রাজশাহীর তানোরে প্রান্তিক কৃষকদের কষ্টার্জিত ফসলের মুনাফা লুটছে একশ্রেণীর মধ্যস্বত্ত্বভোগী ফড়িয়া। কারণ ফসল উঠানোর সময় তারা সিন্ডিকেট করে ধান-গম কেনা বন্ধ করে দেয়।কিন্ত্ত কৃষকেরা তো ধান-গম দীর্ঘ সময় মজুদ রাখতে পারে না। দায়-দেনা পরিশোধের জন্য ধান বিক্রি করতে বাধ্য হয়। তখন তারা কম দামে ধান কিনে মজুদ ও কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দিগুন দামে বিক্রি করে।
সাধারণত কৃষকদের ঘরে যখন ধান থাকে না, তখন ধানের দাম বেশ চড়া হয়ে যায়। এর কারণ হলো, যখন ধান কাটার মৌসুম শেষ হয়ে যায়, তখন বাজারে ধানের সরবরাহ কমে যায়। ফলে, চাহিদা ও জোগানের নিয়ম অনুযায়ী ধানের দাম বেড়ে যায়। এছাড়া মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়া ও বড় বড় মহাজনরা ওই সময় ধান ক্রয় করে গুদামে মজুদ রাখে। তারপর বেশি দামে বিক্রি করে যা বাজারে ধানের দাম আরও বাড়িয়ে দেয়। এবার ধানের দাম যেন আকাশছোঁয়া। ধানের এত দাম এর আগে আর কেউ দেখেনি। গত সপ্তাহে বিভিন্ন হাটবাজার ও মোকামে জিরা (চিকন) ধান বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১৭৫০ টাকা দামে। বর্তমানে ১৬০০ টাকা থেকে ১৬৫০ টাকা মন দামে ধান বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ধানের দাম অবশেষে বাড়ল, কিন্তু কৃষকের ঘরে এখন নেই ধান।
জানা যায়, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ধান কাটা মাড়াইয়ের শুরুতে সব ধান ক্রয় করেন মহাজনরা। ধানের দাম বাড়ায় এখন তাদের পোয়াবারো। ধান ও চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, তাদের ব্যবসায়িক জীবনে ধানের এত দাম কখনও দেখেননি। কথা হয় উপজলোর ধান ব্যবসায়ী মতির সঙ্গে। দীর্ঘ প্রায় দুই দশক ধরে ধানের ব্যবসা করে আসছেন তিনি। ধান কিনে তা শুকিয়ে মুজদ করে রেখে পরে সরকারি গুদাম বা বাজারে বিক্রি করাই তার প্রধান বাবসা। ধানের দাম নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ধানের এত দাম জীবনে প্রথম দেখলাম। এবারই প্রথম এক মণ জিরাশাইল ধান ১৭৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, একই ধান এক বছর আগে কেনা হয় সর্বোচ্চ ১২০০ টাকায়। এবার এক মণ জিরাশাইল ধান গড়ে ১৬০০ থেকে ১৬৫০ টাকায় কিনতে হয়েছে। এলাকার কৃষক কামরুল ধানের দাম প্রসঙ্গে বলেন, অন্যান্য বছরে ধানের দাম কম পাওয়ায় এবার ধানের আবাদ কম করেছি। লোকসান করে কী আবাদ করা যায় ? অনান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের উৎপাদন কম,কিন্তু দামও বেশ চড়া। আগামী বছর কৃষকরা ভালো দামের আশায় ফের যথন উৎপাদন বাড়াবেন। ঠিক তখন উৎপাদন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দামও কমবে। আসলে কৃষক কখনও তার কষ্টার্জিত ফসলের ভালো দাম পান না। মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়ারা খেয়ে যায়।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সরকারি ভাবে ধান সংগ্রহের জন্য যে পক্রিয়া প্রয়োজন তাতে কৃষকের কোনো লাভ হয় না। কারণ সরকারি গুদামে ধান দিতে হলে যে গ্রেডে ধান শুকাতে হয় সেটা অনেক কৃষকের জানাই নেই। এছাড়াও সরকারি ধান ক্রয়ের পক্রিয়া ধীরগতি হওয়ায় অনেক কৃষক সে সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারেন না। কারণ নতুন ধান বাড়িতে আসার সঙ্গে সঙ্গে পাওনাদারদের চাপ। ফলে কম দামেই বাজারে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হয় কৃষকরা। আর এ সুযোগ নেন মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়ারা। তারা কম দামে ধান কিনে গ্রেড অনুযায়ী তা পরিচর্যা করে গুদামে সংরক্ষণ করেন।পরে সুযোগ বুঝে বেশি দামে সরকারি গুদামে সরবরাহ করেন। অর্থাৎ মধ্যস্বত্বভোগী, ফড়িয়া ও বড় বড় মহাজনের লাভের পাল্লা সব সময় ভারিই থাকে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৩ হাজার ৩৮৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছিলো। আলু তোলার পর পুরো জমিতেই টি-আমণ ধান চাষ করেছেন কৃষকরা। টি-আমণের ভেঁজা ধান এক বস্তা (দুই মণ) বিক্রি হয়েছে ১৪০০ টাকা থেকে ১৬০০ টাকায়। অথচ শুকানোর পর সেই ধান বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ ১৩৫০ টাকা ১৪০০ টাকায়,তবে সেই ধান এখন কৃষকের ঘরে নাই, আছে মধ্যস্বত্ত্বভোগী ফড়িয়াদের ঘরে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, তানোরে চলতি মৌসুমে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৪ হাজার ২০০ হেক্টর, কিন্তু চাষাবাদ হয়েছিল ১৪ হাজার ১৩০ হেক্টর, ৭০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়নি। এদিকে উপজেলায় ২০২৫ সালের অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ৪৯ টাকা কেজী দরে অটো ও হাস্কিং মিল থেকে ৬২০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও ৩৬ টাকা কেজী দরে এক হাজার ৭২ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
