ঢাকা , সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
দেশব্যাপী আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মৌলিক প্রশিক্ষণ, দ্বিতীয় ধাপের কার্যক্রম শুরু পুঠিয়ায় ঠিকাদার ও প্রকৌশলীর অবহেলায় স্থবির ১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওয়াসরুম নির্মান কাজ, চরম ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা দিশা পাটানির বাড়িতে গুলিবর্ষণ সোহাকে দেখেই যৌনাঙ্গ নাচিয়ে কুরুচিকর অঙ্গভঙ্গি! ডিজিটাল অ্যাপে পরকীয়া রমরমা চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইয়াবা ও গাঁজাসহ মাদক কারবারী গ্রেপ্তার বাবা হত্যায় ছেলের মৃত্যুদণ্ড, স্ত্রী ও সৎমায়ের কারাদণ্ড শ্বশুরবাড়িতে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শ্যালক নিহত, আহত ৫ ভিমরুলের কামড়ে শিশুর মৃত্যু দুর্গাপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘পার্সেন্টেজ’ আদায়ের অভিযোগ এসআইয়ের বিরুদ্ধে চড় মেরে শিশুর কান ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ডিগ্রী পরীক্ষা উপলক্ষ্যে আরএমপির গণবিজ্ঞপ্তি রাজশাহী অঞ্চলে নকল ও ভেজাল কীটনাশকে হাট-বাজার সয়লাব ইংরেজদের অভিবাসন বিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে বার্তা ইলন মাস্কের বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর জনপ্রিয় ১০ পর্ণ তারকা এন সি এল-এ রাজশাহী ভেন্যতে ঢাকা মেট্রোর জয় হরিপুরে প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট বেকার ছেলেকে বিয়ে করবেন কোটিপতি তানিয়া বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ, ৮'ম শ্রেণীর ছাত্রীকে বিয়ে রাজশাহী অঞ্চলে নকল ও ভেজাল কীটনাশকে হাট-বাজার সয়লাব

আল্লাহ্‌র চোখে দাউদ (আঃ)-এর প্রশংসনীয় গুণাবলী

  • আপলোড সময় : ১৩-০৮-২০২৫ ০২:৩৩:৪৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৩-০৮-২০২৫ ০২:৩৩:৪৭ অপরাহ্ন
আল্লাহ্‌র চোখে দাউদ (আঃ)-এর প্রশংসনীয় গুণাবলী প্রতিকী ছবি
আল্লাহ তা'আলা হযরত দাউদ (আঃ)-কে বিশেষ কিছু গুণাবলীতে ভূষিত করেছিলেন যা তাঁর নিকট অত্যন্ত পছন্দের ছিল। ইসলামের বিভিন্ন বর্ণনা অনুযায়ী, দাউদ (আঃ) ছিলেন একাধারে একজন নবী, ন্যায়পরায়ণ শাসক এবং আল্লাহ্‌র একনিষ্ঠ উপাসক। তাঁর যে গুণগুলো আল্লাহ্‌র কাছে বিশেষভাবে প্রিয় ছিল, সেগুলো হলো:

১. আল্লাহ্‌র প্রতি প্রত্যাবর্তনশীলতা ও কৃতজ্ঞতা: দাউদ (আঃ) আল্লাহ্‌র দিকে প্রত্যাবর্তন করতেন, অর্থাৎ যেকোনো পরিস্থিতিতে তিনি আল্লাহ্‌র উপর নির্ভর করতেন এবং তাঁর কাছেই ফিরে যেতেন। পবিত্র কোরআনে তাঁকে 'আউয়াব' বা 'বারবার প্রত্যাবর্তনকারী' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি আল্লাহ্‌র প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ একজন বান্দা ছিলেন।

২. ন্যায়বিচার ও প্রজ্ঞা: আল্লাহ তাঁকে রাজত্ব ও প্রজ্ঞা দান করেছিলেন। তিনি একজন আদর্শ ও ন্যায়পরায়ণ শাসক হিসেবে পরিচিত ছিলেন, যিনি পৃথিবীতে আল্লাহ্‌র কর্তৃত্বের প্রতীক হিসেবে কাজ করেছেন। আল্লাহ তাঁকে সুবিচার করার এবং খেয়াল-খুশির অনুসরণ না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

৩. ইবাদতে একনিষ্ঠতা: হযরত দাউদ (আঃ) ইবাদতের প্রতি অত্যন্ত কঠোর ছিলেন। তাঁর নামাজ ও রোজা আল্লাহ্‌র কাছে সর্বাধিক পছন্দনীয় ছিল। তিনি রাতের একটি অংশ ইবাদতে কাটাতেন এবং একদিন পর পর রোজা রাখতেন, যা 'দাউদি রোজা' নামে পরিচিত।

৪. সুমধুর কণ্ঠ ও আল্লাহ্‌র প্রশংসা: আল্লাহ তাঁকে এক অপূর্ব কণ্ঠস্বর দান করেছিলেন। তিনি যখন যাবুর কিতাব তেলাওয়াত করতেন, তখন পাহাড় ও পাখিরাও তাঁর সাথে আল্লাহ্‌র পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করত। তাঁর এই মোহনীয় সুরের প্রশংসা কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।

৫. দৈহিক ও আধ্যাত্মিক শক্তি: আল্লাহ দাউদ (আঃ)-কে আধ্যাত্মিক ও দৈহিক উভয় শক্তিতে বলীয়ান করেছিলেন। তিনি একজন শক্তিশালী ও সাহসী যোদ্ধা ছিলেন এবং শত্রুর মোকাবেলা করতে কখনো পশ্চাদপসরণ করতেন না।

৬. আল্লাহ্‌র ভালোবাসার জন্য দোয়া: দাউদ (আঃ) আল্লাহ্‌র ভালোবাসা পাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত দোয়া করতেন। তাঁর একটি দোয়া রাসূলুল্লাহ (সাঃ) খুব পছন্দ করতেন।

এছাড়াও, তিনি নিজ হাতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বাদশাহ হওয়া সত্ত্বেও তিনি বর্ম তৈরি করে তা বিক্রি করে খেতেন। এই সমস্ত গুণাবলীর জন্য হযরত দাউদ (আঃ) আল্লাহ্‌র একজন প্রিয় ও নৈকট্যপ্রাপ্ত বান্দা ছিলেন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Rajshahir Somoy

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
বিশ্ব বসতি দিবস উদ্যাপনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

বিশ্ব বসতি দিবস উদ্যাপনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত