ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ , ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আওয়ামীলীগের লগি বৈঠার তান্ডবে নিরীহ মানুষ হত্যার বিচার দাবি মোহনপুরে জামায়াতে ইসলামী বিক্ষোভ ও সমাবেস ২৮ অক্টোবর পল্টন হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজশাহীতে জামায়াতের সমাবেশ তৃতীয় ব্যক্তিকে শরীর দেওয়া যায়, মন দিলেই অন্যায়! কাজল-টুইঙ্কলের বক্তব্যে বিতর্ক ৩০ হওয়ার আগেই অবসর নেবেন ভেবেছিলেন তমন্না নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে দ্রুত বডি-ওর্ন ক্যামেরা ক্রয়ের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার দুই জেলায় এস আলমের ১৪২২ বিঘা জমি জব্দের আদেশ নিয়ামতপুরে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত পত্নীতলায় দেশি বীজ বিনিময় উৎসব অনুষ্ঠিত বাংলাদেশকে কটাক্ষ করে নির্বাচনি প্রচারণা, বর্ণবাদের অভিযোগ ভারতে ব্রাজিলীয় মডেলকে যৌন হয়রানি, আটক ১ শক্তি বাড়িয়ে উপকূলের আরও কাছে ঘূর্ণিঝড় মেলিসা রাষ্ট্রীয়ভাবে স্মরণ করা হবে হুমায়ূন আহমেদকে, জানালেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা ছড়িয়ে পড়েছে চিরঞ্জীবীর ‘নগ্ন ভিডিও’, যা জানা গেল পঞ্চগড়ে দেশীয় পিস্তল-গুলি জব্দ জামায়াত প্রার্থীর মাইক ছিনিয়ে নিলো নিজ দলীয় নেতাকর্মীরা ভাতিজা চাচিকে বিয়ে করে ফেসবুকে পোস্ট খুলনায় অন্তঃসত্ত্বা নারীর পেটে লাথি, গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যু বগুড়ায় মোটরসাইকেলে এসে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা সংঘর্ষে উল্টে গেল ট্রেনের ইঞ্জিন ও ট্রাক, নিহত ১

আমি নাকি বিয়ে নিয়ে খুব প্রেশার দিই ওকে

  • আপলোড সময় : ১৪-০৯-২০২৫ ০১:৫৮:৩১ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৪-০৯-২০২৫ ০১:৫৮:৩১ পূর্বাহ্ন
আমি নাকি বিয়ে নিয়ে খুব প্রেশার দিই ওকে আমি নাকি বিয়ে নিয়ে খুব প্রেশার দিই ওকে
অনার্স শেষে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় মাস না যেতেই জীবনটা জাহান্নামে পরিনত হয়। সাড়ে তিনটা বছর আল্লাহর ওপর ভরসা করে নিজের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেও সংসার টিকিয়ে রাখতে না পেরে চলে আসি।

খুব কঠিন একটা সময় পার করেছি তখন। ডিপ্রেশন ছিল, মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছিলাম। প্রায় চার বছর গ্যাপে এসে পড়ালেখা শুরু করি জবের, আলহামদুলিল্লাহ এখন একটা সম্মানজনক সরকারি জব করি।

আমার একজন বন্ধু ছিলেন, যে ডিভোর্স থেকে শুরু করে জব পাওয়া সব স্ট্রাগল ই জানতো আমার।  ২০২৪ এর জানুয়ারিতে সে আমাকে প্রথম বিয়ের কথা বলে। আমি আমার ডিভোর্স এর ব্যাপারে তার পরিবার রাজি হবে কিনা জানতে চাইলে সে বলেছিল তার ফ্যামিলি তে সে যা বলে সবাই মেনে নেয়, তার কথার ভ্যালু তার মায়ের কাছে অনেক।
মানুষ টা আমাকে খুব বুঝতো, আমাকে খুব স্পেশাল ফিল করাতো, আমার কেন জানি মনে হতো তার সাথে আমি খুব শান্তিতে থাকতে পারবো। 
আমি তাকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যাই। তবে তার একটা শর্ত ছিল, তার বড় বোনের এখনো বিয়ে হয়নি, বোনের বিয়ের পর সে বিয়ে করবে।

আমারও তাড়া ছিল না, তখন জবের পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম, আমিও কিছু বলিনাই আর এসব নিয়ে।

