বর্ষার দিন মানেই একসময় ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি, পরক্ষণেই তীব্র রোদ। এ সময়ে আবহাওয়া একেবারেই অস্থির- কখনও শীতল, কখনও উষ্ণ। এমন হঠাৎ তাপমাত্রার পরিবর্তন আর আর্দ্রতা মিলে নানা রকম রোগ-বালাই ছড়িয়ে পড়ে। জ্বর, সর্দি-কাশি, গলা বসে যাওয়া বা সংক্রমণ এই সময় খুব সাধারণ। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে ও রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়াতে কিছু প্রাকৃতিক পানীয় বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে (3 homemade drinks for monsoon)।
ডাবের জল: বর্ষাকালেও শরীরে জলের মাত্রা পর্যাপ্ত থাকা জরুরি। ডাবের জল শুধু গরমে শরীর ঠান্ডা রাখে না, বর্ষার সময়ও একইভাবে কাজ করে। রাতে ঘুমের পরে শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের হয়ে যায়, তখন শরীরকে নতুন করে শক্তি দিতে ভিটামিন ও খনিজ দরকার হয়। ডাবের জলে প্রচুর পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং সামান্য ভিটামিন সি থাকে। এগুলো শরীরের ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য ঠিক রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সরবরাহ করে। প্রতিদিন পরিমিত ডাবের জল খাওয়া পেট ও শরীর দুই-ই হালকা রাখে।
আদা-লবঙ্গ চা: গলায় খুসখুসে ভাব, কাশি বা গা ম্যাজম্যাজ করলে আদা-লবঙ্গ চা বেশ আরাম দেয়। সামান্য আদা থেঁতো করে, কয়েকটি লবঙ্গ ফুটন্ত জলে দিয়ে বানানো চা হালকা গরম অবস্থায় চুমুক দিয়ে খেলে গলা ও শরীর স্বস্তি পায়। আদায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও প্রদাহনাশক উপাদান, যা কাশি কমাতে সাহায্য করে। লবঙ্গের অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণ গলার সংক্রমণ ঠেকায়। জ্বর বা হালকা অসুস্থতার সময়ও এটি ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে বেশ জনপ্রিয়।
তুলসীর কারা: প্রাচীনকাল থেকেই তুলসী পাতার ভেষজ গুণের কদর রয়েছে। ছোটবেলায় ঠাকুরমা-মা তুলসীর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে সর্দি-কাশি সারাতেন। তুলসীর কারা বানাতে ফুটন্ত জলে তুলসীপাতা, গোলমরিচ ও দারচিনি দিয়ে ফুটিয়ে ছেঁকে নিন। গলার সংক্রমণ, সর্দি বা হালকা শ্বাসকষ্টে এটি দারুণ কাজে আসে। তুলসী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, গোলমরিচ ও দারচিনিও প্রদাহনাশক ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর। মধু মিশিয়ে নিলে স্বাদ যেমন বাড়ে, তেমন উপকারিতাও বেড়ে যায়।
এই বর্ষাকালে বৃষ্টি আর রোদের খেলার মাঝেও সুস্থ থাকতে হলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাই প্রধান অস্ত্র। ডাবের জল, ভেষজ চা বা তুলসীর কারা—এই পানীয়গুলো নিয়মিত খেলে শরীর থাকবে সতেজ, রোগের সঙ্গে লড়াইয়ের শক্তিও বাড়বে।
ডাবের জল: বর্ষাকালেও শরীরে জলের মাত্রা পর্যাপ্ত থাকা জরুরি। ডাবের জল শুধু গরমে শরীর ঠান্ডা রাখে না, বর্ষার সময়ও একইভাবে কাজ করে। রাতে ঘুমের পরে শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের হয়ে যায়, তখন শরীরকে নতুন করে শক্তি দিতে ভিটামিন ও খনিজ দরকার হয়। ডাবের জলে প্রচুর পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং সামান্য ভিটামিন সি থাকে। এগুলো শরীরের ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য ঠিক রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সরবরাহ করে। প্রতিদিন পরিমিত ডাবের জল খাওয়া পেট ও শরীর দুই-ই হালকা রাখে।
আদা-লবঙ্গ চা: গলায় খুসখুসে ভাব, কাশি বা গা ম্যাজম্যাজ করলে আদা-লবঙ্গ চা বেশ আরাম দেয়। সামান্য আদা থেঁতো করে, কয়েকটি লবঙ্গ ফুটন্ত জলে দিয়ে বানানো চা হালকা গরম অবস্থায় চুমুক দিয়ে খেলে গলা ও শরীর স্বস্তি পায়। আদায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও প্রদাহনাশক উপাদান, যা কাশি কমাতে সাহায্য করে। লবঙ্গের অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণ গলার সংক্রমণ ঠেকায়। জ্বর বা হালকা অসুস্থতার সময়ও এটি ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে বেশ জনপ্রিয়।
তুলসীর কারা: প্রাচীনকাল থেকেই তুলসী পাতার ভেষজ গুণের কদর রয়েছে। ছোটবেলায় ঠাকুরমা-মা তুলসীর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে সর্দি-কাশি সারাতেন। তুলসীর কারা বানাতে ফুটন্ত জলে তুলসীপাতা, গোলমরিচ ও দারচিনি দিয়ে ফুটিয়ে ছেঁকে নিন। গলার সংক্রমণ, সর্দি বা হালকা শ্বাসকষ্টে এটি দারুণ কাজে আসে। তুলসী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, গোলমরিচ ও দারচিনিও প্রদাহনাশক ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর। মধু মিশিয়ে নিলে স্বাদ যেমন বাড়ে, তেমন উপকারিতাও বেড়ে যায়।
এই বর্ষাকালে বৃষ্টি আর রোদের খেলার মাঝেও সুস্থ থাকতে হলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাই প্রধান অস্ত্র। ডাবের জল, ভেষজ চা বা তুলসীর কারা—এই পানীয়গুলো নিয়মিত খেলে শরীর থাকবে সতেজ, রোগের সঙ্গে লড়াইয়ের শক্তিও বাড়বে।