                           সাধারণত কৃষকদের ঘরে যখন ধান থাকে না, তখন ধানের দাম বেশ চড়া হয়ে যায়। এর কারণ হলো, যখন ধান কাটার মৌসুম শেষ হয়ে যায়, তখন বাজারে ধানের সরবরাহ কমে যায়। ফলে, চাহিদা ও জোগানের নিয়ম অনুযায়ী ধানের দাম বেড়ে যায়। এছাড়া মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়া ও বড় বড় মহাজনরা ওই সময় ধান ক্রয় করে গুদামে মজুদ রাখে। তারপর বেশি দামে বিক্রি করে যা বাজারে ধানের দাম আরও বাড়িয়ে দেয়। এবার ধানের দাম যেন আকাশছোঁয়া। ধানের এত দাম এর আগে আর কেউ দেখেনি। গত সপ্তাহে বিভিন্ন হাটবাজার ও মোকামে জিরা (চিকন) ধান বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১৭৫০ টাকা দামে। বর্তমানে ১৬০০ টাকা থেকে ১৬৫০ টাকা মন দামে ধান বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ধানের দাম অবশেষে বাড়ল, কিন্তু কৃষকের ঘরে এখন নেই ধান।
জানা যায়, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ধান কাটা মাড়াইয়ের শুরুতে সব ধান ক্রয় করেন মহাজনরা। ধানের দাম বাড়ায় এখন তাদের পোয়াবারো। ধান ও চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, তাদের ব্যবসায়িক জীবনে ধানের এত দাম কখনও দেখেননি। কথা হয় উপজলোর ধান ব্যবসায়ী মতির সঙ্গে। দীর্ঘ প্রায় দুই দশক ধরে ধানের ব্যবসা করে আসছেন তিনি। ধান কিনে তা শুকিয়ে মুজদ করে রেখে পরে সরকারি গুদাম বা বাজারে বিক্রি করাই তার প্রধান বাবসা। ধানের দাম নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ধানের এত দাম জীবনে প্রথম দেখলাম। এবারই প্রথম এক মণ জিরাশাইল ধান ১৭৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, একই ধান এক বছর আগে কেনা হয় সর্বোচ্চ ১২০০ টাকায়। এবার এক মণ জিরাশাইল ধান গড়ে ১৬০০ থেকে ১৬৫০ টাকায় কিনতে হয়েছে। এলাকার কৃষক কামরুল ধানের দাম প্রসঙ্গে বলেন, অন্যান্য বছরে ধানের দাম কম পাওয়ায় এবার ধানের আবাদ কম করেছি। লোকসান করে কী আবাদ করা যায় ? অনান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের উৎপাদন কম,কিন্তু দামও বেশ চড়া। আগামী বছর কৃষকরা ভালো দামের আশায় ফের যথন উৎপাদন বাড়াবেন। ঠিক তখন উৎপাদন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দামও কমবে। আসলে কৃষক কখনও তার কষ্টার্জিত ফসলের ভালো দাম পান না। মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়ারা খেয়ে যায়।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সরকারি ভাবে ধান সংগ্রহের জন্য যে পক্রিয়া প্রয়োজন তাতে কৃষকের কোনো লাভ হয় না। কারণ সরকারি গুদামে ধান দিতে হলে যে গ্রেডে ধান শুকাতে হয় সেটা অনেক কৃষকের জানাই নেই। এছাড়াও সরকারি ধান ক্রয়ের পক্রিয়া ধীরগতি হওয়ায় অনেক কৃষক সে সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারেন না। কারণ নতুন ধান বাড়িতে আসার সঙ্গে সঙ্গে পাওনাদারদের চাপ। ফলে কম দামেই বাজারে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হয় কৃষকরা। আর এ সুযোগ নেন মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়ারা। তারা কম দামে ধান কিনে গ্রেড অনুযায়ী তা পরিচর্যা করে গুদামে সংরক্ষণ করেন।পরে সুযোগ বুঝে বেশি দামে সরকারি গুদামে সরবরাহ করেন। অর্থাৎ মধ্যস্বত্বভোগী, ফড়িয়া ও বড় বড় মহাজনের লাভের পাল্লা সব সময় ভারিই থাকে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৩ হাজার ৩৮৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছিলো। আলু তোলার পর পুরো জমিতেই টি-আমণ ধান চাষ করেছেন কৃষকরা। টি-আমণের ভেঁজা ধান এক বস্তা (দুই মণ) বিক্রি হয়েছে ১৪০০ টাকা থেকে ১৬০০ টাকায়। অথচ শুকানোর পর সেই ধান বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ ১৩৫০ টাকা ১৪০০ টাকায়,তবে সেই ধান এখন কৃষকের ঘরে নাই, আছে মধ্যস্বত্ত্বভোগী ফড়িয়াদের ঘরে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, তানোরে চলতি মৌসুমে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৪ হাজার ২০০ হেক্টর, কিন্তু চাষাবাদ হয়েছিল ১৪ হাজার ১৩০ হেক্টর, ৭০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়নি। এদিকে উপজেলায় ২০২৫ সালের অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ৪৯ টাকা কেজী দরে অটো ও হাস্কিং মিল থেকে ৬২০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও ৩৬ টাকা কেজী দরে এক হাজার ৭২ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
 
  আলিফ হোসেন
 আলিফ হোসেন  
                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                