ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫ , ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
পড়া মনে রাখার দোয়া রুশ বাহিনীর হামলায় ইউক্রেনের এক শহরে এক রাতে নিহত ২৫ সুরা কুরাইশে যে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে ৪৭৬ রানে থামল বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস ডিম খাওয়ার কম জানা কিছু উপকার জেনে নিন চোখে ঝাপসা দেখা মানেই পাওয়ার বেড়ে যাওয়া নয়, রেটিনার সমস্যাও হতে পারে! অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনও দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা রাসিকের নবাগত প্রশাসকের সাথে কর্মকর্তাগণের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নগরীতে গাঁজাসহ নারী গ্রেফতার দুই রাবি শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ গুলির নির্দেশ দিইনি, এটা এদেশের আইন: ডিএমপি কমিশনার রাজসাক্ষী আবজালুলের জেরা ঘিরে ট্রাইব্যুনালে হট্টগোল এখন থেকে দিনের ভোট আর রাতে হবে না: অ্যাটর্নি জেনারেল মুশফিকের আগে শততম টেস্টে যারা সেঞ্চুরি করেছেন নগরীতে পুলিশের অভিযানে আটক ১৪ ভাইকে তালাবদ্ধ রে‌খে বোনকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার ঈশ্বরদীতে কারখানার বর্জ্য নিষ্কাশিত পানিতে অবরুদ্ধ ৪৫ পরিবার প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার লংমার্চে বাধা দেওয়ায় সাঁতরে পদ্মা পার হতে গিয়ে আহত ২ বিক্রয়কর্মী হত্যার দায় স্বীকার রবিন ডাকাতের

সন্তানকে পড়ায় উৎসাহী করে তুলতে কী করবেন বাবা-মায়েরা?

  • আপলোড সময় : ০২-০৯-২০২৫ ০৪:২০:৫৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০২-০৯-২০২৫ ০৪:২০:৫৩ অপরাহ্ন
সন্তানকে পড়ায় উৎসাহী করে তুলতে কী করবেন বাবা-মায়েরা? ছবি: সংগৃহীত
অঙ্ক ভুল করলেই বেতের বাড়ি, স্কুলের পড়া না করলেই বেদম বকুনি। এ ভাবেই বড় হয়েছেন অনেকে। সে কারণেই অভিভাবকদের কারও কারও ধারণা, সন্তানকে ধমক না দিলে লেখাপড়া করানো যায় না। কিন্তু মনোবিদেরা বলেন অন্য কথা। গায়ে হাত তোলা, জোরে চেঁচানো নয়— বরং ছোট থেকেই শিশুর মনে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ তৈরি করাই জরুরি। ধমক দিলে, তার প্রতিটি ভুল নিয়ে ক্রমাগত সমালোচনা করলে সন্তানের পড়ার প্রতি ভয় তৈরি হতে পারে। একটু আদর, ভাল করে বুঝিয়েও তাদের বইমুখী করা যায়। শেখানো যায় মজার ছলেও।

কোন অভ্যাসে পড়াশোনায় আগ্রহ তৈরি করা সম্ভব?
রুটিন: মনোবিদ থেকে পেরেন্টিং কনসালট্যান্টরা বলেন, ছোটদের জীবনেও একটা রুটিন থাকা দরকার। যখন তারা বড় হচ্ছে, সেই সময় যদি পড়তে বসার সময় নির্দিষ্ট করা যায়, শিশুদের জন্য তা ভাল হয়। ওই সময়ে তাকে পড়তে বসতে হবে, এমন ধারণা তৈরি হয়। তৈরি হয় অভ্যাসও।

পড়ায় আনন্দ: পড়াশোনার বিষয় যদি বিরক্তিকর মনে হয়, যে কোনও পড়ুয়া আগ্রহ হারাতে পারে। বইয়ের পাতা খুলে পড়ালেই পড়াশোনা হয় না সবসময়। তার চেয়ে বরং বিভিন্ন মডেল ব্যবহার করে, নানা রকম অ্যাপের সাহায্য নিয়েও তাকে শেখানো যেতে পারে। খেয়াল রাখা দরকার, পড়া যেন বোঝা নয়, মিশে থাকে আনন্দ।

বিরতি: একটানা পড়াশোনায় ধৈর্য হারাতে পারে খুদে। তার চেয়ে গল্পের ছলেও পড়া হতে পারে। পড়ার মাঝে একটু বিরতি, একটু গল্প, একটু লেখা— এ ভাবেও তাকে বসিয়ে রাখা সম্ভব। পড়াশোনার বিষয়বস্ত নিয়ে গল্পের ছলেও আলোচনা হতে পারে। রাগ দেখানো বা ধমক নয়, বরং সহজ কথাতেই ছোটদের ভোলানো যেতে পারে।

খেলার ছলেই শেখা: ছোটরা খেলতে খেলতেই শেখে। ছোটদের জন্য ল্যাপটপ পাওয়া যায় যেখান খেলার মাধ্যমেই সে গুনতে শেখে, কোনও জিনিস আঁকার রং চেনে। রয়েছে রকমারি অ্যাপও। তা ছাড়া, পরিবেশ, দৈনন্দিন জীবনের উদাহরণ দিয়েও বাস্তবসম্মত ভাবে তাকে শেখানো যায়। সব্জি চেনানোর জন্য বাজার থেকে আনা সব্জি ব্যবহার করা যায়। আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতির ব্যবহার খুব জরুরি।

অভিভাবকদের আচরণ: মনো-সমাজকর্মী মোহিত রণদীপ বলেন, ‘‘শিশুরা বড়দের দেখেই শেখে। বড়রা কী ভাবে অন্যের সঙ্গে কথা বলছেন, দৈনন্দিন জীবনে কী করছেন নিঃশব্দে অনুসরণ করে তারা।’’ সন্তানকে পড়ানোর সময় বাবা বা মা ফোন দেখলে, ফোনে কথা বললে, তার মনোযোগও বিক্ষিপ্ত হবে। পড়ার সময় যেমন পড়ুয়া ফোন নেবে না, তেমনই যিনি পড়াচ্ছেন তাঁকেও সতর্ক হতে হবে। আবার যদি বাবা বা মাকে সন্তান বই পড়তে দেখে, বাড়িতে নানা রকম বই থাকে— তার মধ্যেও আগ্রহ বাড়বে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Rajshahir Somoy

কমেন্ট বক্স
রাসিকের নবাগত প্রশাসকের সাথে কর্মকর্তাগণের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রাসিকের নবাগত প্রশাসকের সাথে কর্মকর্তাগণের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত