ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইকে খুনের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি বলেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। যুদ্ধবিরতির মাঝে এমনই জানালেন ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল কাট্জ! একই সঙ্গে তিনি এ-ও জানান, খামেনেইকে হত্যা করতে আমেরিকার অনুমতির প্রয়োজন ছিল না।
ইজরায়েলের তিনটি প্রধান সম্প্রচার চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় খামেনেইকে হত্যার পরিকল্পনার কথা জানান কাট্জ। গত ১৩ জুন থেকে নতুন করে ইজরায়েল এবং ইরানের মধ্যে সামরিক অস্থিরতা শুরু হয়। দুই দেশের যুদ্ধ চালাকালীন ইজরায়েলের নিশানা ছিল ইরানের পরমাণুকেন্দ্রগুলি। তবে শুধু পরমাণুকেন্দ্র ধ্বংস করাই নয়, খামেনেইকেও হত্যা করতে চেয়েছিল ইজরায়েল। ইজরায়েলের ‘চ্যানেল ১৩’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাট্জ বলেন, ‘‘যদি উনি (খামেনেই) আমাদের নজরে থাকতেন, আমরা তাঁকে হত্যা করতাম। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি, কিন্তু খুঁজে বার করতে পারিনি।’’
ইজরায়েলের সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘কান’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাট্জ বলেন, ‘‘আমাদের পরিকল্পনার কথা বুঝতে পেরেছিলেন খামেনেই। আর বুঝতে পেরেই গা-ঢাকা দেন। শুধু তা-ই নয়, তাঁর দেশের শীর্ষস্থানীয় কমান্ডদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছিলেন। তাই শেষ পর্যন্ত তাঁকে খুঁজে বার করা যায়নি।’’
গত ১৭ জুন খামেনেইকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানকে ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’ করতে বলেছিলেন। একই সঙ্গে তিনিও এ-ও বলেছিলেন, ‘‘আমরা জানি যে তথাকথিত সর্বোচ্চ নেতা কোথায় লুকিয়ে রয়েছেন। আমরা তাঁকে বার করে (হত্যা!) করব না, অন্তত এখনই নয়।’’ তবে ট্রাম্প সেই হুমকির পথ থেকে পরে সরে আসেন। তিনি জানান, ইরানের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের কোনই ইচ্ছা নেই।
ট্রাম্পের সেই দাবি প্রসঙ্গে কাট্জ জানান, যুদ্ধের সময় ইরানের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করার কোনও লক্ষ্য ছিল না ইজরায়েলের। লক্ষ্য ছিল, শাসনব্যবস্থা বিপর্যস্ত এবং ইরানের উপর চাপ সৃষ্টি করা। শেষে কাট্জ এ-ও জানান, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরে ইজরায়েল বর্তমানে খামেনেইকে হত্যার পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই সংঘর্ষবিরতির পরে প্রথম বার্তায় ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ জয়ে’র জন্য ইরানবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন খামেনেই। শুধু ইজরায়েল নয়, আমেরিকার বিরুদ্ধেও ‘জয়ে’র জন্য ইরানবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। খামেনেই দাবি করেন, আমেরিকা ধরেই নিয়েছিল, মার্কিন বাহিনী এই যুদ্ধে না জড়ালে ইজরায়েল পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে। সেই কারণেই আমেরিকা এই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
ইজরায়েলের তিনটি প্রধান সম্প্রচার চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় খামেনেইকে হত্যার পরিকল্পনার কথা জানান কাট্জ। গত ১৩ জুন থেকে নতুন করে ইজরায়েল এবং ইরানের মধ্যে সামরিক অস্থিরতা শুরু হয়। দুই দেশের যুদ্ধ চালাকালীন ইজরায়েলের নিশানা ছিল ইরানের পরমাণুকেন্দ্রগুলি। তবে শুধু পরমাণুকেন্দ্র ধ্বংস করাই নয়, খামেনেইকেও হত্যা করতে চেয়েছিল ইজরায়েল। ইজরায়েলের ‘চ্যানেল ১৩’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাট্জ বলেন, ‘‘যদি উনি (খামেনেই) আমাদের নজরে থাকতেন, আমরা তাঁকে হত্যা করতাম। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি, কিন্তু খুঁজে বার করতে পারিনি।’’
ইজরায়েলের সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘কান’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাট্জ বলেন, ‘‘আমাদের পরিকল্পনার কথা বুঝতে পেরেছিলেন খামেনেই। আর বুঝতে পেরেই গা-ঢাকা দেন। শুধু তা-ই নয়, তাঁর দেশের শীর্ষস্থানীয় কমান্ডদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছিলেন। তাই শেষ পর্যন্ত তাঁকে খুঁজে বার করা যায়নি।’’
গত ১৭ জুন খামেনেইকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানকে ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’ করতে বলেছিলেন। একই সঙ্গে তিনিও এ-ও বলেছিলেন, ‘‘আমরা জানি যে তথাকথিত সর্বোচ্চ নেতা কোথায় লুকিয়ে রয়েছেন। আমরা তাঁকে বার করে (হত্যা!) করব না, অন্তত এখনই নয়।’’ তবে ট্রাম্প সেই হুমকির পথ থেকে পরে সরে আসেন। তিনি জানান, ইরানের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের কোনই ইচ্ছা নেই।
ট্রাম্পের সেই দাবি প্রসঙ্গে কাট্জ জানান, যুদ্ধের সময় ইরানের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করার কোনও লক্ষ্য ছিল না ইজরায়েলের। লক্ষ্য ছিল, শাসনব্যবস্থা বিপর্যস্ত এবং ইরানের উপর চাপ সৃষ্টি করা। শেষে কাট্জ এ-ও জানান, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরে ইজরায়েল বর্তমানে খামেনেইকে হত্যার পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই সংঘর্ষবিরতির পরে প্রথম বার্তায় ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ জয়ে’র জন্য ইরানবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন খামেনেই। শুধু ইজরায়েল নয়, আমেরিকার বিরুদ্ধেও ‘জয়ে’র জন্য ইরানবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। খামেনেই দাবি করেন, আমেরিকা ধরেই নিয়েছিল, মার্কিন বাহিনী এই যুদ্ধে না জড়ালে ইজরায়েল পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে। সেই কারণেই আমেরিকা এই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।