জাতীয়স্তরে সেরা পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন সুদীপ্ত সেন, ২০২৩-এ মুক্তি পাওয়া ছবি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-র জন্য। শুধু সেরা পরিচালক নন। এ ছবি পেয়েছে সেরা সিনেমাটোগ্রাফির পুরস্কারও পেয়েছে। কিন্তু এই স্বীকৃতি খুশি করতে পারেনি পরিচালককে।
পুরস্কার ঘোষণার পরই কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন প্রতিবাদ জানিয়েছেন। যে ছবির বিরুদ্ধে উঠেছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদনার অভিযোগ, সেই ছবি জাতীয় স্তরে পুরস্কৃত হলে ভুল বার্তা যাবে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। বিজয়ন এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘‘জুরি এই ধরনের ছবিকে পুরস্কৃত করে কেরলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে এবং সাম্প্রদায়িক শান্তি ভঙ্গ করার চেষ্টা করছে। এটা শুধু মালয়লিদের অপমান নয়, দেশের সম্প্রীতির প্রতি আস্থা ভুলিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র। এমন সিনেমাকে যাঁরা পুরস্কৃত করেছেন, তাঁরা নিশ্চিত ভাবে সঙ্ঘ পরিবারকে খুশি করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’
এ দিকে নিজের পুরস্কার নিয়ে যথেষ্ট সন্তুষ্ট নন পরিচালক সুদীপ্ত সেন। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি জানিয়েছেন, তিনি অবাক, তাঁর প্রত্যাশা ছিল আরও বেশি। সুদীপ্ত বলেন, “আমি আরও কিছু পুরস্কার আশা করেছিলাম। আমার কলাকুশলীদের স্বীকৃতি দাবি করি। একটা ছবি যখন দু’বছর পড়ে থাকার পর মুক্তি পায়, তার পর সে ছবি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়, তখন এটা নিশ্চিত যে, কলাকুশলীরা অসামান্য। সে জন্যই আমি তাঁদের জন্য পুরস্কার প্রত্যাশা করেছিলাম।” যদিও তাঁর চিত্রগ্রাহক পুরস্কার পেয়েছেন, তবু পরিচালক দাবি করেন তিনি একটুও খুশি নন। তাঁর কথায়, “আমার চিত্রনাট্যকার, রূপটান শিল্পী এবং সর্বোপরি আমার নায়িকা অদা শর্মা যদি পুরস্কার পেতেন, আমি খুশি হতাম। সেটা তো হয়নি। ফলে আমার একটু কষ্টই হচ্ছে।”
সুদীপ্ত গত দু’দশকেরও বেশি সময় লড়াই করছেন বলে দাবি করেছেন। তার পর এই স্বীকৃতি অবশ্য তাঁর কাছে আশীর্বাদের মতোই, জানিয়েছেন পরিচালক। তাঁর কথায়, “দেশের তরফে এমন পুরস্কার অবশ্যই আমার কাছে বিরাট সম্মানের।” তিনি মনে করেন, এই পুরস্কার তাঁর পরিচিতি বাড়াবে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে পরিচালক হিসাবে তাঁর গ্রহণযোগ্যতাও বাড়বে। বলিউডের সঙ্গে যে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারেননি গত ২০-২৫ বছরে সে কথাও স্বীকার করেছেন সুদীপ্ত।
তিনি জানিয়েছেন, বলিউডে বহিরাগত হিসাবেই কাজ করেন, তেমন কেউ চেনেন না তাঁকে। কিন্তু তাতে তাঁর কোনও হেলদোল নেই। বলেন, “কোনও দিনই বলিউডকে আমার ঘরবাড়ি বলে মনে হয়নি। ওখানে যে ঘরনার ছবি বানানো হয়, আমি সেই ঘরানার নই। আমি বহিরাগত, অনেকেই আমাকে চেনেন না, তবে আমার চলচ্চিত্র জীবনে তার খুব একটা প্রভাব নেই। দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্যতাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।”
