নওগাঁয় স্ত্রী হত্যা মামলার মূল হোতা আসামি তানভীরকে মামলা দায়েরের মাত্র ২২ ঘণ্টার মধ্যে র্যাব-৫ ও র্যাব-৯ এর যৌথ অভিযানে সিলেট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নিহত গৃহবধূর মায়ের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে এই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মামলার বরাত দিয়ে জানা যায়, নওগাঁ সদর উপজেলার ভিকটিমের (নিহত) প্রথম বিয়ে হয়েছিল মোঃ মাসুদ (২৮) এর সাথে ৫ বছর আগে। গাজীপুরে গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে কাজ করার সময় ভিকটিমের সাথে শ্রীপুর বাজারের “তাবিবা বস্ত্রালয়” এর মালিক মোঃ তানভীর আহমেদ (২৬) এর পরিচয় হয়। তানভীর ভিকটিমকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এবং প্রথম স্বামীকে তালাক দিতে প্ররোচিত করে। গত ২৯/০৪/২০২৪ তারিখে তানভীর ভিকটিমকে বিয়ে করে। বিয়ের পর ভিকটিম জানতে পারেন তানভীরের পূর্বের স্ত্রী ও দুটি সন্তান রয়েছে। এই নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে তানভীর ভিকটিমকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। অতিষ্ঠ হয়ে ভিকটিম তানভীরকে তালাক দেন।
পরবর্তীতে তানভীর মোবাইল ফোনে ভিকটিমের কাছে ক্ষমা চাইলে গত ২০/০২/২০২৫ তারিখে তারা নওগাঁ কোর্টে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন এবং গাজীপুরে চলে যান। তানভীর মাদকাসক্ত হওয়ায় এবং পূর্বের স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ রাখায় আবারও তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। গত ০৯/০৫/২০২৫ তারিখে তানভীর ভিকটিমকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এরপর ভিকটিম নওগাঁ কোর্টে তানভীরের বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইন ও খোরপোষ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর তানভীর আপোষের চেষ্টা করতে থাকে।
গত ১১/০৯/২০২৫ তারিখে ভিকটিম ও তার মা নওগাঁ কোর্টে মামলার হাজিরার জন্য বাড়ি থেকে রওনা হন। সকাল আনুমানিক ০৯:৪০ ঘটিকার সময় নওগাঁ সদর মডেল থানাধীন ভাবানীপুর কাঠালতলী মোড়স্থ “রাহী রুহি এন্টারপ্রাইজ” দোকানঘরের পিছন দিয়ে মূল রাস্তায় ওঠার সময় পূর্ব থেকে ওঁত পেতে থাকা তানভীর এবং তার অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন সহযোগী তাদের পথরোধ করে। তারা ভিকটিমকে মামলা তুলে নিতে এবং সৎিনকে মেনে নিয়ে ভাড়া বাসায় যেতে জোর করে। ভিকটিম তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তানভীর তার কাছে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে ভিকটিমের পেট, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি আঘাত করে গুরুতর জখম করে। ভিকটিমের মায়ের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা একটি প্রাইভেট কারে করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের সহায়তায় ভিকটিমকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ভিকটিমের মা বাদী হয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানায় তানভীরকে প্রধান আসামি এবং আরও ২/৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা (মামলা নং-২৮, তারিখ ১২/০৯/২০২৫, ধারাঃ ৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০) দায়ের করেন।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে র্যাব-৫, সদর কোম্পানি, রাজশাহী ও র্যাব-৯, সদর কোম্পানি, সিলেট যৌথভাবে ছায়া তদন্ত শুরু করে। গোপন সংবাদ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রবিবার ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিলেট জেলার জৈন্তাপুর থানাধীন চৈলাখেল নিজপাট গ্রামস্থ জনৈক আবুল হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি মোঃ তানভীর চৌধুরী (২৬), পিতা-মোঃ বাবুল চৌধুরী, সাং-সারদাগঞ্জ, থানা-কাশিমপুর, জেলা-গাজীপুরকে হত্যায় ব্যবহৃত প্রাইভেট কারসহ গ্রেফতার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি তানভীর এই হত্যাকাণ্ডে