রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ভদ্রা হজের মোড় এলাকায় সাবেক ডিবি এসআই মাহবুব হাসানকে উত্তেজিত জনতা গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে—যা তার অতীত নির্যাতনের কাহিনীকে নতুন করে উন্মোচিত করেছে। শনিবার (২৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে, যা ডিবির ভিতরে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং ভুক্তভোগীদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভের প্রতিফলন। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, হাসানের বিরুদ্ধে নিরিহ মানুষকে হয়রানি, চাঁদাবাজি এবং মিথ্যা মামলার অভিযোগ রয়েছে, যা ২০১৬ সাল থেকে শুরু করে ২০২১ পর্যন্ত চলমান ছিল। এই ঘটনা পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জবাবদিহিতার প্রশ্ন তুলেছে।
সাবেক ডিবি এসআই মাহবুব হাসানকে স্থানীয় জনতা গণধোলাই দিয়ে চন্দ্রিমা থানায় সোপর্দ করেছে, যা তার অতীতের নির্যাতনের প্রতিশোধ হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাতে হাসানকে তার ভাড়া বাসা থেকে ধরে এনে গণপিটুনি দেওয়া হয়। পরে পুলিশ উদ্ধার করে তাকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়। চন্দ্রিমা থানার ওসি মেহেদি মাসুদ কড়া নিরাপত্তায় জনতাকে সরিয়ে দেন, কিন্তু ভুক্তভোগীরা থানার সামনে জড়ো হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। হাসানের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের এক মামলা চলমান, যেখানে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনা পুলিশের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার অপব্যবহার এবং জনগণের ক্ষোভের একটি চিত্র তুলে ধরে।
চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী মাসুদ বলেন, আটকের পর হাসানকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমাদের থানায় তার নামে কোনো মামলা নেই। পরে তাকে বোয়ালিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাবেক ডিবি হাসানের বিরুদ্ধে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির একটাই মামলা আমার কাছে আছে। তবে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে বলে শুনেছি, পরবর্তীতে অন্য কোন মামলায় তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে সেটিতেও গ্রেপ্তার দেখিয়ে আগামীকাল কারাগারে প্রেরণ করা হবে বলেও জানান ওসি আবুল কালাম আজাদ।
নগর পুলিশের মুখপাত্র গাজিউর রহমান বলেন, মাহবুব হাসান সর্বশেষ ২০২১ সাল পর্যন্ত নগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) কর্মরত ছিলেন। এরপর তাকে ২০২১ সালের ১১ই মার্চ তারিখে ঢাকায় এপিবিএন এ বদলি করা হয়, কিন্তু দীর্ঘদিন এপিবিএন এ যোগদান না করায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার হয়।। পর তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। বর্তমানে তাকে নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
হাসানের অতীতের নির্যাতনের ফিরিস্তি অনেক দীর্ঘ। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তিনি ডিবিতে যোগদানের পর বেপরোয়া হয়ে উঠেন। তার বিরুদ্ধে নিরিহ লোকজনকে তুলে নিয়ে নির্যাতন, চাঁদাবাজি এবং মিথ্যা মামলার শতশত অভিযোগ রয়েছে। সে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতার আশীর্বাদে তিনি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও নাজেহাল করেছেন।