একেবারে প্রথম থেকেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ছবি তকমা লেগেছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-র গায়ে। সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাগিয়ে দিয়ে আমার কৃতিত্বকে ছোট করা যায় না।”
পুরস্কার ঘোষণার পরই কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন প্রতিবাদ জানিয়েছেন। যে ছবির বিরুদ্ধে উঠেছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদনার অভিযোগ, সেই ছবি জাতীয় স্তরে পুরস্কৃত হলে ভুল বার্তা যাবে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। বিজয়ন এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘‘জুরি এই ধরনের ছবিকে পুরস্কৃত করে কেরলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে এবং সাম্প্রদায়িক শান্তি ভঙ্গ করার চেষ্টা করছে। এটা শুধু মালয়লিদের অপমান নয়, দেশের সম্প্রীতির প্রতি আস্থা ভুলিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র। এমন সিনেমাকে যাঁরা পুরস্কৃত করেছেন, তাঁরা নিশ্চিত ভাবে সঙ্ঘ পরিবারকে খুশি করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’
এ দিকে নিজের পুরস্কার নিয়ে যথেষ্ট সন্তুষ্ট নন পরিচালক সুদীপ্ত সেন। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি জানিয়েছেন, তিনি অবাক, তাঁর প্রত্যাশা ছিল আরও বেশি। সুদীপ্ত বলেন, “আমি আরও কিছু পুরস্কার আশা করেছিলাম। আমার কলাকুশলীদের স্বীকৃতি দাবি করি। একটা ছবি যখন দু’বছর পড়ে থাকার পর মুক্তি পায়, তার পর সে ছবি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়, তখন এটা নিশ্চিত যে, কলাকুশলীরা অসামান্য। সে জন্যই আমি তাঁদের জন্য পুরস্কার প্রত্যাশা করেছিলাম।” যদিও তাঁর চিত্রগ্রাহক পুরস্কার পেয়েছেন, তবু পরিচালক দাবি করেন তিনি একটুও খুশি নন। তাঁর কথায়, “আমার চিত্রনাট্যকার, রূপটান শিল্পী এবং সর্বোপরি আমার নায়িকা অদা শর্মা যদি পুরস্কার পেতেন, আমি খুশি হতাম। সেটা তো হয়নি। ফলে আমার একটু কষ্টই হচ্ছে।”
সুদীপ্ত গত দু’দশকেরও বেশি সময় লড়াই করছেন বলে দাবি করেছেন। তার পর এই স্বীকৃতি অবশ্য তাঁর কাছে আশীর্বাদের মতোই, জানিয়েছেন পরিচালক। তাঁর কথায়, “দেশের তরফে এমন পুরস্কার অবশ্যই আমার কাছে বিরাট সম্মানের।” তিনি মনে করেন, এই পুরস্কার তাঁর পরিচিতি বাড়াবে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে পরিচালক হিসাবে তাঁর গ্রহণযোগ্যতাও বাড়বে। বলিউডের সঙ্গে যে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারেননি গত ২০-২৫ বছরে সে কথাও স্বীকার করেছেন সুদীপ্ত।
তিনি জানিয়েছেন, বলিউডে বহিরাগত হিসাবেই কাজ করেন, তেমন কেউ চেনেন না তাঁকে। কিন্তু তাতে তাঁর কোনও হেলদোল নেই। বলেন, “কোনও দিনই বলিউডকে আমার ঘরবাড়ি বলে মনে হয়নি। ওখানে যে ঘরনার ছবি বানানো হয়, আমি সেই ঘরানার নই। আমি বহিরাগত, অনেকেই আমাকে চেনেন না, তবে আমার চলচ্চিত্র জীবনে তার খুব একটা প্রভাব নেই। দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্যতাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।”
একেবারে প্রথম থেকেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ছবি তকমা লেগেছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-র গায়ে। সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাগিয়ে দিয়ে আমার কৃতিত্বকে ছোট করা যায় না।”