তার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে নওগাঁ সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিহত গৃহবধূর মায়ের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে এই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মামলার বরাত দিয়ে জানা যায়, নওগাঁ সদর উপজেলার ভিকটিমের (নিহত) প্রথম বিয়ে হয়েছিল মোঃ মাসুদ (২৮) এর সাথে ৫ বছর আগে। গাজীপুরে গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে কাজ করার সময় ভিকটিমের সাথে শ্রীপুর বাজারের “তাবিবা বস্ত্রালয়” এর মালিক মোঃ তানভীর আহমেদ (২৬) এর পরিচয় হয়। তানভীর ভিকটিমকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এবং প্রথম স্বামীকে তালাক দিতে প্ররোচিত করে। গত ২৯/০৪/২০২৪ তারিখে তানভীর ভিকটিমকে বিয়ে করে। বিয়ের পর ভিকটিম জানতে পারেন তানভীরের পূর্বের স্ত্রী ও দুটি সন্তান রয়েছে। এই নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে তানভীর ভিকটিমকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। অতিষ্ঠ হয়ে ভিকটিম তানভীরকে তালাক দেন।
পরবর্তীতে তানভীর মোবাইল ফোনে ভিকটিমের কাছে ক্ষমা চাইলে গত ২০/০২/২০২৫ তারিখে তারা নওগাঁ কোর্টে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন এবং গাজীপুরে চলে যান। তানভীর মাদকাসক্ত হওয়ায় এবং পূর্বের স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ রাখায় আবারও তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। গত ০৯/০৫/২০২৫ তারিখে তানভীর ভিকটিমকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এরপর ভিকটিম নওগাঁ কোর্টে তানভীরের বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইন ও খোরপোষ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর তানভীর আপোষের চেষ্টা করতে থাকে।
গত ১১/০৯/২০২৫ তারিখে ভিকটিম ও তার মা নওগাঁ কোর্টে মামলার হাজিরার জন্য বাড়ি থেকে রওনা হন। সকাল আনুমানিক ০৯:৪০ ঘটিকার সময় নওগাঁ সদর মডেল থানাধীন ভাবানীপুর কাঠালতলী মোড়স্থ “রাহী রুহি এন্টারপ্রাইজ” দোকানঘরের পিছন দিয়ে মূল রাস্তায় ওঠার সময় পূর্ব থেকে ওঁত পেতে থাকা তানভীর এবং তার অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন সহযোগী তাদের পথরোধ করে। তারা ভিকটিমকে মামলা তুলে নিতে এবং সৎিনকে মেনে নিয়ে ভাড়া বাসায় যেতে জোর করে। ভিকটিম তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তানভীর তার কাছে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে ভিকটিমের পেট, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি আঘাত করে গুরুতর জখম করে। ভিকটিমের মায়ের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা একটি প্রাইভেট কারে করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের সহায়তায় ভিকটিমকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ভিকটিমের মা বাদী হয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানায় তানভীরকে প্রধান আসামি এবং আরও ২/৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা (মামলা নং-২৮, তারিখ ১২/০৯/২০২৫, ধারাঃ ৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০) দায়ের করেন।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে র্যাব-৫, সদর কোম্পানি, রাজশাহী ও র্যাব-৯, সদর কোম্পানি, সিলেট যৌথভাবে ছায়া তদন্ত শুরু করে। গোপন সংবাদ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রবিবার ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিলেট জেলার জৈন্তাপুর থানাধীন চৈলাখেল নিজপাট গ্রামস্থ জনৈক আবুল হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি মোঃ তানভীর চৌধুরী (২৬), পিতা-মোঃ বাবুল চৌধুরী, সাং-সারদাগঞ্জ, থানা-কাশিমপুর, জেলা-গাজীপুরকে হত্যায় ব্যবহৃত প্রাইভেট কারসহ গ্রেফতার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি তানভীর এই হত্যাকাণ্ডে তার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে নওগাঁ সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।