পরকীয়ার সন্দেহ থেকেই দুটি ধারালো চাকু দিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামী সুমন। শুধু হত্যা করে ক্ষান্ত হয়নি, সে হত্যার পর ১১ টুকরো করে লাশ গুম করারও চেষ্টা করেছে।
চট্টগ্রামে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যাকারী সুমন র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য দিয়েছে। শুক্রবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে র্যাব-৭ ও র্যাব-৯ এর যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার সকালে র্যাব-৭ এর পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
র্যাব-৭ জানায়, গ্রেফতার সুমনের বাড়ি কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজী গ্রামে। গত ৯ জুলাই রাতে অজ্ঞাতনামা ৬-৭ জন যুবক সুমনের বাসায় আসাকে কেন্দ্র করে তার স্ত্রীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়।
বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ঘাতক সুমন বাসায় থাকা দুটি ধারালো চাকু দিয়ে তার স্ত্রী ফাতেমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে ১১ টুকরো করে বাথরুমের কমেডে দিয়ে পানির ফ্লাশের সঙ্গে ভাসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।
ঘটনার দিন রাতে ভবনের নিরাপত্তাকর্মী মশিউর রহমান ঘর থেকে দুর্গন্ধ ও অস্বাভাবিক শব্দ পেয়ে সন্দেহ হলে সুমনের বাসায় যান। ভিতরে ঢুকে রক্তের দাগ ও লাশের অংশবিশেষ দেখতে পেয়ে তিনি নিচে গিয়ে অন্যদের ডাকতে গেলে সুমন জানালার গ্রিল ভেঙে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর নিহত নারীর বড় ভাই মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন রুবেল বায়েজিদ বোস্তামী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় সুমনের বিরুদ্ধে হত্যা ও লাশ গুমের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়।
হত্যা মামলা করার পর র্যাব তাকে গ্রেফতারের অভিযানে নামে। শুক্রবার রাতে র্যাব-৭ এর কর্মকর্তারা নিশ্চিত হন, ঘাতক সুমন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানার ফুলবাড়িয়া এলাকায় অবস্থান করছে। তাৎক্ষণিকভাবে র্যাব-৯ এর সহযোগিতা নিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
র্যাব আরও জানায়, ১০ বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর সুমন সৌদি আরবে পাড়ি জমালেও ভিসা জটিলতায় গত বছর দেশে ফিরে চট্টগ্রামে একটি পিকআপ ভ্যান চালানো শুরু করে। তবে দেশে ফেরার পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ বেড়ে যায়। একাধিকবার পারিবারিকভাবে সমঝোতার চেষ্টা হলেও তা স্থায়ী হয়নি।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এ আর এম মোজাফফর হোসেন জানান, গ্রেফতার আসামি সুমনকে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ তার বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করতে পারে।
চট্টগ্রামে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যাকারী সুমন র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য দিয়েছে। শুক্রবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে র্যাব-৭ ও র্যাব-৯ এর যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার সকালে র্যাব-৭ এর পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
র্যাব-৭ জানায়, গ্রেফতার সুমনের বাড়ি কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজী গ্রামে। গত ৯ জুলাই রাতে অজ্ঞাতনামা ৬-৭ জন যুবক সুমনের বাসায় আসাকে কেন্দ্র করে তার স্ত্রীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়।
বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ঘাতক সুমন বাসায় থাকা দুটি ধারালো চাকু দিয়ে তার স্ত্রী ফাতেমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে ১১ টুকরো করে বাথরুমের কমেডে দিয়ে পানির ফ্লাশের সঙ্গে ভাসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।
ঘটনার দিন রাতে ভবনের নিরাপত্তাকর্মী মশিউর রহমান ঘর থেকে দুর্গন্ধ ও অস্বাভাবিক শব্দ পেয়ে সন্দেহ হলে সুমনের বাসায় যান। ভিতরে ঢুকে রক্তের দাগ ও লাশের অংশবিশেষ দেখতে পেয়ে তিনি নিচে গিয়ে অন্যদের ডাকতে গেলে সুমন জানালার গ্রিল ভেঙে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর নিহত নারীর বড় ভাই মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন রুবেল বায়েজিদ বোস্তামী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় সুমনের বিরুদ্ধে হত্যা ও লাশ গুমের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়।
হত্যা মামলা করার পর র্যাব তাকে গ্রেফতারের অভিযানে নামে। শুক্রবার রাতে র্যাব-৭ এর কর্মকর্তারা নিশ্চিত হন, ঘাতক সুমন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানার ফুলবাড়িয়া এলাকায় অবস্থান করছে। তাৎক্ষণিকভাবে র্যাব-৯ এর সহযোগিতা নিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
র্যাব আরও জানায়, ১০ বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর সুমন সৌদি আরবে পাড়ি জমালেও ভিসা জটিলতায় গত বছর দেশে ফিরে চট্টগ্রামে একটি পিকআপ ভ্যান চালানো শুরু করে। তবে দেশে ফেরার পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ বেড়ে যায়। একাধিকবার পারিবারিকভাবে সমঝোতার চেষ্টা হলেও তা স্থায়ী হয়নি।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এ আর এম মোজাফফর হোসেন জানান, গ্রেফতার আসামি সুমনকে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ তার বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করতে পারে।