ঢাকা , শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫ , ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
৫০ পেরোতেই মলাইকার জীবনে নতুন কেউ নিজের চেষ্টায় জায়গা করেছেন বলিউডে, অযাচিত ‘ব্যক্তিগত আক্রমণ’ কী ভাবে এড়িয়ে যান সারা? কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে মানববন্ধন ভোলায় পুকুরে গোসল করতে নেমে দুই চাচাতো বোনের মৃত্যু নভেম্বরেই গণভোট চায় জামায়াতসহ ৮ দল নিজের চেষ্টায় জায়গা করেছি বলিউডে: সারা ব্যথা-বেদনা থেকে নিস্তার পেতে বদলে ফেলুন রান্নার তেল গরুর মাংস খাওয়া প্রসঙ্গে যা বললেন রণবীর কাপুর জেলে যেভাবে কাটছে ফুটবলার রবিনহোর সময় প্রশান্ত মহাসাগরে ধ্বংস করা হল আরও এক মাদকবোঝাই নৌকা! জুমার রাতে সুরা দোখান পাঠের ফজিলত গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু কৌশানির নাচের মাঝেই মঞ্চে ধরে গেল আগুন ইসির প্রতীক তালিকায় যুক্ত হলো ‘শাপলা কলি’ রাশমিকা মন্দানা ভালো মা হতে চান আগে রয়টার্সে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার পড়ি, পরে মন্তব্য : প্রেস সচিব বলিউড অভিনেত্রীর দাউদ ইব্রাহিমকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য রাজশাহী বিভাগীয় বইমেলায় দরিদ্র পাঠকদের জন্য থাকছে পুরাতন বই বদলের সুযোগ পাকিস্তানের আকাশে হঠাৎ অদ্ভুত মেঘ, ঘটনা কী? ভারতে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গাওয়ায় দেশদ্রোহিতা মামলার নির্দেশ

সন্তানকে পড়ায় উৎসাহী করে তুলতে কী করবেন বাবা-মায়েরা?

  • আপলোড সময় : ০২-০৯-২০২৫ ০৪:২০:৫৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০২-০৯-২০২৫ ০৪:২০:৫৩ অপরাহ্ন
সন্তানকে পড়ায় উৎসাহী করে তুলতে কী করবেন বাবা-মায়েরা? ছবি: সংগৃহীত
অঙ্ক ভুল করলেই বেতের বাড়ি, স্কুলের পড়া না করলেই বেদম বকুনি। এ ভাবেই বড় হয়েছেন অনেকে। সে কারণেই অভিভাবকদের কারও কারও ধারণা, সন্তানকে ধমক না দিলে লেখাপড়া করানো যায় না। কিন্তু মনোবিদেরা বলেন অন্য কথা। গায়ে হাত তোলা, জোরে চেঁচানো নয়— বরং ছোট থেকেই শিশুর মনে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ তৈরি করাই জরুরি। ধমক দিলে, তার প্রতিটি ভুল নিয়ে ক্রমাগত সমালোচনা করলে সন্তানের পড়ার প্রতি ভয় তৈরি হতে পারে। একটু আদর, ভাল করে বুঝিয়েও তাদের বইমুখী করা যায়। শেখানো যায় মজার ছলেও।

কোন অভ্যাসে পড়াশোনায় আগ্রহ তৈরি করা সম্ভব?
রুটিন: মনোবিদ থেকে পেরেন্টিং কনসালট্যান্টরা বলেন, ছোটদের জীবনেও একটা রুটিন থাকা দরকার। যখন তারা বড় হচ্ছে, সেই সময় যদি পড়তে বসার সময় নির্দিষ্ট করা যায়, শিশুদের জন্য তা ভাল হয়। ওই সময়ে তাকে পড়তে বসতে হবে, এমন ধারণা তৈরি হয়। তৈরি হয় অভ্যাসও।

পড়ায় আনন্দ: পড়াশোনার বিষয় যদি বিরক্তিকর মনে হয়, যে কোনও পড়ুয়া আগ্রহ হারাতে পারে। বইয়ের পাতা খুলে পড়ালেই পড়াশোনা হয় না সবসময়। তার চেয়ে বরং বিভিন্ন মডেল ব্যবহার করে, নানা রকম অ্যাপের সাহায্য নিয়েও তাকে শেখানো যেতে পারে। খেয়াল রাখা দরকার, পড়া যেন বোঝা নয়, মিশে থাকে আনন্দ।

বিরতি: একটানা পড়াশোনায় ধৈর্য হারাতে পারে খুদে। তার চেয়ে গল্পের ছলেও পড়া হতে পারে। পড়ার মাঝে একটু বিরতি, একটু গল্প, একটু লেখা— এ ভাবেও তাকে বসিয়ে রাখা সম্ভব। পড়াশোনার বিষয়বস্ত নিয়ে গল্পের ছলেও আলোচনা হতে পারে। রাগ দেখানো বা ধমক নয়, বরং সহজ কথাতেই ছোটদের ভোলানো যেতে পারে।

খেলার ছলেই শেখা: ছোটরা খেলতে খেলতেই শেখে। ছোটদের জন্য ল্যাপটপ পাওয়া যায় যেখান খেলার মাধ্যমেই সে গুনতে শেখে, কোনও জিনিস আঁকার রং চেনে। রয়েছে রকমারি অ্যাপও। তা ছাড়া, পরিবেশ, দৈনন্দিন জীবনের উদাহরণ দিয়েও বাস্তবসম্মত ভাবে তাকে শেখানো যায়। সব্জি চেনানোর জন্য বাজার থেকে আনা সব্জি ব্যবহার করা যায়। আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতির ব্যবহার খুব জরুরি।

অভিভাবকদের আচরণ: মনো-সমাজকর্মী মোহিত রণদীপ বলেন, ‘‘শিশুরা বড়দের দেখেই শেখে। বড়রা কী ভাবে অন্যের সঙ্গে কথা বলছেন, দৈনন্দিন জীবনে কী করছেন নিঃশব্দে অনুসরণ করে তারা।’’ সন্তানকে পড়ানোর সময় বাবা বা মা ফোন দেখলে, ফোনে কথা বললে, তার মনোযোগও বিক্ষিপ্ত হবে। পড়ার সময় যেমন পড়ুয়া ফোন নেবে না, তেমনই যিনি পড়াচ্ছেন তাঁকেও সতর্ক হতে হবে। আবার যদি বাবা বা মাকে সন্তান বই পড়তে দেখে, বাড়িতে নানা রকম বই থাকে— তার মধ্যেও আগ্রহ বাড়বে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Rajshahir Somoy

কমেন্ট বক্স
রাজশাহী বিভাগীয় বইমেলায় দরিদ্র পাঠকদের জন্য থাকছে পুরাতন বই বদলের সুযোগ

রাজশাহী বিভাগীয় বইমেলায় দরিদ্র পাঠকদের জন্য থাকছে পুরাতন বই বদলের সুযোগ