মীরাটের এক অচেনা টিনএজার মেয়ে রাতারাতি বলিউড তারকা হয়ে গিয়েছিলেন। রূপকথার গল্পের মতো এগিয়ে ছিল তাঁর শুরুর জীবন। সেই কিশোরীর নাম মন্দাকিনী। যদিও এই নাম তাঁকে দিয়েছিলেন স্বয়ং রাজ কাপুর। মন্দাকিনীর আসল নাম ছিল ইয়াসমিন জোসেফ। আজ অভিনেত্রীর জন্মদিন।
বাবা বিট্রিশ আর মা মুসলমান। অ্যাংলো ভারতীয় পরিবারে ইয়াসমিনের জন্ম হয় ১৯৬৩-র ৩০ জুলাই। ‘রাম তেরি গঙ্গা মইলি’ ছবির নায়িকা চরিত্রের নাম ছিল 'গঙ্গা'। সেই যৌন আবেদনময়ী চরিত্রে ইয়াসমিনকে দেখেই কাস্ট করেন রাজ কাপুর। কিন্তু ভারতীয় দর্শকরা একজন অ্যাংলো মুসলিম মেয়েকে এই ছবির নায়িকা হিসেবে মেনে নেবে না, বুঝেছিলেন রাজ। তাই ইয়াসমিন নাম বদলে মন্দাকিনী নাম করে দেন রাজ কাপুর।
যদিও ‘রাম তেরি গঙ্গা মইলি’ তে প্রথমে এই নায়িকা গঙ্গার রোলে পদ্মিনী কোলাপুরীকে নিতে চেয়েছিলেন রাজ কাপুর। কিন্তু অত ছোট বয়সে চুম্বন দৃশ্যে কাজ করতে চাননি পদ্মিনী। তাই তিনি ফিরিয়ে দেন রাজ কাপুরের প্রস্তাব।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে মন্দাকিনী রাজ কাপুরের চোখে পড়ে যান। মন্দাকিনী যখন রাজের সঙ্গে দেখা করতে যান তখন চূড়িদার-কামিজ পরে গিয়েছিলেন। রাজ তাঁকে দেখে মুগ্ধ হন। রাজ মন্দাকিনীকে বলেছিলেন 'তুমি যদি ওয়েস্টার্ন পোশাক পরে আসতে তাহলে তোমাকে নিতাম না। ভারতীয় চরিত্রে এই পোশাকেই তোমাকে দেখে মুগ্ধ হলাম।'
রাজ আরও বলেছিলেন মন্দাকিনীকে 'তোমার তো ছোট ভাইবোন আছে, ওদের কখনও কোলে করে দুধ খাইয়েছ?' মন্দাকিনী বলেছিলেন 'হ্যাঁ আমাদের তো মধ্যবিত্ত পরিবার আমি তো রোজই ভাইবোনকে খাওয়াই।'
‘রাম তেরি গঙ্গা মইলি’ ছবিতে দুটি সাহসী দৃশ্য ছিল। সাদা শাড়িতে মন্দাকিনীর স্নান আর বুকে করে স্তন পান করানোর দৃশ্য। দুটি দৃশ্যতেই অভিনয় করে ঝড় তুলেছিলেন মন্দাকিনী। রাতারাতি এক অচেনা কিশোরী মেয়ে তামাম ভারতের মাথা ঘুরিয়ে দেন। এক মুহুর্তে রীতিমত সেক্স সিম্বল হয়ে গিয়েছিলেন মন্দাকিনী। ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ নায়িকার নাম উঠে যায় মন্দাকিনীর।
রাজ কাপুরকে সমালোচকরা বলেছিলেন রাজ শুধুমাত্র খোলামেলা দৃশ্য দেখিয়ে ছবি হিট করাতে চান। উত্তরে রাজ বলেছিলেন 'বিখ্যাত শিল্পীরা যখন খোলামেলা ছবি আঁকেন তখন তা দৃষ্টিকটু লাগে না? তাহলে তো 'খাজুরাহো' মন্দিরকে অস্বীকার করতে হয়!'