উদাহরণস্বরূপ, ডিবির সাবেক ওসি সিরাজুম মনির তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে, এবং পরে সিরাজুমকে বদলি করা হয়।
ওসি সিরাজুম মনির বলেন, একজন জুনিয়র এসআই যখন উধ্যত আচরণ করেন আর সেই আচরণের বিচার না পাওয়া যায় তখন আর বলার কিছুই থাকেনা। তিনি বলেন, চাকরির বয়স কতইবা হলো এর মধ্যে এত সম্পদ, নিরিহ লোকজনকে যেভাবে হয়রানী ও টাকা পয়সার লেনদেন, এতে করে নিজেদের মানসম্মান আর থাকেনা। এরপর থেকে ডিবিতে হাসানের বিরুদ্ধে মূলত কেউ আর কথা বলার সাহস পাইনা। এমন অভিযোগ রয়েছে, যেখানে ইন্সপেক্টররা বসার রুম পান না সেখানে হাসান নিজের জন্য বিলাসবহুল রুম তৈরী করেছিলেনে, করেছিলেন নির্যাতনের জন্য টর্চার সেলও। তবে বর্তমানে তার সেই রুম নেই। কিছুদিন আগে কমিশনারের হস্তক্ষেপে দুই ইন্সপেক্টরের জন্য পৃথক রুম বরাদ্দ হয়েছে। একইভাবে, এসআই মনিরকে চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলি করা হয়।
ভুক্তভোগীদের রোমহর্ষক বর্ণনা অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, খরবোনা এলাকার মাদক কারবারী জার্মানকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের পর পায়ে গুলি করে পঙ্গু বানানো হয়। জার্মান বলেন, “বিনা অপরাধে আমাকে ধরে নির্যাতন করা হয়। চিকিৎসা না দেওয়ায় পা কেটে ফেলতে হয়েছে।” মেহেরচন্ডি এলাকার এক নারীকে ডিবিতে তুলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয় এবং পরে মাদক মামলা দেওয়া হয়। তিনি বলেন, “হাসান আমাদের পরিবারকে তছনছ করে দিয়েছে।” মটরমেকানিক আজহারকে অস্ত্র মামলা দেওয়া হয়, যার ফলে তিনি জেলে। তার বাবা বলেন, “গাড়ি মেরামতের টাকা নিয়ে মনমালিন্যে এই অবস্থা।” মাছ ব্যবসায়ী ফরহাদকে হেরোইন মামলায় জেলে পাঠানো হয়। অটো চালক পিন্টুকে সোর্স না হওয়ায়, ফেন্সিডিল মামলা দেওয়া হয়, যার ফলে তিনি এলাকাছাড়া। পিন্টু বলেন, “সব অটো বিক্রি করে টাকা দিয়েছি, তবু মামলা দিল।”
যুবলীগ কর্মী মনিরুলকে নির্যাতন করে ফেন্সিডিল মামলায় চালান দেওয়া হয়। ইব্রাহীমকে না পেয়ে তার দুই ভাইকে অস্ত্র মামলায় জেলে পাঠানো হয়।
হাসান ২০১৩ সালে এসআই হয়ে যোগদান করেন এবং ২০১৬ সালে ডিবিতে আসেন। তার বিরুদ্ধে পুলিশ সদর দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে (সিরিয়াল ১১৬০)। স্থানীয়রা বলেন, “হাসানের নির্যাতনের ফিরিস্তি দীর্ঘ। কনস্টেবল সাজরুল ও শুভঙ্করও তার সহযোগী।”
ডিবির উপ-কমিশনার আবু আহমেদ আল মামুন বলেন, “অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” হাসান বলেন, “অভিযোগ মিথ্যা, ঈর্ষান্বিত লোকজন রটনা করছে।”
হাসানের নির্যাতন পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে এবং জনগণের বিশ্বাস হারিয়েছে। ভুক্তভোগীদের পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে, যেমন জার্মান পঙ্গু হয়ে পরিবারের উপার্জন হারিয়েছেন। নারী ভুক্তভোগীরা মানসিক আঘাত পেয়েছেন এবং সমাজে লাঞ্ছিত। আজহার, ফরহাদ, পিন্টু, মনিরুলের মতো অনেকে জেলে বা এলাকাছাড়া, যা পরিবারের অর্থনৈতিক ও মানসিক ক্ষতি ঘটিয়েছে। সমাজে পুলিশের প্রতি অবিশ্বাস বেড়েছে, এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের ফলে অপরাধ বাড়ছে। ২০২০ সাল থেকে পুলিশ নির্যাতনের অভিযোগ ২৫% বেড়েছে।
