রাশিয়া সম্প্রতি ইউক্রেনের উপর এই বছরের সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছে। একই সাথে, যুদ্ধ থামানোর জন্য কূটনৈতিক তৎপরতাও চলছে, যেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যস্থতার চেষ্টা করছেন।
রাশিয়ার ব্যাপক মিসাইল ও ড্রোন হামলা
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর ৫৭৪টি ড্রোন এবং ৪৪টি ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে একযোগে হামলা চালিয়েছে, যা ২০২৫ সালে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় আক্রমণ। ইউক্রেনের দাবি অনুযায়ী, এই হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিল তাদের অস্ত্র ভান্ডার, বিশেষ করে যেখানে ইউরোপ ও আমেরিকা থেকে সরবরাহ করা অস্ত্র রাখা হয়েছিল। এই ঘটনায় সরকারিভাবে একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হলেও, বেসরকারি মতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা দপ্তর এই হামলার দায় স্বীকার করে জানিয়েছে যে, তারা ইউক্রেনের সেনা ছাউনি এবং কারখানা লক্ষ্য করে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে।
কূটনৈতিক তৎপরতা ও ট্রাম্পের মধ্যস্থতা
এই হামলার কিছুদিন আগেই আলাস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।এই বৈঠকের পর আশা করা হয়েছিল যে যুদ্ধের তীব্রতা কমে আসবে। পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং অন্যান্য ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গেও হোয়াইট হাউসে বৈঠক করেন।
তবে এই কূটনৈতিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও উত্তেজনা কমেনি। রুশ সংবাদমাধ্যমের স্পষ্ট দাবি, যুদ্ধবিরতির জন্য রাশিয়া দুটি প্রধান শর্ত দিয়েছে:
১. ইউক্রেনকে নিশ্চয়তা দিতে হবে যে তারা কখনও ন্যাটো জোটে যোগ দেবে না।
২. ইউক্রেনকে ডনবাস অঞ্চলের (দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক) পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ার হাতে তুলে দিতে হবে।
অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
বিশ্লেষকদের মতে, ইউরোপ ও আমেরিকার সম্মিলিত নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়ার অর্থনীতি খুব একটা দুর্বল হয়নি। রাশিয়া তেল ও জ্বালানি রপ্তানির জন্য চীন এবং ভারতের মতো নতুন বাণিজ্যিক অংশীদার খুঁজে পেয়েছে। অন্যদিকে, ইউক্রেনকে বিপুল পরিমাণে অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহ করার পরও প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন এবং যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে তাঁর জনসমর্থনও কমছে বলে জানা যাচ্ছে।
এর সাথে যোগ হয়েছে আমেরিকার নতুন বাণিজ্য নীতি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারত ও চীনের মতো দেশগুলোর সঙ্গে শুল্কযুদ্ধে জড়িয়েছেন, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে, ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যেও প্রশ্ন উঠেছে যে তারা আর কতদিন এই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারবে।
রাশিয়ার ব্যাপক মিসাইল ও ড্রোন হামলা
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর ৫৭৪টি ড্রোন এবং ৪৪টি ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে একযোগে হামলা চালিয়েছে, যা ২০২৫ সালে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় আক্রমণ। ইউক্রেনের দাবি অনুযায়ী, এই হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিল তাদের অস্ত্র ভান্ডার, বিশেষ করে যেখানে ইউরোপ ও আমেরিকা থেকে সরবরাহ করা অস্ত্র রাখা হয়েছিল। এই ঘটনায় সরকারিভাবে একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হলেও, বেসরকারি মতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা দপ্তর এই হামলার দায় স্বীকার করে জানিয়েছে যে, তারা ইউক্রেনের সেনা ছাউনি এবং কারখানা লক্ষ্য করে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে।
কূটনৈতিক তৎপরতা ও ট্রাম্পের মধ্যস্থতা
এই হামলার কিছুদিন আগেই আলাস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।এই বৈঠকের পর আশা করা হয়েছিল যে যুদ্ধের তীব্রতা কমে আসবে। পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং অন্যান্য ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গেও হোয়াইট হাউসে বৈঠক করেন।
তবে এই কূটনৈতিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও উত্তেজনা কমেনি। রুশ সংবাদমাধ্যমের স্পষ্ট দাবি, যুদ্ধবিরতির জন্য রাশিয়া দুটি প্রধান শর্ত দিয়েছে:
১. ইউক্রেনকে নিশ্চয়তা দিতে হবে যে তারা কখনও ন্যাটো জোটে যোগ দেবে না।
২. ইউক্রেনকে ডনবাস অঞ্চলের (দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক) পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ার হাতে তুলে দিতে হবে।
অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
বিশ্লেষকদের মতে, ইউরোপ ও আমেরিকার সম্মিলিত নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়ার অর্থনীতি খুব একটা দুর্বল হয়নি। রাশিয়া তেল ও জ্বালানি রপ্তানির জন্য চীন এবং ভারতের মতো নতুন বাণিজ্যিক অংশীদার খুঁজে পেয়েছে। অন্যদিকে, ইউক্রেনকে বিপুল পরিমাণে অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহ করার পরও প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন এবং যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে তাঁর জনসমর্থনও কমছে বলে জানা যাচ্ছে।
এর সাথে যোগ হয়েছে আমেরিকার নতুন বাণিজ্য নীতি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারত ও চীনের মতো দেশগুলোর সঙ্গে শুল্কযুদ্ধে জড়িয়েছেন, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে, ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যেও প্রশ্ন উঠেছে যে তারা আর কতদিন এই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারবে।