জাপানের মানুষ বিশ্বাস করেন - তাড়াহুড়োয় নয়, বরং ধীরে, সচেতনভাবে জীবনকে উপভোগ করার মধ্যেই আছে প্রকৃত স্বাস্থ্যের রহস্য। শরীর ও মনের প্রতিটি ছন্দ, প্রতিটি ছোট্ট অভ্যাস আমাদের সুস্থতার মূল চাবিকাঠি।
জাপানি সংস্কৃতিতে মনে করা হয়, শরীর একটি সম্পূর্ণ ইকোসিস্টেম - যেখানে পেট বা ‘হারা’ কে ধরা হয় শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের কেন্দ্রবিন্দু। বিশ্বাস করা হয়, এখানেই থাকে আমাদের প্রাণশক্তি বা কি।
জাপানি দৃষ্টিভঙ্গিতে ব্যায়ামের আসল উদ্দেশ্য শরীরকে কেবল ফিট রাখা নয়, বরং শরীর ও মনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করা। এখানে স্থিরতা, ধীর গতি, শ্বাস-প্রশ্বাস এবং বিরতি নেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়। এসব উপাদান সরাসরি প্রভাব ফেলে আমাদের অটোনমিক নার্ভাস সিস্টেম (ANS)-এর ওপর, যা ‘রেস্ট অ্যান্ড ডাইজেস্ট’ মোড সক্রিয় করে হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে।
বিশ্বের দীর্ঘায়ু মানুষের মধ্যে জাপানের ওকিনাওয়ার নাম বারবার উঠে আসে। গবেষকরা বলছেন, তাদের স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ুর বড় কারণ হল সচেতন গতি বা মাইন্ডফুল মুভমেন্ট।
তার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হল শিরিন-ইয়োকু বা ‘ফরেস্ট বাথিং’। প্রকৃতির মধ্যে ধীরে হাঁটা, শ্বাস নিতে নিতে বনভূমির গন্ধ, বাতাস ও শব্দ অনুভব করা - এই প্রক্রিয়া শরীর ও মনের গভীর সংযোগ তৈরি করে।
সচেতনভাবে হাঁটার ফলে -
• ANS সক্রিয় হয়, হজমতন্ত্র শিথিল হয়, ফলে খাবারের পুষ্টিগুণ ভালভাবে শোষিত হয়।
• কর্টিসল কমে, ফলে মানসিক চাপ কমে।
• ডোপামিন ও সেরোটোনিন বাড়ে, যা মেজাজ ও কগনিটিভ ফাংশন উন্নত করে।
• ভেগাস নার্ভ সক্রিয় হয়, ফলে মস্তিষ্ক ও হজমতন্ত্রের মধ্যে যোগাযোগ আরও উন্নত হয়।
• বনাঞ্চলের গাছে থাকা ফাইটোনোসাইডস-এর সংস্পর্শে শরীর উপকারী জীবাণু পায়, যা পেটের মধ্যে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়াদের সমৃদ্ধ করে।
হাঁটার স্বাস্থ্য-উপকারিতা
হাঁটা এমন এক্সারসাইজ যা সবচেয়ে সহজ, টেকসই এবং সবার জন্য উপযোগী। জিম, ওয়েট ট্রেনিং যেখানে অনেকের পক্ষে কঠিন বা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, সেখানে হাঁটাহাঁটি হার্ত সুস্থ রাখে, রক্তসঞ্চালন বাড়ায় এবং ধমনিতে ব্লকেজের ঝুঁকি কমায়। হজমশক্তি বাড়ায়, পুষ্টি শোষণ বাড়ায়।
অন্যান্য জাপানি ব্যায়ামপদ্ধতি
হাঁটার পাশাপাশি মাক্কো-হো স্ট্রেচিং ও হারা ব্রিদিং টেকনিকও প্রচলিত, যা পেট ও ব্রেনের সুস্থতায় ভূমিকা রাখে।
জাপানি সংস্কৃতিতে শৃঙ্খলা মানে শাস্তি নয়, বরং শরীরের প্রাকৃতিক ছন্দ মেনে চলা। ঋতুভিত্তিক খাবার খাওয়া (গরমে ঠান্ডা-ধরনের খাবার, শীতে গরম-ধরনের খাবার), সার্কাডিয়ান রিদম মেনে চলা, অর্থাৎ প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়া, ঘুমানো, নড়াচড়া করা - এসব আমাদের হরমোন ও মুড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
