ঢাকা , সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫ , ২১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
‘চাহিদা মেটাতে করণের সঙ্গে প্রেম করেছিলাম’: আনুশা দাণ্ডেকার অবশেষে ‘নতুন’ সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন প্রেরণা! বাংলাদেশে নির্বাচিত যে কোনো সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত: বিক্রম মিশ্রি ২১ লাখ মৃত ভোটার চিহ্নিত, তারাও ভোট দিতেন: সিইসি চিকিৎসায় নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী গাজায় এখনও বোমা ফেলছে ইসরায়েল, নিহত ৬৩ টানা ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত আল্লাহর রহমত লাভের ৩ আমল স্ক্রিনশট ফাঁস করে সতর্ক করলেন নুসরাত ফারিয়া ফ্লোটিলার যাত্রীদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন, পান করতে হয়েছে টয়লেটের পানি নাটোরে বাসচাপায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত গহীন জঙ্গলে ইউপিডিএফ’র গোপন আস্তানার সন্ধান, অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার ‘দেশের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততা বাড়ানো জরুরি’: প্রধান উপদেষ্টা কাশির সিরাপ শিশুর জন্য ক্ষতিকর, কাশি, ওষুধের বদলে কী কী খেলে কাজ হবে বেশি? বন্যায় বিপর্যস্ত নেপালে মৃত ৫১ জন ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রীর আকস্মিক পদত্যাগ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রধান-সহকারী প্রধান নিয়োগ বন্ধ রাখার নির্দেশ মারধর থেকে এক ব্যক্তিকে রক্ষা করায় কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা নিয়ামতপুরে ইসলামী ব্যাংকে এস আলম কর্তৃক অনিয়মের বিরুদ্ধে মানববন্ধন মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ১৫

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভাতিজি ২০ শিশুর প্রাণ বাঁচানো সেই শিক্ষিকা মাহরিন!

  • আপলোড সময় : ২২-০৭-২০২৫ ০৩:৪৭:৩০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২২-০৭-২০২৫ ০৩:৪৭:৩০ অপরাহ্ন
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভাতিজি ২০ শিশুর প্রাণ বাঁচানো সেই শিক্ষিকা মাহরিন! ছবি: সংগৃহীত
উত্তরার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আলোচনায় মাইলস্টোন স্কুলটির শিক্ষিকা মাহরিন চৌধুরী। যিনি একাই প্রাণ বাঁচিয়েছেন ২০ জন কোমলমতি শিশুর। অবুঝ এসব শিশুদের প্রাণ বাঁচাতে গিয়েই বিসর্জন দিয়েছেন নিজের জীবন। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার মৃত্যুতে সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে দেখা যাচ্ছে শোকাবহ চিত্র। এবার সামনে এসেছে সাহসী এই নারীর পরিচয়। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার রহমানের আদরের ভাতিজি তিনি। প্রয়াত জিয়াউর রহমানের মামাতো ভাই এম আর চৌধুরীর কন্যা এই মাহরিন চৌধুরী। 

নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরী পাড়ার মেয়ে মাহরিন চৌধুরী ছিলেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একজন আদর্শ শিক্ষিকা। শিক্ষার্থীদের জীবন বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবস বিসর্জন দেওয়া এই নারী কখনোই তার রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করতেন না। অথচ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার সময় যখন অনেক নেতা গ্রেপ্তার এড়াতে দূরে থাকতেন, তখন মাহরিন চৌধুরী সাহসিকতার সঙ্গে খাবার নিয়ে হাজির হতেন হাসপাতাল কিংবা কারাগারে। জিয়া পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ থাকলেও কেউ ক্ষুনাক্ষরেও জানেনি তার সত্যিকারের পরিচয়। 

মাহরিন চৌধুরী একজন নিষ্ঠাবান শিক্ষিকা হিসেবেই পরিচিত ছিলেন বিশ্বজুড়ে। স্বজনদের ভাষ্যে, মাহরিন প্রচারবিমুখ মানুষ ছিলেন। কোনো মিডিয়া কাভারেজ বা বাহবায় কোন রকমের আগ্রহ ছিল না তার। তিনি কাজ করতেন নিঃশব্দে, নিঃস্বার্থভাবে, মানুষের জন্য। 

সোমবার (২১ জুলাই) মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হলে ভবনের ভিতরে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে এগিয়ে যান মাহরিন চৌধুরী। ২০ জন শিক্ষার্থীকে নিরাপদে বের করতে সক্ষম হলেও নিজে আর বের হতে পারেননি। ঘটনাস্থলেই তার শরীরের একটি অংশ দগ্ধ হয়। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় সোমবার রাত সাড়ে দশটায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। 

এদিকে সামাজিক মাধ্যমে তার আসল পরিচয় বের হয়ে আসার পর থেকেই হচ্ছে নানা আলোচনা। কেউ বলছেন আপোষহীন নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভাতিজি বলে কথা। জিয়া যেমন সাধারণ মানুষের জন্য ভাবেনি নিজের কথা, দিয়ে গেছেন আপন প্রাণ। তেমনি তার ভাতিজিও নিজের প্রাণ দিয়ে গেলেন কোমলমতি শিশুদের বাঁচাতে গিয়ে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Rajshahir Somoy

কমেন্ট বক্স
মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ১৫

মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ১৫