ঘরে ঘরে সর্দি-জ্বর। শ্বাসের সমস্যাও হচ্ছে। তা ছাড়া পরিবেশে দূষণ যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে শ্বাসকষ্টের সমস্যা। সিওপিডি রোগীরা বিলক্ষণ বোঝেন শ্বাসকষ্টের যন্ত্রণা। রাস্তায় বেরোলে ধুলো-ধোঁয়া, বিষাক্ত গ্যাসের জেরে ফুসফুসের নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ছোটরাও। বাড়ছে হাঁপানির টান। নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট, কাশি, শ্বাস নিতে গেলেই বুকে যন্ত্রণা, রাতে এই সমস্যা উত্তরোত্তর বেড়ে যাওয়া— এই হল হাঁপানির মূল উপসর্গ। হাঁপানির টান উঠলে স্বভাবতই কষ্ট বাড়ে। এই সময়ে তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েকগুণ বাড়িয়ে রাখা উচিত। বিশেষ করে ফুসফুসের জোর বাড়াতে হবে। তার জন্য কিছু যোগাসন নিয়ম করে অভ্যাস করা ভাল।
ফুসফুসে বাতাস বহনকারী সরু সরু টিউবের মতো অজস্র নালি আছে। অ্যালার্জি ও অন্যান্য কারণে সূক্ষ শ্বাসনালিগুলির মাংসপেশি সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। ঠিকমতো বাতাস চলাচল করতে পারে না। শরীর প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পায় না। আর এর ফলে শ্বাসকষ্ট-সহ নানা শারীরিক সমস্যা শুরু হয়। এই সমস্যার সমাধান কেবল ওষুধ বা ইনহেলারে সম্ভব নয়। তার জন্য নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করাও জরুরি। যোগাসন প্রশিক্ষকেরা বলেন নিয়ম করে উষ্ট্রাসন করলে ফুসফুসের জোর বাড়বে। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাও কমবে।
উষ্ট্রাসন কী ভাবে করবেন?
১) প্রথমে ম্যাটের উপর হাঁটু মুড়ে বসুন।
২) এ বার পিছনের দিকে খানিকটা হেলে হাত দু’টি দিয়ে গোড়ালি ধরুন।
৩) এর পর মাথা পিছনের দিকে ঝুলিয়ে দিয়ে ধীরে ধীরে পেটের অংশট সামনের দিকে এগিয়ে দিন।
৪) ডান হাতের বুড়ো আঙুলটি ডান দিকের গোড়ালির ভিতর দিকে রেখে বাকি সব আঙুল বাইরের দিকে রাখুন। বাঁ দিকের ক্ষেত্রেও একই ভাবে রাখুন। পায়ের পাতা মাটিতে থাকবে।
৫) আসনটি করার সময় স্বাভাবিক ভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিন। ২০-৩০ সেকেন্ড থেকে আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসুন।
উপকারিতা
• এই আসন শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করে, মেরুদণ্ডকে শক্তপোক্ত করে।
• পিঠ, কোমর, হাত ও পায়ের পেশিকে শক্তিশালী করে তোলে।
• ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এই আসন। নিয়মিত অভ্যাসে শ্বাসজনিত যে কোনও অসুখ থেকে রেহাই মিলবে।
• মনের অস্থিরতা কমায়, মনঃসংযোগে সাহায্য করে।
• শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও এই আসন উপযোগী।
কারা করবেন না?
বাতজনিত সমস্যা থাকলে, হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হলে এই আসন করা যাবে না।
হার্নিয়ার অস্ত্রোপচার হলে আসনটি না করাই ভাল।
প্রশিক্ষকের পরামর্শ ছাড়া অন্তঃসত্ত্বারা এই আসন করবেন না।
ফুসফুসে বাতাস বহনকারী সরু সরু টিউবের মতো অজস্র নালি আছে। অ্যালার্জি ও অন্যান্য কারণে সূক্ষ শ্বাসনালিগুলির মাংসপেশি সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। ঠিকমতো বাতাস চলাচল করতে পারে না। শরীর প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পায় না। আর এর ফলে শ্বাসকষ্ট-সহ নানা শারীরিক সমস্যা শুরু হয়। এই সমস্যার সমাধান কেবল ওষুধ বা ইনহেলারে সম্ভব নয়। তার জন্য নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করাও জরুরি। যোগাসন প্রশিক্ষকেরা বলেন নিয়ম করে উষ্ট্রাসন করলে ফুসফুসের জোর বাড়বে। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাও কমবে।
উষ্ট্রাসন কী ভাবে করবেন?
১) প্রথমে ম্যাটের উপর হাঁটু মুড়ে বসুন।
২) এ বার পিছনের দিকে খানিকটা হেলে হাত দু’টি দিয়ে গোড়ালি ধরুন।
৩) এর পর মাথা পিছনের দিকে ঝুলিয়ে দিয়ে ধীরে ধীরে পেটের অংশট সামনের দিকে এগিয়ে দিন।
৪) ডান হাতের বুড়ো আঙুলটি ডান দিকের গোড়ালির ভিতর দিকে রেখে বাকি সব আঙুল বাইরের দিকে রাখুন। বাঁ দিকের ক্ষেত্রেও একই ভাবে রাখুন। পায়ের পাতা মাটিতে থাকবে।
৫) আসনটি করার সময় স্বাভাবিক ভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিন। ২০-৩০ সেকেন্ড থেকে আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসুন।
উপকারিতা
• এই আসন শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করে, মেরুদণ্ডকে শক্তপোক্ত করে।
• পিঠ, কোমর, হাত ও পায়ের পেশিকে শক্তিশালী করে তোলে।
• ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এই আসন। নিয়মিত অভ্যাসে শ্বাসজনিত যে কোনও অসুখ থেকে রেহাই মিলবে।
• মনের অস্থিরতা কমায়, মনঃসংযোগে সাহায্য করে।
• শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও এই আসন উপযোগী।
কারা করবেন না?
বাতজনিত সমস্যা থাকলে, হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হলে এই আসন করা যাবে না।
হার্নিয়ার অস্ত্রোপচার হলে আসনটি না করাই ভাল।
প্রশিক্ষকের পরামর্শ ছাড়া অন্তঃসত্ত্বারা এই আসন করবেন না।