জাপানি সংস্কৃতিতে মনে করা হয়, শরীর একটি সম্পূর্ণ ইকোসিস্টেম - যেখানে পেট বা ‘হারা’ কে ধরা হয় শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের কেন্দ্রবিন্দু। বিশ্বাস করা হয়, এখানেই থাকে আমাদের প্রাণশক্তি বা কি।
জাপানি দৃষ্টিভঙ্গিতে ব্যায়ামের আসল উদ্দেশ্য শরীরকে কেবল ফিট রাখা নয়, বরং শরীর ও মনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করা। এখানে স্থিরতা, ধীর গতি, শ্বাস-প্রশ্বাস এবং বিরতি নেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়। এসব উপাদান সরাসরি প্রভাব ফেলে আমাদের অটোনমিক নার্ভাস সিস্টেম (ANS)-এর ওপর, যা ‘রেস্ট অ্যান্ড ডাইজেস্ট’ মোড সক্রিয় করে হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে।
বিশ্বের দীর্ঘায়ু মানুষের মধ্যে জাপানের ওকিনাওয়ার নাম বারবার উঠে আসে। গবেষকরা বলছেন, তাদের স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ুর বড় কারণ হল সচেতন গতি বা মাইন্ডফুল মুভমেন্ট।
তার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হল শিরিন-ইয়োকু বা ‘ফরেস্ট বাথিং’। প্রকৃতির মধ্যে ধীরে হাঁটা, শ্বাস নিতে নিতে বনভূমির গন্ধ, বাতাস ও শব্দ অনুভব করা - এই প্রক্রিয়া শরীর ও মনের গভীর সংযোগ তৈরি করে।
সচেতনভাবে হাঁটার ফলে -
• ANS সক্রিয় হয়, হজমতন্ত্র শিথিল হয়, ফলে খাবারের পুষ্টিগুণ ভালভাবে শোষিত হয়।
• কর্টিসল কমে, ফলে মানসিক চাপ কমে।
• ডোপামিন ও সেরোটোনিন বাড়ে, যা মেজাজ ও কগনিটিভ ফাংশন উন্নত করে।
• ভেগাস নার্ভ সক্রিয় হয়, ফলে মস্তিষ্ক ও হজমতন্ত্রের মধ্যে যোগাযোগ আরও উন্নত হয়।
• বনাঞ্চলের গাছে থাকা ফাইটোনোসাইডস-এর সংস্পর্শে শরীর উপকারী জীবাণু পায়, যা পেটের মধ্যে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়াদের সমৃদ্ধ করে।
হাঁটার স্বাস্থ্য-উপকারিতা
হাঁটা এমন এক্সারসাইজ যা সবচেয়ে সহজ, টেকসই এবং সবার জন্য উপযোগী। জিম, ওয়েট ট্রেনিং যেখানে অনেকের পক্ষে কঠিন বা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, সেখানে হাঁটাহাঁটি হার্ত সুস্থ রাখে, রক্তসঞ্চালন বাড়ায় এবং ধমনিতে ব্লকেজের ঝুঁকি কমায়। হজমশক্তি বাড়ায়, পুষ্টি শোষণ বাড়ায়।
অন্যান্য জাপানি ব্যায়ামপদ্ধতি
হাঁটার পাশাপাশি মাক্কো-হো স্ট্রেচিং ও হারা ব্রিদিং টেকনিকও প্রচলিত, যা পেট ও ব্রেনের সুস্থতায় ভূমিকা রাখে।
জাপানি সংস্কৃতিতে শৃঙ্খলা মানে শাস্তি নয়, বরং শরীরের প্রাকৃতিক ছন্দ মেনে চলা। ঋতুভিত্তিক খাবার খাওয়া (গরমে ঠান্ডা-ধরনের খাবার, শীতে গরম-ধরনের খাবার), সার্কাডিয়ান রিদম মেনে চলা, অর্থাৎ প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়া, ঘুমানো, নড়াচড়া করা - এসব আমাদের হরমোন ও মুড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।