নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় এক অসহায় কিশোরীকে ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে পারুল আক্তার (৪৫) নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত পারুল আক্তার উপজেলার চন্দ্রপুর-লামাপাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী।
গতকাল মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয় এবং আজ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কিবরিয়া (২৮) পলাতক রয়েছে।
ভুক্তভোগীর পরিবার এবং মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় পাঁচ মাস আগে একই গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে কিবরিয়া (২৮) ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এই জঘন্য কাজে সহায়তা করে পারুল আক্তার। ঘটনার দিন পারুল কিশোরীকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে একটি ঘরে আটকে রাখে এবং বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। অভিযোগ অনুযায়ী, এই ঘরে কিবরিয়া আগে থেকেই ওত পেতে ছিল। সুযোগ পেয়ে সে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। কান্নাকাটি থামাতে কিবরিয়া কিশোরীকে হুমকি-ধমকি দেয় এবং বিয়ে করার আশ্বাস দেয়। ভয় ও লোকলজ্জার কারণে কিশোরীটি এতদিন ঘটনাটি গোপন রাখে। বর্তমানে সে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, যা তার শারীরিক লক্ষণ দেখে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে এবং বিষয়টি সকলের নজরে আসে।
ভুক্তভোগী কিশোরী জানায়, "আমি আমার ঘরে ভাত খাচ্ছিলাম। এই সময় পারুল এসে আমার হাত ধরে জোর করে তার বাড়িতে টেনে নিয়ে যায়। তার ঘরের ভেতরে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে দরজা আটকে দেয়। পরে কিবরিয়া আমাকে ধর্ষণ করে। অনেক চেষ্টা করেও তার হাত থেকে বাঁচতে পারিনি।"
কিশোরীর মা বলেন, "আমরা গরিব, অসহায়, একটি ত্রিপলের ঘরে বাস করি। আমার স্বামী ভাড়ায় অন্যের অটোরিকশা চালায়, বাড়ির বাইরে থাকে। এই সুযোগে কিবরিয়া আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। কিছু লোক ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইছে। আমি এর বিচার চাই।" কিশোরীর বাবা সরকারের সাহায্য চেয়ে বলেন, "আমরা গরিব। তারা প্রভাবশালী, তাদের সাথে আমি পারব না।"
বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে তথ্য পেয়ে তিনি নিজেই ভুক্তভোগীর বাড়িতে যান। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ভুক্তভোগীর পরিবারকে মামলা করার কথা বলা হয়। পরবর্তীতে কিবরিয়া ও পারুলকে আসামি করে থানায় মামলা রুজু করা হয়। ওসি আরও জানান, মূল আসামি কিবরিয়া ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছে এবং তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং স্থানীয়রা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত পারুল আক্তার উপজেলার চন্দ্রপুর-লামাপাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী।
গতকাল মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয় এবং আজ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কিবরিয়া (২৮) পলাতক রয়েছে।
ভুক্তভোগীর পরিবার এবং মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় পাঁচ মাস আগে একই গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে কিবরিয়া (২৮) ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এই জঘন্য কাজে সহায়তা করে পারুল আক্তার। ঘটনার দিন পারুল কিশোরীকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে একটি ঘরে আটকে রাখে এবং বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। অভিযোগ অনুযায়ী, এই ঘরে কিবরিয়া আগে থেকেই ওত পেতে ছিল। সুযোগ পেয়ে সে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। কান্নাকাটি থামাতে কিবরিয়া কিশোরীকে হুমকি-ধমকি দেয় এবং বিয়ে করার আশ্বাস দেয়। ভয় ও লোকলজ্জার কারণে কিশোরীটি এতদিন ঘটনাটি গোপন রাখে। বর্তমানে সে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, যা তার শারীরিক লক্ষণ দেখে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে এবং বিষয়টি সকলের নজরে আসে।
ভুক্তভোগী কিশোরী জানায়, "আমি আমার ঘরে ভাত খাচ্ছিলাম। এই সময় পারুল এসে আমার হাত ধরে জোর করে তার বাড়িতে টেনে নিয়ে যায়। তার ঘরের ভেতরে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে দরজা আটকে দেয়। পরে কিবরিয়া আমাকে ধর্ষণ করে। অনেক চেষ্টা করেও তার হাত থেকে বাঁচতে পারিনি।"
কিশোরীর মা বলেন, "আমরা গরিব, অসহায়, একটি ত্রিপলের ঘরে বাস করি। আমার স্বামী ভাড়ায় অন্যের অটোরিকশা চালায়, বাড়ির বাইরে থাকে। এই সুযোগে কিবরিয়া আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। কিছু লোক ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইছে। আমি এর বিচার চাই।" কিশোরীর বাবা সরকারের সাহায্য চেয়ে বলেন, "আমরা গরিব। তারা প্রভাবশালী, তাদের সাথে আমি পারব না।"
বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে তথ্য পেয়ে তিনি নিজেই ভুক্তভোগীর বাড়িতে যান। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ভুক্তভোগীর পরিবারকে মামলা করার কথা বলা হয়। পরবর্তীতে কিবরিয়া ও পারুলকে আসামি করে থানায় মামলা রুজু করা হয়। ওসি আরও জানান, মূল আসামি কিবরিয়া ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছে এবং তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং স্থানীয়রা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
অনলাইন ডেস্ক