স্বাস্থ্যোদ্ধারের জন্য রাতে হলুদ দেওয়া দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদেরা। কিন্তু সেই হলুদ মেশানো দুধে হলুদ আর দুধ ছাড়াও আরও কিছু উপকরণ মেশাতে বলা হয়। মধু, আদা, গোলমরিচ ইত্যাদি। শীতকালে তার সঙ্গে ছোট এলাচ, দারচিনির গুঁড়োও মেশান কেউ কেউ। এই প্রতিটি উপকরণেরই নিজস্ব উপযোগিতা আছে। কিন্তু এদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হল গোলমরিচ। হলুদের সঙ্গে গোলমরিচ না মিশিয়ে খেলে ওষুধ বা পথ্যের বারো আনাই মাটি। কারণ গোলমরিচ ছাড়া হলুদের সম্পূর্ণ উপকার পাওয়াই সম্ভব নয়। অন্য দিকে, হলুদ আর গোলমরিচ একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে হলুদে থেকে উপকারী কারকিউমিন সংগ্রহ করার ক্ষমতা ২০০০ শতাংশ বেড়ে যায় শরীরের। এ তো গেল তত্ত্বকথা। হলুদ আর গোলমরিচ একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে শরীরে কী কী উপকার হয়?
সম্প্রতি সে ব্যাপারে জানিয়েছেন চিকিৎসক সৌরভ শেঠি। এমস এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশিক্ষিত লিভার এবং অন্ত্রের রোগের চিকিৎসক শেঠি। বর্তমানে তিনি আমেরিকান সোসাইটি অফ গ্যাস্ট্রোইন্টেসটাইনাল এন্ডোস্কপি এবং ইন্টারনাল মেডিসিনের অনুমোদিত চিকিৎসক। অতিমারির সময় থেকেই নিজের সমাজমাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে আসছেন সৌরভ। বর্তমানে তাঁর অনুগামী সংখ্যা ১২ লক্ষ। তাঁর অনুরাগীর তালিকায় রয়েছেন বলিউডের স্বাস্থ্যসচেতন নায়ক-নায়িকারাও। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে সৌরভ জানিয়েছেন, হলুদের সঙ্গে গোলমরিচ মিশিয়ে নিয়মিত খেলে কী কী উপকার হয় শরীরের।
১। বাতের ব্যথা, অস্থিসন্ধির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে হলুদ এবং গোলমরিচ। কারণ, হলুদের কারকিউমিন এবং গোলমরিচের পিপারিন একসঙ্গে শরীরে গেলে তা জোরালো প্রদাহনাশক হিসাবে কাজ করে। এর ফলে শরীরে নানা ধরনের ব্যথার সমস্যায় যাঁরা ভোগেন, বাতের ব্যথা, আর্থ্রাইটিস, অস্থিসন্ধির ব্যথা ইত্যাদি, তাঁদের জন্য এটি উপকারী।
২। হলুদ এবং গোলমরিচ— উভয়েই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর। তাই যে সমস্ত দূষণ শরীরের ক্ষতিসাধন করে কিংবা নানা রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তা থেকে শরীরকে মুক্ত করতেও সাহায্য করে।
৩। দু’টি মশলাই হজমে সাহায্য করে। শরীরে গেলে নানা ধরনের হজমকারক এনজাইমের নিঃসরণে সাহায্য করে। ফলে নিয়মিত খেলে পেটফাঁপা, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা থাকে দূরে।
৪। কারকিউমিন এবং পিপারিনের মিশ্রণ রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল কমায়। রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যাও কমায়। ফলে তা হার্টের জন্য ভাল। এমনকি, ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৫। চিকিৎসক শেঠি বলছেন, কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, হলুদ এবং গোলমরিচ একসঙ্গে খাওয়া হলে তা কিছু ক্যানসারকেও দূরে রাখতে সাহায্য করে।
সম্প্রতি সে ব্যাপারে জানিয়েছেন চিকিৎসক সৌরভ শেঠি। এমস এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশিক্ষিত লিভার এবং অন্ত্রের রোগের চিকিৎসক শেঠি। বর্তমানে তিনি আমেরিকান সোসাইটি অফ গ্যাস্ট্রোইন্টেসটাইনাল এন্ডোস্কপি এবং ইন্টারনাল মেডিসিনের অনুমোদিত চিকিৎসক। অতিমারির সময় থেকেই নিজের সমাজমাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে আসছেন সৌরভ। বর্তমানে তাঁর অনুগামী সংখ্যা ১২ লক্ষ। তাঁর অনুরাগীর তালিকায় রয়েছেন বলিউডের স্বাস্থ্যসচেতন নায়ক-নায়িকারাও। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে সৌরভ জানিয়েছেন, হলুদের সঙ্গে গোলমরিচ মিশিয়ে নিয়মিত খেলে কী কী উপকার হয় শরীরের।
১। বাতের ব্যথা, অস্থিসন্ধির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে হলুদ এবং গোলমরিচ। কারণ, হলুদের কারকিউমিন এবং গোলমরিচের পিপারিন একসঙ্গে শরীরে গেলে তা জোরালো প্রদাহনাশক হিসাবে কাজ করে। এর ফলে শরীরে নানা ধরনের ব্যথার সমস্যায় যাঁরা ভোগেন, বাতের ব্যথা, আর্থ্রাইটিস, অস্থিসন্ধির ব্যথা ইত্যাদি, তাঁদের জন্য এটি উপকারী।
২। হলুদ এবং গোলমরিচ— উভয়েই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর। তাই যে সমস্ত দূষণ শরীরের ক্ষতিসাধন করে কিংবা নানা রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তা থেকে শরীরকে মুক্ত করতেও সাহায্য করে।
৩। দু’টি মশলাই হজমে সাহায্য করে। শরীরে গেলে নানা ধরনের হজমকারক এনজাইমের নিঃসরণে সাহায্য করে। ফলে নিয়মিত খেলে পেটফাঁপা, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা থাকে দূরে।
৪। কারকিউমিন এবং পিপারিনের মিশ্রণ রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল কমায়। রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যাও কমায়। ফলে তা হার্টের জন্য ভাল। এমনকি, ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৫। চিকিৎসক শেঠি বলছেন, কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, হলুদ এবং গোলমরিচ একসঙ্গে খাওয়া হলে তা কিছু ক্যানসারকেও দূরে রাখতে সাহায্য করে।