সব চেয়ে ছোট সাপের নাম কী? গ্রাম বাংলার অনেকেই বলবেন ‘তেলিয়া’ সাপ। আদৌ তা নয়। আঞ্চলিক ভাষায় পরিচিত ‘তেলিয়া’ কোনও সাপ-ই নয়। টিকটিকি প্রজাতির প্রাণী। বিশ্বের সবচেয়ে ছোট সাপের নাম ‘বার্বাডোস থ্রেড’। বিজ্ঞানীদের পরিসংখ্যানে এই সাপ ছিল ‘লুপ্ত’। তবে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের বার্বাডোস দ্বীপরাষ্ট্রে খুদে এই সাপের দেখা মিলল প্রায় দুই দশক পরে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সৌন্দর্যায়ন সংরক্ষণ গোষ্ঠী পরিবেশ সংক্রান্ত একটি সমীক্ষা চালানোর সময় একটি গাছের শেকড়ের সঙ্গে আটকে থাকা পাথরের নীচ থেকে এই সাপ উদ্ধার করেছে। ওই দ্বীপরাষ্ট্রের পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানাচ্ছে, এই সাপ ‘অন্ধ’ হয়। বিরল প্রজাতির এই সাপ দেখা গিয়েছিল ১৮৮৯ সালে। বিশ্বের সব চেয়ে ছোট কিন্তু কত ছোট? জানা যাচ্ছে, বার্বাডোস থ্রেড পূর্ণ বয়স্ক হলে তা লম্বায় হয় ৩-৪ সেন্টিমিটার। যা অনায়াসে একটি কয়েনের (মুদ্রার) মধ্যে ধরে যেতে পারে। বিশেষ প্রজাতির এই সাপের রঙ সাধারণত গাঢ় বাদামি ও ধূসর হয়। মাথার দু’পাশে থাকে চোখ, পিঠে থাকে কমলা রঙের ডোরাকাটা দাগ। নাকের কাছে লক্ষ্য করা যায় আঁশ।
বাদামি রঙের সাপটিকে উদ্ধার করার পরে পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রাণীবিদরা দাবি করেছেন, আক্রমণাত্মক ‘ব্রাহ্মণী ব্লাইন্ড’ সাপের প্রজাতির সঙ্গে বেশ মিল রয়েছে বার্বাডোস থ্রেডের। তবে বিপজ্জনক বিষ নেই। বরং ‘দুর্বল’ প্রজাতি। কারণ, সঙ্গমের পরে মাত্র একটি ডিম পাড়ে স্ত্রী বার্বাডোস থ্রেড। উল্লেখ্য, ‘ব্রাহ্মণী ব্লাইন্ড’ বংশ বৃদ্ধির জন্য সঙ্গম ছাড়াই অনেকগুলি ডিম পাড়ে।
কোনর ব্লাডেস ও জাস্টিস স্প্রিঙ্গার নামের দুই গবেষক উদ্ধার করেছিলেন বিশ্বের খুদে সাপটিকে। ‘লুপ্ত’ সাপকে নতুন করে উদ্ধার করে তাঁরা বিস্মিত। বনে সাপটিকে ছেড়ে দেওয়ার আগে স্প্রিঙ্গার জানান,‘‘এই প্রজাতির সাপের পরিবেশ বার্বাডোসের ‘বিশেষ’ বন। তাকে সংরক্ষণ করা দরকার। এই সংরক্ষণ শুধু বার্বাডোস থ্রেডের জন্যই নয়, প্রয়োজন উদ্ভিদ, প্রাণীকূল ও আমাদের ঐতিহ্যের জন্য।’’ প্রসঙ্গত, ক্যারিবিয়ন দ্বীপপুঞ্জের প্রাথমিক বনের মাত্র দুই শতাংশ এখনও পর্যন্ত টিকে আছে। বাকি ৯৮ শতাংশ বিলুপ্ত হয়েছে কৃষিকাজের জন্য, আর এই ধারা চলে আসছে চারশো বছর আগে ঔপনিবেশিক সময়ের সূচনা থেকেই।
প্রশাসন সূত্রে খবর, পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সৌন্দর্যায়ন সংরক্ষণ গোষ্ঠী পরিবেশ সংক্রান্ত একটি সমীক্ষা চালানোর সময় একটি গাছের শেকড়ের সঙ্গে আটকে থাকা পাথরের নীচ থেকে এই সাপ উদ্ধার করেছে। ওই দ্বীপরাষ্ট্রের পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানাচ্ছে, এই সাপ ‘অন্ধ’ হয়। বিরল প্রজাতির এই সাপ দেখা গিয়েছিল ১৮৮৯ সালে। বিশ্বের সব চেয়ে ছোট কিন্তু কত ছোট? জানা যাচ্ছে, বার্বাডোস থ্রেড পূর্ণ বয়স্ক হলে তা লম্বায় হয় ৩-৪ সেন্টিমিটার। যা অনায়াসে একটি কয়েনের (মুদ্রার) মধ্যে ধরে যেতে পারে। বিশেষ প্রজাতির এই সাপের রঙ সাধারণত গাঢ় বাদামি ও ধূসর হয়। মাথার দু’পাশে থাকে চোখ, পিঠে থাকে কমলা রঙের ডোরাকাটা দাগ। নাকের কাছে লক্ষ্য করা যায় আঁশ।
বাদামি রঙের সাপটিকে উদ্ধার করার পরে পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রাণীবিদরা দাবি করেছেন, আক্রমণাত্মক ‘ব্রাহ্মণী ব্লাইন্ড’ সাপের প্রজাতির সঙ্গে বেশ মিল রয়েছে বার্বাডোস থ্রেডের। তবে বিপজ্জনক বিষ নেই। বরং ‘দুর্বল’ প্রজাতি। কারণ, সঙ্গমের পরে মাত্র একটি ডিম পাড়ে স্ত্রী বার্বাডোস থ্রেড। উল্লেখ্য, ‘ব্রাহ্মণী ব্লাইন্ড’ বংশ বৃদ্ধির জন্য সঙ্গম ছাড়াই অনেকগুলি ডিম পাড়ে।
কোনর ব্লাডেস ও জাস্টিস স্প্রিঙ্গার নামের দুই গবেষক উদ্ধার করেছিলেন বিশ্বের খুদে সাপটিকে। ‘লুপ্ত’ সাপকে নতুন করে উদ্ধার করে তাঁরা বিস্মিত। বনে সাপটিকে ছেড়ে দেওয়ার আগে স্প্রিঙ্গার জানান,‘‘এই প্রজাতির সাপের পরিবেশ বার্বাডোসের ‘বিশেষ’ বন। তাকে সংরক্ষণ করা দরকার। এই সংরক্ষণ শুধু বার্বাডোস থ্রেডের জন্যই নয়, প্রয়োজন উদ্ভিদ, প্রাণীকূল ও আমাদের ঐতিহ্যের জন্য।’’ প্রসঙ্গত, ক্যারিবিয়ন দ্বীপপুঞ্জের প্রাথমিক বনের মাত্র দুই শতাংশ এখনও পর্যন্ত টিকে আছে। বাকি ৯৮ শতাংশ বিলুপ্ত হয়েছে কৃষিকাজের জন্য, আর এই ধারা চলে আসছে চারশো বছর আগে ঔপনিবেশিক সময়ের সূচনা থেকেই।