হাসানের অপকর্ম রোধে স্বচ্ছ তদন্ত প্রয়োজন। পুলিশ সদর দপ্তরের অভিযোগ (সিরিয়াল ১১৬০) দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। পুলিশের অভ্যন্তরীণ জবাবদিহিতা জোরদার করে ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ করতে হবে। স্থানীয় সমাজনেতা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে সক্রিয় করতে হবে। পুলিশ কমিশনারকে অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করতে হবে। এই পদক্ষেপগুলো পুলিশের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনবে এবং জনগণের বিশ্বাস পুনরুদ্ধার করবে।
সাবেক ডিবি এসআই মাহবুব হাসানকে স্থানীয় জনতা গণধোলাই দিয়ে চন্দ্রিমা থানায় সোপর্দ করেছে, যা তার অতীতের নির্যাতনের প্রতিশোধ হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাতে হাসানকে তার ভাড়া বাসা থেকে ধরে এনে গণপিটুনি দেওয়া হয়। পরে পুলিশ উদ্ধার করে তাকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়। চন্দ্রিমা থানার ওসি মেহেদি মাসুদ কড়া নিরাপত্তায় জনতাকে সরিয়ে দেন, কিন্তু ভুক্তভোগীরা থানার সামনে জড়ো হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। হাসানের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের এক মামলা চলমান, যেখানে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনা পুলিশের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার অপব্যবহার এবং জনগণের ক্ষোভের একটি চিত্র তুলে ধরে।
চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী মাসুদ বলেন, আটকের পর হাসানকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমাদের থানায় তার নামে কোনো মামলা নেই। পরে তাকে বোয়ালিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাবেক ডিবি হাসানের বিরুদ্ধে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির একটাই মামলা আমার কাছে আছে। তবে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে বলে শুনেছি, পরবর্তীতে অন্য কোন মামলায় তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে সেটিতেও গ্রেপ্তার দেখিয়ে আগামীকাল কারাগারে প্রেরণ করা হবে বলেও জানান ওসি আবুল কালাম আজাদ।
নগর পুলিশের মুখপাত্র গাজিউর রহমান বলেন, মাহবুব হাসান সর্বশেষ ২০২১ সাল পর্যন্ত নগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) কর্মরত ছিলেন। এরপর তাকে ২০২১ সালের ১১ই মার্চ তারিখে ঢাকায় এপিবিএন এ বদলি করা হয়, কিন্তু দীর্ঘদিন এপিবিএন এ যোগদান না করায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার হয়।। পর তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। বর্তমানে তাকে নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
হাসানের অতীতের নির্যাতনের ফিরিস্তি অনেক দীর্ঘ। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তিনি ডিবিতে যোগদানের পর বেপরোয়া হয়ে উঠেন। তার বিরুদ্ধে নিরিহ লোকজনকে তুলে নিয়ে নির্যাতন, চাঁদাবাজি এবং মিথ্যা মামলার শতশত অভিযোগ রয়েছে। সে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতার আশীর্বাদে তিনি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও নাজেহাল করেছেন।
উদাহরণস্বরূপ, ডিবির সাবেক ওসি সিরাজুম মনির তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে, এবং পরে সিরাজুমকে বদলি করা হয়।
