ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রাকসু নির্বাচনে জিএস প্রার্থী সিংড়ার সোয়াইব রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ইতিহাস গড়লেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার না বুঝে অনেক কাজ করে ফেলেছি : চমক বাগমারায় চাঁদা না পেয়ে মারধর, তাঁতী দলের নেতা গ্রেপ্তার ভারতে সেনাবাহিনীর মতো ইউনিফর্ম পরে ব্যাংক থেকে ২০ কোটি রুপির স্বর্ণ লুট সব প্রকল্পের টেন্ডার অনলাইনে হবে: পরিকল্পনা উপদেষ্টা ‘আন্টি’ নয়, ছেলের বন্ধুরা আমাকে ‘দিদি’ বলে ডাকে: শ্রাবন্তী চট্টগ্রামে সিলিন্ডারের গুদামে বিস্ফোরণে ১০ জন দগ্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির বিশেষ নির্দেশনা আফগানিস্তানকে হারিয়ে সুপার ফোরের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ ঈশ্বরদীতে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু ‘আমার লাশটা মায়ের কাছে পাঠিয়ে দিয়েন’ –চিরকুট লিখে রাজধানীতে যুবকের আত্মহত্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে নাহিদ ইসলাম অসুস্থতায় যে দোয়া পড়লে সব গুনাহ মাফ হয়ে যায় সব নবীকেই যে আদেশ দিয়েছেন আল্লাহ তায়ালা নওগাঁয় ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালের শেয়ার হোল্ডারদের মতবিনিময় ১৭ বিয়ে করা সেই বন কর্মকর্তাকে পাঠানো হলো বনবাসে! হবিগঞ্জে যাত্রীবাহী বাসচাপায় মা-ছেলে নিহত জামালপুরে দুই কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন ডিভোর্স ও মেইনটেন্যান্স, বাংলাদেশের আইনে নারীর অধিকার

১৫ বছরের দুঃশাসনের পুনরাবৃত্তি আর না হোক, ট্রাইব্যুনালে মাহমুদুর রহমান

  • আপলোড সময় : ১৬-০৯-২০২৫ ০৫:১৪:৩৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৬-০৯-২০২৫ ০৫:১৪:৩৬ অপরাহ্ন
১৫ বছরের দুঃশাসনের পুনরাবৃত্তি আর না হোক, ট্রাইব্যুনালে মাহমুদুর রহমান ছবি- সংগৃহীত
জুলাই গণহত্যার বিচারের মাধ্যমে নিশ্চিত হোক যেন বাংলাদেশে গত ১৫ বছরের দুঃশাসনের পুনরাবৃত্তি আর না হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দ্বিতীয় দিনের মতো দেওয়া সাক্ষ্যে এ কথা বলেছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ১২টায় ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে তার অবশিষ্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ট্রাইব্যুনালের বাকি সদস্যরা হলেন– বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

জবানবন্দির শেষ পর্যায়ে মাহমুদুর রহমান বলেন, আমি একজন সাংবাদিক, লেখক ও ইতিহাস গবেষক হিসেবে গত ১৬ বছর ধরে এই ফ্যাসিস্ট শাসনের উত্থান, বিকাশ ও পতন প্রত্যক্ষ করেছি। অনবরত লেখালেখিসহ বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বক্তব্য দিয়ে জনগণকে অবহিত করার চেষ্টা করেছি। আমি চাই অপরাধীরা সাজা পাক। ন্যায়বিচার পেলে প্রায় ১৪০০ শহীদ ও ২০ হাজার আহত পরিবারের শোক কিছুটা হলেও লাঘব হবে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট শাসনের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা গেলে ভবিষ্যতে আসা সরকাররাও সতর্ক হবে বলে প্রত্যাশা করি। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যেভাবে হিটলারকে বলা হয়েছিল ‘নেভার অ্যাগেইন’, বাংলাদেশেও এই বিচারের মাধ্যমে আমরা চাই ফ্যাসিস্ট শাসনের আগমন না ঘটুক। নিশ্চিত হোক যেন গত ১৫ বছরের দুঃশাসনের পুনরাবৃত্তি আর না হয়।

সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে জেরা শুরু করেন শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। যা এখনো চলমান রয়েছে।

এদিকে, শেখ হাসিনার এ মামলায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা রয়েছে আজ। এরই মধ্যে তিনি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়েছেন। তবে মাহমুদুর রহমানকে স্টেট ডিফেন্স আইনজীবীর জেরা শেষ না হলে নাহিদের সাক্ষ্যগ্রহণের সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।

এদিন সকালে কারাগার থেকে এ মামলার অন্যতম আসামি থেকে রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। তার উপস্থিতিতেই চলছে ১৬তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ।

এর আগে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা ২০ মিনিট থেকে বিকেল পর্যন্ত ১৫তম দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ চলে ট্রাইব্যুনালে। ওইদিন ৪৬তম সাক্ষী হিসেবে মাহমুদুর রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ না হওয়ায় আজ পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।

গত ৯ সেপ্টেম্বর ১৪তম দিনের মতো এ মামলায় ছয়জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত মোট ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ রেকর্ড করেছেন ট্রাইব্যুনাল। ৮ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য দেন তিনজন।

গত ২ সেপ্টেম্বর ৩৬ নম্বর সাক্ষ্য দিয়েছেন চৌধুরী মামুন। তার জেরা শেষ হয় ৪ সেপ্টেম্বর। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে জুলাই-আগস্টে গণহত্যা চালানো হয়েছে জানিয়ে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। একইসঙ্গে অজানা অনেক তথ্য ট্রাইব্যুনালের সামনে এনেছেন। ১ সেপ্টেম্বর দশম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। এদিন জবানবন্দি দিয়েছেন ছয়জন। এর মধ্যে চিকিৎসক-সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শী রয়েছেন।

সাক্ষীদের জবানবন্দিতে গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দেশজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালানোর বীভৎস বর্ণনা উঠে এসেছে। আর এসবের জন্য দায়ী করে শেখ হাসিনা, কামালসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরা।

গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন।

আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দ তালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার রয়েছে। সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন ৮১ জন। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Admin News

কমেন্ট বক্স
বাগমারায় চাঁদা না পেয়ে মারধর, তাঁতী দলের নেতা গ্রেপ্তার

বাগমারায় চাঁদা না পেয়ে মারধর, তাঁতী দলের নেতা গ্রেপ্তার