ঋতুস্রাব অনিয়মিত হয় অনেক মেয়েরই। নানা কারণ থাকে এর পিছনে। ইদানীংকালে মেয়েরা বেশি বয়সে সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। আর সে জন্য নানা শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। ৩৫ বছরের পর বা চল্লিশে পৌঁছে মা হতে গিয়ে যে সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে, তা হল জরায়ুতে টিউমার। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই টিউমার বিনাইন, অর্থাৎ ক্যানসারের কারণ হয়ে ওঠে না। তবে এই টিউমারের কারণেই বন্ধ্যাত্ব ঈসতে পারে বা গর্ভপাতের সমস্যা হতে পারে। চিকিৎসার পরিভাষায় জরায়ুর বিনাইন টিউমারকে বলা হয় ফাইব্রয়েড। সাম্প্রতিক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, মহিলাদের শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি এই ফাইব্রয়েড হওয়ার অন্যতম বড় কারণ।
ফাইব্রয়েড কী?
জরায়ুর ভিতরের দেওয়ালে বা বাইরের দিকে টিউমার তৈরি হয়। জরায়ু কোষের অনিয়মিত বিভাজন হতে থাকলে তা টিউমারের চেহারা নেয়। টিউমার আকারে ছোট হতে পারে আবার তা বেড়ে গিয়ে আয়তনে বড়ও হতে পারে। এই টিউমারকে বলে ফাইব্রয়েড। মহিলাদের সাধারণত ২১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ফাইব্রয়েড হতে দেখা যায়। জরায়ুর কোন জায়গায় টিউমার তৈরি হচ্ছে, সেই অনুযায়ী ফাইব্রয়েডকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়— ১) সাবমিউকোসাল ফাইব্রয়েড যা জরায়ুর ভিতরে দিকে বা ইউটেরাইন ক্যাভিটিতে হয়, ২) ইনট্রামিউরাল যা জরায়ুর ভিতরের দেওয়ালে তৈরি হয় এবং ৩) সাবসেরোজ়াল যা জরায়ুর বাইরের দিকে হয়।
ফাইব্রয়েড হলে তলপেটে তীব্র যন্ত্রণা, পেট ফুলে যাওয়া, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, ঋতুস্রাব অনিয়মিত হয়ে যাওয়া, ঋতুস্রাব চলাকালীন পেটে যন্ত্রণা হওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে ফাইব্রয়েডের কোনও উপসর্গ আগে থেকে বোঝা যায় না। সন্তানধারণের সময়ে সমস্যা দেখা দিতে থাকে।
দেশের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ’ থেকে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ভিটামিন ডি কেবল হাড়ের গঠন মজবুত করে তা নয়, এর আরও নানা কাজ রয়েছে। তার মধ্যে একটি হল কোষের গঠন ও বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা। ভিটামিন ডি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঢুকলে কোষের অনিয়মিত বিভাজন হতে পারে না। টিউমার কোষের বৃদ্ধি ও বিভাজনও থামিয়ে দিতে পারে ভিটামিন ডি। বিশেষ করে জরায়ুর কোষের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে এই ভিটামিনের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। যদি ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি বেশি হয়, তা হলে জরায়ু কোষের বিভাজন অনিয়মিত হয়ে যাবে, তখন টিউমার তৈরি হতে শুরু করবে। সাব-মিউকাস ফাইব্রয়েডের অন্যতম কারণ হল ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি।
গবেষকেরা জানাচ্ছেন, ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট নিলেও জরায়ুতে টিউমারের আশঙ্কা কমে। তবে রোজের খাওয়াদাওয়ায় ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার রাখতে পারলেই ভাল। এতে ঋতুস্রাবজনিত সমস্যাগুলিও থাকে না। দুধ, দই, মাছ, ডিম, ঘি, মাশরুমে ভিটামিন ডি থাকে। নানা রকম বাদাম ও বীজও রোজের ডায়েটে রাখতে পারলে ভাল হয়।
ফাইব্রয়েড কী?
জরায়ুর ভিতরের দেওয়ালে বা বাইরের দিকে টিউমার তৈরি হয়। জরায়ু কোষের অনিয়মিত বিভাজন হতে থাকলে তা টিউমারের চেহারা নেয়। টিউমার আকারে ছোট হতে পারে আবার তা বেড়ে গিয়ে আয়তনে বড়ও হতে পারে। এই টিউমারকে বলে ফাইব্রয়েড। মহিলাদের সাধারণত ২১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ফাইব্রয়েড হতে দেখা যায়। জরায়ুর কোন জায়গায় টিউমার তৈরি হচ্ছে, সেই অনুযায়ী ফাইব্রয়েডকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়— ১) সাবমিউকোসাল ফাইব্রয়েড যা জরায়ুর ভিতরে দিকে বা ইউটেরাইন ক্যাভিটিতে হয়, ২) ইনট্রামিউরাল যা জরায়ুর ভিতরের দেওয়ালে তৈরি হয় এবং ৩) সাবসেরোজ়াল যা জরায়ুর বাইরের দিকে হয়।
ফাইব্রয়েড হলে তলপেটে তীব্র যন্ত্রণা, পেট ফুলে যাওয়া, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, ঋতুস্রাব অনিয়মিত হয়ে যাওয়া, ঋতুস্রাব চলাকালীন পেটে যন্ত্রণা হওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে ফাইব্রয়েডের কোনও উপসর্গ আগে থেকে বোঝা যায় না। সন্তানধারণের সময়ে সমস্যা দেখা দিতে থাকে।
দেশের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ’ থেকে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ভিটামিন ডি কেবল হাড়ের গঠন মজবুত করে তা নয়, এর আরও নানা কাজ রয়েছে। তার মধ্যে একটি হল কোষের গঠন ও বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা। ভিটামিন ডি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঢুকলে কোষের অনিয়মিত বিভাজন হতে পারে না। টিউমার কোষের বৃদ্ধি ও বিভাজনও থামিয়ে দিতে পারে ভিটামিন ডি। বিশেষ করে জরায়ুর কোষের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে এই ভিটামিনের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। যদি ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি বেশি হয়, তা হলে জরায়ু কোষের বিভাজন অনিয়মিত হয়ে যাবে, তখন টিউমার তৈরি হতে শুরু করবে। সাব-মিউকাস ফাইব্রয়েডের অন্যতম কারণ হল ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি।
গবেষকেরা জানাচ্ছেন, ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট নিলেও জরায়ুতে টিউমারের আশঙ্কা কমে। তবে রোজের খাওয়াদাওয়ায় ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার রাখতে পারলেই ভাল। এতে ঋতুস্রাবজনিত সমস্যাগুলিও থাকে না। দুধ, দই, মাছ, ডিম, ঘি, মাশরুমে ভিটামিন ডি থাকে। নানা রকম বাদাম ও বীজও রোজের ডায়েটে রাখতে পারলে ভাল হয়।