পাকিস্তানের বালোচিস্তান প্রদেশে বাস থেকে নামিয়ে অপহরণ করা হয় বেশ কয়েক জন যাত্রীকে। অপহৃতদের মধ্যে ন’জনকে হত্যা করা হয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে বালোচিস্তানের প্রাদেশিক সরকার। এই ঘটনার নেপথ্যে কারা রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কোনও সংগঠন এখনও হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে মনে করা হচ্ছে, এই ঘটনার নেপথ্যে বালোচ বিদ্রোহীদের হাত রয়েছে।
শুক্রবার সকালে ঘটনার বিবরণ দিয়ে বালোচিস্তানের প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র শাহিদ রিন্দ জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই প্রদেশের ঝোভ এবং লরালাই জেলার সীমানায় সুর-ডাকাই এলাকায় হঠাৎই দু’টি যাত্রিবাহী বাসকে থামায় অজ্ঞাতপরিচয় সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের দিকে যাচ্ছিল বাসটি। বাস থেকে কয়েক জন যাত্রীকে নামিয়ে নিকটবর্তী পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ন’জনকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। রাতভর অভিযান চালিয়ে নিহতদের দেহ উদ্ধার করে প্রশাসন। আর এক সরকারি আধিকারিক নাভিদ আলম জানিয়েছেন, ন’জনের শরীরেই বুলেটের ক্ষত রয়েছে।
পাকিস্তানের আফগানিস্তান এবং ইরান সীমান্তবর্তী বালোচিস্তান প্রদেশে স্বাধীনতাপন্থী বিদ্রোহী বালোচদের সংগঠন বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) সঙ্গে ধারাবাহিক সংঘর্ষ চলছে পাক সেনা এবং আধাসামরিক বাহিনী ফ্রন্টিয়ার কোরের। বিদ্রোহী বালোচদের অভিযোগ, বালোচিস্তান প্রদেশ থেকে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উত্তোলন করে নিয়ে গিয়ে পঞ্জাব প্রদেশে পাচার করছে পাক সরকার। অথচ বালোচিস্তানে কোনও উন্নয়ন করছে না।
গত মার্চ মাসে এই বালোচিস্তান প্রদেশেই পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেসে হামলা হয়েছিল। পুরো ট্রেন কব্জা করে নিয়েছিলেন বালোচ বিদ্রোহীরা। যে এলাকায় কব্জা করা হয়েছিল, সেই এলাকা ১৭টি সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে পেরোতে হয় জাফর এক্সপ্রেসকে। এর মধ্যে একটি হল মাশকাফ সুড়ঙ্গ। কোয়েটা থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে সিবি শহরের কাছে রয়েছে এই সুড়ঙ্গ। এই দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় রয়েছে বোলান পাস। মার্চের হামলায় পেহরোকুনরি স্টেশন ছেড়ে ট্রেনটা সবেমাত্র মাশকাফ সুড়ঙ্গে ঢুকেছিল। আচমকাই জাফর এক্সপ্রেসের সামনে রেলপথে বিস্ফোরণ হয়। তার পর একটি বুলেট এসে লাগে চালকের বুকে। সুড়ঙ্গের মধ্যেই থেমে যায় ট্রেনটি। কেবিনের মধ্যে লুটিয়ে পড়েন চালক। ট্রেনে তখন ৪০০ জনের বেশি যাত্রী। তাঁদের মধ্যে ছিলেন পাক সেনাবাহিনীর কর্মীরাও। পরে অবশ্য পাক সেনাবাহিনীর অভিযানে বালোচ বিদ্রোহীমুক্ত হয় ট্রেন। নিহত হন ২১ জন সাধারণ মানুষ এবং চার জন জওয়ান। সেনা অভিযানে ৩৩ জন বিদ্রোহীরও প্রাণ যায়। যদিও পাকিস্তানের প্রশাসনের ওই পরিসংখ্যান অস্বীকার করেছিলেন বালোচ বিদ্রোহীরা।
শুক্রবার সকালে ঘটনার বিবরণ দিয়ে বালোচিস্তানের প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র শাহিদ রিন্দ জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই প্রদেশের ঝোভ এবং লরালাই জেলার সীমানায় সুর-ডাকাই এলাকায় হঠাৎই দু’টি যাত্রিবাহী বাসকে থামায় অজ্ঞাতপরিচয় সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের দিকে যাচ্ছিল বাসটি। বাস থেকে কয়েক জন যাত্রীকে নামিয়ে নিকটবর্তী পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ন’জনকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। রাতভর অভিযান চালিয়ে নিহতদের দেহ উদ্ধার করে প্রশাসন। আর এক সরকারি আধিকারিক নাভিদ আলম জানিয়েছেন, ন’জনের শরীরেই বুলেটের ক্ষত রয়েছে।
পাকিস্তানের আফগানিস্তান এবং ইরান সীমান্তবর্তী বালোচিস্তান প্রদেশে স্বাধীনতাপন্থী বিদ্রোহী বালোচদের সংগঠন বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) সঙ্গে ধারাবাহিক সংঘর্ষ চলছে পাক সেনা এবং আধাসামরিক বাহিনী ফ্রন্টিয়ার কোরের। বিদ্রোহী বালোচদের অভিযোগ, বালোচিস্তান প্রদেশ থেকে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উত্তোলন করে নিয়ে গিয়ে পঞ্জাব প্রদেশে পাচার করছে পাক সরকার। অথচ বালোচিস্তানে কোনও উন্নয়ন করছে না।
গত মার্চ মাসে এই বালোচিস্তান প্রদেশেই পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেসে হামলা হয়েছিল। পুরো ট্রেন কব্জা করে নিয়েছিলেন বালোচ বিদ্রোহীরা। যে এলাকায় কব্জা করা হয়েছিল, সেই এলাকা ১৭টি সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে পেরোতে হয় জাফর এক্সপ্রেসকে। এর মধ্যে একটি হল মাশকাফ সুড়ঙ্গ। কোয়েটা থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে সিবি শহরের কাছে রয়েছে এই সুড়ঙ্গ। এই দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় রয়েছে বোলান পাস। মার্চের হামলায় পেহরোকুনরি স্টেশন ছেড়ে ট্রেনটা সবেমাত্র মাশকাফ সুড়ঙ্গে ঢুকেছিল। আচমকাই জাফর এক্সপ্রেসের সামনে রেলপথে বিস্ফোরণ হয়। তার পর একটি বুলেট এসে লাগে চালকের বুকে। সুড়ঙ্গের মধ্যেই থেমে যায় ট্রেনটি। কেবিনের মধ্যে লুটিয়ে পড়েন চালক। ট্রেনে তখন ৪০০ জনের বেশি যাত্রী। তাঁদের মধ্যে ছিলেন পাক সেনাবাহিনীর কর্মীরাও। পরে অবশ্য পাক সেনাবাহিনীর অভিযানে বালোচ বিদ্রোহীমুক্ত হয় ট্রেন। নিহত হন ২১ জন সাধারণ মানুষ এবং চার জন জওয়ান। সেনা অভিযানে ৩৩ জন বিদ্রোহীরও প্রাণ যায়। যদিও পাকিস্তানের প্রশাসনের ওই পরিসংখ্যান অস্বীকার করেছিলেন বালোচ বিদ্রোহীরা।