২০২৪ এর অক্টোবরে এসে সে আমাকে জানায়, একদিন তার আম্মার সাথে ডিভোর্সি মেয়ে বিয়ে করা নিয়ে কথা হইছে, আর তার আম্মা খুব রিএক্ট করেছে। সে জানায় আমার ডিভোর্স এর ইস্যুটা তার বাসায় বলা যাবে না। এটা নিয়ে আমার মনে খুব খচখচ তৈরি হয়, কিন্তু এই মানুষটাকে আমি হারাতেও চাইতাম না, তাই আসলে এই কথা মেনে নেয়া ছাড়া আমার কাছে অপশন ও ছিল না। ২৪ এর শেষে একবার জিজ্ঞেস করেছিলাম আপুর বিয়ে হতে যদি ৪/৫ বছর ও লাগে, তাহলে কি করবা (কারণ আমার বয়স ৩০+, সে আমার সমবয়সী) 

সে আমাকে বলেছিল ২০২৫ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত আপুর বিয়ের ওয়েট করবে, তারপর বিয়ে করবে।

এরপর আর এসব নিয়ে কথা হয়না তেমন। আমি ধরেই রেখেছি ২০২৬ এ ইনশাআল্লাহ আমাদের বিয়ে হবে, মাঝেমধ্যে বলি আন্টিকে কোনোভাবে বলে রাজি করানো যায় কিনা, বা পরে জানাজানি হলে যখন ইস্যু হবে তখন কি হবে, সে হলে বিয়ের পর ইস্যু হলে সে সব দেখবে, একান্তই যেকোনো একটা চুজ করতে হলে সে আমাকে চুজ করবে। আমিও মেনে নিই, বিশ্বাস করি তার কথা।আসলে জীবনের এমন একটা পর্যায়ে এসে তার সাথে আমার পরিচয় যে তাকে আমি নিজের থেকেও বেশি বিশ্বাস করি, আর এটা শুধু তাকেই করি।

যাই হোক। আমি এই বছর জবে জয়েন করি। আমার কলিগ, আশেপাশের সবাই বিয়ে, ডিভোর্স এসব নিয়ে অনেক কথা বলে। এগুলা মাঝেমধ্যে আমার জন্য আনবিয়ারেবল হয়, আমি কান্নাকাটি করি বাসায় এসে। গত সপ্তাহে একদিন তাকে জিজ্ঞেস করলাম, বিয়ে কবে করবে বা এই ব্যাপারে তার মতামত কি।

সে আমাকে বললো সামনের বছরের আগস্ট পর্যন্ত সময় দিতে, ততদিন আপুর জন্য অপেক্ষা করবে।

আমার এই প্রথম ফিল হলো, এই যে আমাকে এত কিছু শুনতে হয়, এত কিছু ফেইস করতে হয়, মানুষ টা সেটা বোঝেনা। আমি বললাম আরো এক বছর কেন, তুমি ২৫ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত আপুর জন্য অপেক্ষা করবা বলছিলা, ২৬ এর শুরুতে বিয়ে করি আমরা।

সে আমাকে বললো আমি নাকি তার আপুর বিষয় টা বুঝি না একটা মেয়ে হয়েও, আমি এখন বিয়ে নিয়ে কিছু বললেই ও রেগে যায় আমার সাথে। এসব দেখে আমার না আর ডিভোর্স হাইড করে বিয়ে করলে পরে ও আমার জন্য বাসায় স্ট্যান্ড নিবে, এটা বিশ্বাস হয় না। 
আমি তখন বলি যা হবে তোমার বাসায় জানায়েই হোক, আন্টিকে বিয়ের পর যেভাবে মানাবা, যেভাবে স্ট্যান্ড নিবা, সেটা এখন নাও।
এটা আমি বলায় ও আরো রেগে যায় আমার সাথে, বলে আগে কেন রাজি হইছিলাম হাইড করতে, বললে বিয়ে হবেই না কখনো। আমি নাকি বিয়ে নিয়ে খুব প্রেশার দিই ওকে। 
এসব নিয়ে খুব অশান্তি হচ্ছে। বারবার মনে হয়, মানুষ টা এখন আর আমাকে বোঝে না, আমার সাথে রেগে যায় শুধু। 

আচ্ছা, আমি কি আসলেই ভুল? আমার ওকে বিয়ে বিয়ে বলাটা কি আসলেই ভুল? আমার এসব ভয় পাওয়া, ইনসিকিউরড লাগা, কষ্ট পাওয়া, সব ভুল? নাকি ওর সাথে নতুন করে জীবন শুরু করতে চেয়েছিলাম, এটা ভুল? ।
(ফেসবুক থেকে পাওয়া)

নিউজটি আপডেট করেছেন : Admin News

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
হিজাব বিতর্কিত ফেসবুক পোস্ট: রাবিতে অধ্যাপক মামুনের শাস্তি চেয়ে মধ্যরাতে বিক্ষোভ

হিজাব বিতর্কিত ফেসবুক পোস্ট: রাবিতে অধ্যাপক মামুনের শাস্তি চেয়ে মধ্যরাতে বিক্ষোভ