও বিচার হবে, এটা অসম্ভব কিছু নয়।’
এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ও প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ গাজায় হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ ও উসকানি দেন বলে তদন্তে দেখা গেছে। তারা যেহেতু ইসরাইল রাষ্ট্রের কর্মকর্তা, তাই বলা যায় এই জাতিগত নিধন ইসরাইলই চালিয়েছে।
তবে বরাবরেই মতো জাতিসংঘের এই তদন্ত প্রতিবেদনকে ‘ভুয়া’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে ইসরাইল। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলে, হামাসের ‘মিথ্যাচার’র ওপর নির্ভর করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এই ‘বিকৃত ও মিথ্যা’ প্রতিবেদন ইসরাইল প্রত্যাখ্যান করছে।