ওসি সিরাজুম মনির বলেন, একজন জুনিয়র এসআই যখন উধ্যত আচরণ করেন আর সেই আচরণের বিচার না পাওয়া যায় তখন আর বলার কিছুই থাকেনা। তিনি বলেন, চাকরির বয়স কতইবা হলো এর মধ্যে এত সম্পদ, নিরিহ লোকজনকে যেভাবে হয়রানী ও টাকা পয়সার লেনদেন, এতে করে নিজেদের মানসম্মান আর থাকেনা। এরপর থেকে ডিবিতে হাসানের বিরুদ্ধে মূলত কেউ আর কথা বলার সাহস পাইনা। এমন অভিযোগ রয়েছে, যেখানে ইন্সপেক্টররা বসার রুম পান না সেখানে হাসান নিজের জন্য বিলাসবহুল রুম তৈরী করেছিলেনে, করেছিলেন নির্যাতনের জন্য টর্চার সেলও। তবে বর্তমানে তার সেই রুম নেই। কিছুদিন আগে কমিশনারের হস্তক্ষেপে দুই ইন্সপেক্টরের জন্য পৃথক রুম বরাদ্দ হয়েছে। একইভাবে, এসআই মনিরকে চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলি করা হয়।
ভুক্তভোগীদের রোমহর্ষক বর্ণনা অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, খরবোনা এলাকার মাদক কারবারী জার্মানকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের পর পায়ে গুলি করে পঙ্গু বানানো হয়। জার্মান বলেন, “বিনা অপরাধে আমাকে ধরে নির্যাতন করা হয়। চিকিৎসা না দেওয়ায় পা কেটে ফেলতে হয়েছে।” মেহেরচন্ডি এলাকার এক নারীকে ডিবিতে তুলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয় এবং পরে মাদক মামলা দেওয়া হয়। তিনি বলেন, “হাসান আমাদের পরিবারকে তছনছ করে দিয়েছে।” মটরমেকানিক আজহারকে অস্ত্র মামলা দেওয়া হয়, যার ফলে তিনি জেলে। তার বাবা বলেন, “গাড়ি মেরামতের টাকা নিয়ে মনমালিন্যে এই অবস্থা।” মাছ ব্যবসায়ী ফরহাদকে হেরোইন মামলায় জেলে পাঠানো হয়। অটো চালক পিন্টুকে সোর্স না হওয়ায়, ফেন্সিডিল মামলা দেওয়া হয়, যার ফলে তিনি এলাকাছাড়া। পিন্টু বলেন, “সব অটো বিক্রি করে টাকা দিয়েছি, তবু মামলা দিল।”
যুবলীগ কর্মী মনিরুলকে নির্যাতন করে ফেন্সিডিল মামলায় চালান দেওয়া হয়। ইব্রাহীমকে না পেয়ে তার দুই ভাইকে অস্ত্র মামলায় জেলে পাঠানো হয়।
হাসান ২০১৩ সালে এসআই হয়ে যোগদান করেন এবং ২০১৬ সালে ডিবিতে আসেন। তার বিরুদ্ধে পুলিশ সদর দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে (সিরিয়াল ১১৬০)। স্থানীয়রা বলেন, “হাসানের নির্যাতনের ফিরিস্তি দীর্ঘ। কনস্টেবল সাজরুল ও শুভঙ্করও তার সহযোগী।”
ডিবির উপ-কমিশনার আবু আহমেদ আল মামুন বলেন, “অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” হাসান বলেন, “অভিযোগ মিথ্যা, ঈর্ষান্বিত লোকজন রটনা করছে।”
হাসানের নির্যাতন পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে এবং জনগণের বিশ্বাস হারিয়েছে। ভুক্তভোগীদের পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে, যেমন জার্মান পঙ্গু হয়ে পরিবারের উপার্জন হারিয়েছেন। নারী ভুক্তভোগীরা মানসিক আঘাত পেয়েছেন এবং সমাজে লাঞ্ছিত। আজহার, ফরহাদ, পিন্টু, মনিরুলের মতো অনেকে জেলে বা এলাকাছাড়া, যা পরিবারের অর্থনৈতিক ও মানসিক ক্ষতি ঘটিয়েছে। সমাজে পুলিশের প্রতি অবিশ্বাস বেড়েছে, এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের ফলে অপরাধ বাড়ছে। ২০২০ সাল থেকে পুলিশ নির্যাতনের অভিযোগ ২৫% বেড়েছে।
হাসানের অপকর্ম রোধে স্বচ্ছ তদন্ত প্রয়োজন। পুলিশ সদর দপ্তরের অভিযোগ (সিরিয়াল ১১৬০) দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। পুলিশের অভ্যন্তরীণ জবাবদিহিতা জোরদার করে ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ করতে হবে। স্থানীয় সমাজনেতা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে সক্রিয় করতে হবে। পুলিশ কমিশনারকে অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করতে হবে। এই পদক্ষেপগুলো পুলিশের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনবে এবং জনগণের বিশ্বাস পুনরুদ্ধার করবে।