আরও কয়েকটি বানিজ্যসফল ছবিতে অভিনয় করেন মন্দাকিনী। মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে ‘ড্যান্স ড্যান্স’, আদিত্য পাঞ্চোলির সঙ্গে ‘কাহা হ্যায় কানুন’ এবং গোবিন্দার সঙ্গে ‘পেয়ার কারকে দেখো’ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। কিন্তু তাঁর প্রথম ছবির মতো বাকিগুলো এত চর্চিত ছিল না।
বরং তাঁর ব্যক্তিগত জীবন বেশি চর্চিত ছিল। কুখ্যাত গ্যাংস্টার ও আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে রীতিমত তোলপাড় হয়েছিল সেই সময়।
তবে ফিল্ম আর রহস্য জীবন থেকে মুক্তি পেতে আধ্যাত্মিক জীবনে চলে যান মন্দাকিনী। এছাড়া তাঁর আর মুক্তির পথ ছিল না। তিনি দালাই লামার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। পরে তিনি বৌদ্ধধর্মের এক প্রাক্তন সন্ন্যাসীকে বিয়ে করেন। তাঁর নাম কাগিউর টি রিনপোচ ঠাকুর। স্বামীর পদবি অনুসরণ করে তিনি তাঁর নামের শেষে ঠাকুর পদবি যোগ করেন। তিনি নিজেকে এখন ইয়াসমিন জোসেফ ঠাকুর নামেই পরিচয় দিয়ে থাকেন। বিয়ের পর তাঁদের একটি পুত্র ও কন্যাসন্তান হয়। তাঁর ছেলের নাম রাব্বিল, মেয়ের নাম রাব্বে ইয়ান্না। তবে ইদানিং কালে আবার প্রকাশ্যে এসেছেন অভিনেত্রী। নানা অ্যাওয়ার্ড শোতে দেখা যায় তাঁকে।
বাবা বিট্রিশ আর মা মুসলমান। অ্যাংলো ভারতীয় পরিবারে ইয়াসমিনের জন্ম হয় ১৯৬৩-র ৩০ জুলাই। ‘রাম তেরি গঙ্গা মইলি’ ছবির নায়িকা চরিত্রের নাম ছিল 'গঙ্গা'। সেই যৌন আবেদনময়ী চরিত্রে ইয়াসমিনকে দেখেই কাস্ট করেন রাজ কাপুর। কিন্তু ভারতীয় দর্শকরা একজন অ্যাংলো মুসলিম মেয়েকে এই ছবির নায়িকা হিসেবে মেনে নেবে না, বুঝেছিলেন রাজ। তাই ইয়াসমিন নাম বদলে মন্দাকিনী নাম করে দেন রাজ কাপুর।
যদিও ‘রাম তেরি গঙ্গা মইলি’ তে প্রথমে এই নায়িকা গঙ্গার রোলে পদ্মিনী কোলাপুরীকে নিতে চেয়েছিলেন রাজ কাপুর। কিন্তু অত ছোট বয়সে চুম্বন দৃশ্যে কাজ করতে চাননি পদ্মিনী। তাই তিনি ফিরিয়ে দেন রাজ কাপুরের প্রস্তাব।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে মন্দাকিনী রাজ কাপুরের চোখে পড়ে যান। মন্দাকিনী যখন রাজের সঙ্গে দেখা করতে যান তখন চূড়িদার-কামিজ পরে গিয়েছিলেন। রাজ তাঁকে দেখে মুগ্ধ হন। রাজ মন্দাকিনীকে বলেছিলেন 'তুমি যদি ওয়েস্টার্ন পোশাক পরে আসতে তাহলে তোমাকে নিতাম না। ভারতীয় চরিত্রে এই পোশাকেই তোমাকে দেখে মুগ্ধ হলাম।'
রাজ আরও বলেছিলেন মন্দাকিনীকে 'তোমার তো ছোট ভাইবোন আছে, ওদের কখনও কোলে করে দুধ খাইয়েছ?' মন্দাকিনী বলেছিলেন 'হ্যাঁ আমাদের তো মধ্যবিত্ত পরিবার আমি তো রোজই ভাইবোনকে খাওয়াই।'
‘রাম তেরি গঙ্গা মইলি’ ছবিতে দুটি সাহসী দৃশ্য ছিল। সাদা শাড়িতে মন্দাকিনীর স্নান আর বুকে করে স্তন পান করানোর দৃশ্য। দুটি দৃশ্যতেই অভিনয় করে ঝড় তুলেছিলেন মন্দাকিনী। রাতারাতি এক অচেনা কিশোরী মেয়ে তামাম ভারতের মাথা ঘুরিয়ে দেন। এক মুহুর্তে রীতিমত সেক্স সিম্বল হয়ে গিয়েছিলেন মন্দাকিনী। ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ নায়িকার নাম উঠে যায় মন্দাকিনীর।
রাজ কাপুরকে সমালোচকরা বলেছিলেন রাজ শুধুমাত্র খোলামেলা দৃশ্য দেখিয়ে ছবি হিট করাতে চান। উত্তরে রাজ বলেছিলেন 'বিখ্যাত শিল্পীরা যখন খোলামেলা ছবি আঁকেন তখন তা দৃষ্টিকটু লাগে না? তাহলে তো 'খাজুরাহো' মন্দিরকে অস্বীকার করতে হয়!'
আরও কয়েকটি বানিজ্যসফল ছবিতে অভিনয় করেন মন্দাকিনী। মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে ‘ড্যান্স ড্যান্স’, আদিত্য পাঞ্চোলির সঙ্গে ‘কাহা হ্যায় কানুন’ এবং গোবিন্দার সঙ্গে ‘পেয়ার কারকে দেখো’ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। কিন্তু তাঁর প্রথম ছবির মতো বাকিগুলো এত চর্চিত ছিল না।
বরং তাঁর ব্যক্তিগত জীবন বেশি চর্চিত ছিল। কুখ্যাত গ্যাংস্টার ও আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে রীতিমত তোলপাড় হয়েছিল সেই সময়।
তবে ফিল্ম আর রহস্য জীবন থেকে মুক্তি পেতে আধ্যাত্মিক জীবনে চলে যান মন্দাকিনী। এছাড়া তাঁর আর মুক্তির পথ ছিল না। তিনি দালাই লামার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। পরে তিনি বৌদ্ধধর্মের এক প্রাক্তন সন্ন্যাসীকে বিয়ে করেন। তাঁর নাম কাগিউর টি রিনপোচ ঠাকুর। স্বামীর পদবি অনুসরণ করে তিনি তাঁর নামের শেষে ঠাকুর পদবি যোগ করেন। তিনি নিজেকে এখন ইয়াসমিন জোসেফ ঠাকুর নামেই পরিচয় দিয়ে থাকেন। বিয়ের পর তাঁদের একটি পুত্র ও কন্যাসন্তান হয়। তাঁর ছেলের নাম রাব্বিল, মেয়ের নাম রাব্বে ইয়ান্না। তবে ইদানিং কালে আবার প্রকাশ্যে এসেছেন অভিনেত্রী। নানা অ্যাওয়ার্ড শোতে দেখা যায় তাঁকে।