রাজশাহীর তানোরের চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়নের(ইউপি)বিসিআইসি'র সার ডিলারের লাইসেন্স বাতিল ও নতুন ডিলার নিয়োগের দাবিতে এলাকার কৃষকেরা সচিব কৃষি মন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।স্থানীয়রা জানান, সার পাচারকারি অবৈধ এবং দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী মেসার্স জামান টেড্রার্সের  ডিলারসীপ বাতিলের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন সম্রাট খাঁন নামের এক কৃষক।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, তানোর উপজেলার চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়নের (ইউপি) চাঁন্দুড়িয়া বাজারে বিসিআইসি সার ডিলার মেসার্স জামান টেড্রার্সের স্বত্ত্বাধিকারী আওয়ামী লীগ নেতা নুরুজ্জামান ফটিক। তিনি ডিলারসীপ পাওয়ার পর থেকেই অবৈধভাবে সরকারি দামের চাইতে বেশি দামে সার বিক্রি করে আসছেন।বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তিনি সকল নিয়মনীতি লঙ্ঘন, সার পাচার ও কৃষকদের জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এখানো পর্যাপ্ত পরিমাণে সরকারী বরাদ্দকৃত সার কৃষককে না দিয়ে বেশি দামে বিভিন্ন উপজেলায় পাচার করে আসছে।
এদিকে গত ২৮ আগস্ট চাঁন্দুড়িয়া বাজারের নুরুজ্জামান ফটিকের মেসার্স জামান ট্রেডার্স’র দোকান থেকে ৪০ বস্তা টিএসপি সার চোরা পথে পাচারের সময় স্থানীয় জনতা আটক করেন। সারগুলো মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট বাজারের সার ব্যবসায়ী শফিকুলের ঘরে পাচার করা হচ্ছিল।এমতাবস্থায় প্রায় দুই শতাধিক কৃষক নুরুজ্জামান ফটিকের পুত্র নিসানকে হাতেনাতে ধরে। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা(চাঁন্দুড়িয়া ইউপি প্রশাসক) মোহাম্মদ হোসেন খাঁনের জিম্মায় ইউপি ভবনে এসব সার জব্দ করে রাখা আছে।
অভিযোগকারী কৃষক সম্রাট খাঁন বলেন, ‘ডিলার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কৃষকদের বঞ্চিত করে সার পাচার করে আসছিলেন। প্রতিবাদ করলেই তিনি অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতেন। আমরা বারবার অভিযোগ করেও কোনো ব্যবস্থা পাইনি।’ আরেক কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি দামে সার পাওয়ার কথা, কিন্তু আমরা বেশি দামে কিনতে বাধ্য হয়েছি। কেউ না দিলে সার পেতামই না।’
স্থানীয় সূত্র জানায়, এর আগেও ওই ডিলারের বিরুদ্ধে সার পাচারের অভিযোগ ওঠে। তবে তিনি রাজনৈতিক পরিচয় কাজে লাগিয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ ঠেকিয়ে দেন।
কৃষকেরা অভিযোগ করেন, তিনি আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও স্থানীয় বিএনপির কতিপয় নেতার ঘনিষ্ঠ হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের অনিয়ম করে যাচ্ছেন।
তানোর উপজেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জব্দকৃত সার এখন প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।’ কৃষকেরা জানান, এবারের মৌসুমে সার সংকট দেখা দিয়েছে। এমন সময়ে ডিলারের এ ধরনের অনিয়মের কারণে কৃষকেরা বিপাকে পড়েছেন। তাঁরা দ্রুত ডিলারের লাইসেন্স বাতিল ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।এবিষয়ে জানতে চাইলে মেসার্স জামান টেড্রার্সের স্বত্বাধিকারী নুরুজ্জামান ফটিকের পুত্র নিশান বলেন,সার পাচারের অভিযোগে তার ৪৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।তিনি বলেন,তার বিরুদ্ধে করো অভিযোগ করার কথা না।
                           অভিযোগ থেকে জানা যায়, তানোর উপজেলার চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়নের (ইউপি) চাঁন্দুড়িয়া বাজারে বিসিআইসি সার ডিলার মেসার্স জামান টেড্রার্সের স্বত্ত্বাধিকারী আওয়ামী লীগ নেতা নুরুজ্জামান ফটিক। তিনি ডিলারসীপ পাওয়ার পর থেকেই অবৈধভাবে সরকারি দামের চাইতে বেশি দামে সার বিক্রি করে আসছেন।বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তিনি সকল নিয়মনীতি লঙ্ঘন, সার পাচার ও কৃষকদের জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এখানো পর্যাপ্ত পরিমাণে সরকারী বরাদ্দকৃত সার কৃষককে না দিয়ে বেশি দামে বিভিন্ন উপজেলায় পাচার করে আসছে।
এদিকে গত ২৮ আগস্ট চাঁন্দুড়িয়া বাজারের নুরুজ্জামান ফটিকের মেসার্স জামান ট্রেডার্স’র দোকান থেকে ৪০ বস্তা টিএসপি সার চোরা পথে পাচারের সময় স্থানীয় জনতা আটক করেন। সারগুলো মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট বাজারের সার ব্যবসায়ী শফিকুলের ঘরে পাচার করা হচ্ছিল।এমতাবস্থায় প্রায় দুই শতাধিক কৃষক নুরুজ্জামান ফটিকের পুত্র নিসানকে হাতেনাতে ধরে। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা(চাঁন্দুড়িয়া ইউপি প্রশাসক) মোহাম্মদ হোসেন খাঁনের জিম্মায় ইউপি ভবনে এসব সার জব্দ করে রাখা আছে।
অভিযোগকারী কৃষক সম্রাট খাঁন বলেন, ‘ডিলার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কৃষকদের বঞ্চিত করে সার পাচার করে আসছিলেন। প্রতিবাদ করলেই তিনি অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতেন। আমরা বারবার অভিযোগ করেও কোনো ব্যবস্থা পাইনি।’ আরেক কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি দামে সার পাওয়ার কথা, কিন্তু আমরা বেশি দামে কিনতে বাধ্য হয়েছি। কেউ না দিলে সার পেতামই না।’
স্থানীয় সূত্র জানায়, এর আগেও ওই ডিলারের বিরুদ্ধে সার পাচারের অভিযোগ ওঠে। তবে তিনি রাজনৈতিক পরিচয় কাজে লাগিয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ ঠেকিয়ে দেন।
কৃষকেরা অভিযোগ করেন, তিনি আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও স্থানীয় বিএনপির কতিপয় নেতার ঘনিষ্ঠ হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের অনিয়ম করে যাচ্ছেন।
তানোর উপজেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জব্দকৃত সার এখন প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।’ কৃষকেরা জানান, এবারের মৌসুমে সার সংকট দেখা দিয়েছে। এমন সময়ে ডিলারের এ ধরনের অনিয়মের কারণে কৃষকেরা বিপাকে পড়েছেন। তাঁরা দ্রুত ডিলারের লাইসেন্স বাতিল ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।এবিষয়ে জানতে চাইলে মেসার্স জামান টেড্রার্সের স্বত্বাধিকারী নুরুজ্জামান ফটিকের পুত্র নিশান বলেন,সার পাচারের অভিযোগে তার ৪৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।তিনি বলেন,তার বিরুদ্ধে করো অভিযোগ করার কথা না।
 
  আলিফ হোসেন
 আলিফ হোসেন  
                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                