একসময় পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে ভাঙন ধরাত যে পরকীয়া, তা-ই এখন আধুনিক প্রযুক্তির হাত ধরে এক নতুন ব্যবসার দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
প্রচলিত দাম্পত্য সম্পর্কের বাইরে 'কিছুটা বেশি' চাওয়ার এই প্রবণতা এখন হাতের স্মার্টফোনে জায়গা করে নিয়েছে। সম্প্রতি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও এবং বিভিন্ন প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক তৈরির অ্যাপ ‘গ্লিডেন’-এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ভারতে হু হু করে বাড়ছে, যা বিতর্ক সৃষ্টি করলেও এর জনপ্রিয়তাকে আটকাতে পারেনি।
গ্লিডেন: এক বিতর্কিত অ্যাপের কার্যকারিতা
‘গ্লিডেন’ মূলত বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী ব্যক্তিদের জন্য তৈরি একটি প্ল্যাটফর্ম। অ্যাপটি মহিলাদের কথা মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে বলে জানা যায়। মহিলারা যেখানে বিনামূল্যে সাইন আপ করে "সম্পূর্ণ গোপন সম্পর্কের" জন্য সুযোগ পান, সেখানে পুরুষদের জন্য রয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ এবং মোটা অঙ্কের খরচ। বার্তা পড়া, ভার্চুয়াল উপহার পাঠানো সহ প্রতিটি পদক্ষেপের জন্য পুরুষদের আলাদা করে টাকা দিতে হয়, যার ন্যূনতম খরচ শুরু হয় ১,৮০০ টাকা থেকে।
তবে, অ্যাপটি পুরুষদের জন্যও সম্পূর্ণ গোপনীয়তা নিশ্চিত করে। ব্যাঙ্কের স্টেটমেন্টে লেনদেনের নাম ‘গুগল জিডি মিডিয়া’ হিসেবে দেখানো হয়, যাতে ব্যবহারকারীরা ধরা না পড়েন। এছাড়াও, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অ্যাপটিতে একটি ‘কুইক-এক্সিট’ বোতামও রয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের দ্রুত লগ-আউট করতে সাহায্য করে। এই সুবিধাগুলোর কারণেই এক ব্যক্তি এই অ্যাপকে "পরকীয়ার স্টেরয়েড" বলে মন্তব্য করেছেন।
ভারতে বাড়ছে ব্যবহারকারীর সংখ্যা: কোন শহর এগিয়ে?
‘মানি কন্ট্রোল’-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্লিডেনের মূল উদ্দেশ্য নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, ভারতে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা আকাশছোঁয়া। বর্তমানে প্ল্যাটফর্মটিতে প্রায় ৩০ লক্ষ ভারতীয় ব্যবহারকারী রয়েছেন, যা ২০২৪ সালের তুলনায় ২৭০ শতাংশ বেশি। সদস্যদের মধ্যে মহিলাদের হার এখন ৫৮ শতাংশ। প্রায় ৪০ শতাংশ ব্যবহারকারী প্রতিদিন গড়ে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত এই প্ল্যাটফর্মে সময় কাটান, যাদের অধিকাংশই ৩০ থেকে ৪৫ বছর বয়সি। ডিজিটাল পরকীয়ায় মেট্রো শহরগুলিই এগিয়ে। ব্যবহারকারীর নিরিখে বেঙ্গালুরু (২০%) শীর্ষে রয়েছে, এরপরই মুম্বই (১৯%), কলকাতা (১৮%) এবং দিল্লি (১৫%)।
শুধুই কি গ্লিডেন?
শুধু গ্লিডেন নয়, বিশ্বজুড়ে পরিচিত অন্য একটি বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরির প্ল্যাটফর্ম, ‘অ্যাশলি ম্যাডিসন’-এর তথ্যও একই প্রবণতা তুলে ধরে। তাদের মতে, ভারত তাদের দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকা একটি বাজার। জুন মাসের তথ্য অনুযায়ী, তামিলনাড়ুর কাঞ্চীপুরম শহরে সাইন-আপের হার দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ, যা দিল্লি বা মুম্বইয়ের মতো মেট্রো শহরকেও ছাপিয়ে গেছে। এই তথ্য থেকে স্পষ্ট যে, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের এই প্রবণতা এখন আর শুধু বড় শহরে সীমাবদ্ধ নেই, বরং দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শহরগুলিতেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
প্রচলিত দাম্পত্য সম্পর্কের বাইরে 'কিছুটা বেশি' চাওয়ার এই প্রবণতা এখন হাতের স্মার্টফোনে জায়গা করে নিয়েছে। সম্প্রতি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও এবং বিভিন্ন প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক তৈরির অ্যাপ ‘গ্লিডেন’-এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ভারতে হু হু করে বাড়ছে, যা বিতর্ক সৃষ্টি করলেও এর জনপ্রিয়তাকে আটকাতে পারেনি।
গ্লিডেন: এক বিতর্কিত অ্যাপের কার্যকারিতা
‘গ্লিডেন’ মূলত বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী ব্যক্তিদের জন্য তৈরি একটি প্ল্যাটফর্ম। অ্যাপটি মহিলাদের কথা মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে বলে জানা যায়। মহিলারা যেখানে বিনামূল্যে সাইন আপ করে "সম্পূর্ণ গোপন সম্পর্কের" জন্য সুযোগ পান, সেখানে পুরুষদের জন্য রয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ এবং মোটা অঙ্কের খরচ। বার্তা পড়া, ভার্চুয়াল উপহার পাঠানো সহ প্রতিটি পদক্ষেপের জন্য পুরুষদের আলাদা করে টাকা দিতে হয়, যার ন্যূনতম খরচ শুরু হয় ১,৮০০ টাকা থেকে।
তবে, অ্যাপটি পুরুষদের জন্যও সম্পূর্ণ গোপনীয়তা নিশ্চিত করে। ব্যাঙ্কের স্টেটমেন্টে লেনদেনের নাম ‘গুগল জিডি মিডিয়া’ হিসেবে দেখানো হয়, যাতে ব্যবহারকারীরা ধরা না পড়েন। এছাড়াও, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অ্যাপটিতে একটি ‘কুইক-এক্সিট’ বোতামও রয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের দ্রুত লগ-আউট করতে সাহায্য করে। এই সুবিধাগুলোর কারণেই এক ব্যক্তি এই অ্যাপকে "পরকীয়ার স্টেরয়েড" বলে মন্তব্য করেছেন।
ভারতে বাড়ছে ব্যবহারকারীর সংখ্যা: কোন শহর এগিয়ে?
‘মানি কন্ট্রোল’-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্লিডেনের মূল উদ্দেশ্য নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, ভারতে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা আকাশছোঁয়া। বর্তমানে প্ল্যাটফর্মটিতে প্রায় ৩০ লক্ষ ভারতীয় ব্যবহারকারী রয়েছেন, যা ২০২৪ সালের তুলনায় ২৭০ শতাংশ বেশি। সদস্যদের মধ্যে মহিলাদের হার এখন ৫৮ শতাংশ। প্রায় ৪০ শতাংশ ব্যবহারকারী প্রতিদিন গড়ে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত এই প্ল্যাটফর্মে সময় কাটান, যাদের অধিকাংশই ৩০ থেকে ৪৫ বছর বয়সি। ডিজিটাল পরকীয়ায় মেট্রো শহরগুলিই এগিয়ে। ব্যবহারকারীর নিরিখে বেঙ্গালুরু (২০%) শীর্ষে রয়েছে, এরপরই মুম্বই (১৯%), কলকাতা (১৮%) এবং দিল্লি (১৫%)।
শুধুই কি গ্লিডেন?
শুধু গ্লিডেন নয়, বিশ্বজুড়ে পরিচিত অন্য একটি বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরির প্ল্যাটফর্ম, ‘অ্যাশলি ম্যাডিসন’-এর তথ্যও একই প্রবণতা তুলে ধরে। তাদের মতে, ভারত তাদের দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকা একটি বাজার। জুন মাসের তথ্য অনুযায়ী, তামিলনাড়ুর কাঞ্চীপুরম শহরে সাইন-আপের হার দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ, যা দিল্লি বা মুম্বইয়ের মতো মেট্রো শহরকেও ছাপিয়ে গেছে। এই তথ্য থেকে স্পষ্ট যে, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের এই প্রবণতা এখন আর শুধু বড় শহরে সীমাবদ্ধ নেই, বরং দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শহরগুলিতেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।