পাকা পেঁপের উপকারিতা নিয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই। তার পুষ্টিগুণ প্রচুর। সে জন্যই স্বাস্থ্যসচেতনেরা প্রাতরাশে পাকা পেঁপে খেয়েই থাকেন। কিন্তু সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে এবং বেশ কিছু মেডিক্যাল পত্র-পত্রিকায় খালি পেটে পাকা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। যদিও বাঙালি মনে তার পরেও ‘খালিপেটে ফল খাওয়া’ নিয়ে সন্দেহ যথেষ্ট। পুষ্টিবিদ শ্রেয়া চক্রবর্তীকে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করাতে তিনি বললেন, ‘‘ধারণাটা কিন্তু ভুল নয় একেবারেই। পেঁপেতে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। রয়েছে নানা পুষ্টিগুণও। যা ফল খালি পেটে খেলেই বেশি উপকার। এমনকি, শুধু পেঁপে দিয়েও প্রাতরাশ করা যেতে পারে।’’
খালি পেটে পেঁপে খাওয়ার উপকার কী কী?
১। হার্টের জন্য ভাল: পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার যা লাইপোপ্রোটিনের মাত্রা কমিয়ে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে থাকা পটাশিয়ামও হার্টের জন্য ভাল। নুন বা নোনতা খাবার থেকে যে সোডিয়াম শরীরে যায়, তা হার্টের জন্য ক্ষতিকর। সোডিয়ামের কুপ্রভাব দূর করতে সাহায্য করে পটাশিয়াম। এ ছাড়া পেঁপেতে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি, ই, বিটা ক্যারোটিন এবং লাইকোপেন। যা শরীরে অক্সিডেশনের সমস্যা কমায়। ফলে রক্তে কোলেস্টেরল জমে না, ধমনীতে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা ভাল রাখে। যা হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের সম্ভাবনা অনেকটা কমিয়ে দিতে পারে। শ্রেয়া বলছেন, ‘‘খালি পেটে পেঁপে খেলে এর পুষ্টিগুণ শরীর অনেক বেশি পরিমাণে গ্রহণ করতে পারে।’’
২। উজ্জ্বল, বলিরেখাহীন ত্বক: নিয়মিত পেঁপে খেলে বয়স কম দেখাতে পারে! কারণ পেঁপেতে রয়েছে প্যাপেইন নামের অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস। যা ত্বককে মৃতকোষ মুক্ত রাখতে সাহায্য করে, ত্বকের রন্ধ্রপথ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। ভিতর থেকে ত্বককে আর্দ্র রাখতেও সাহায্য করে ফলে ত্বকে বলিরেখা পরে না। এ ছাড়া পেঁপেতে থাকা ভিটামিন সি ত্বকে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে ত্বককে টান টান রাখতেও সাহায্য করে।
৩। হজমে সহায়ক: পুষ্টিবিদ জানাচ্ছেন, খালি পেটে পেঁপে খাওয়া হজমের জন্য অত্যন্ত ভাল। পেঁপেতে থাকা হজমকারক এনজ়াইম খাবারকে দ্রুত ভাঙতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, পেঁপের নিজস্ব ঔষধী গুণ হজমের সঙ্গে জড়িত প্রত্যঙ্গগুলিকেও ভাল রাখে। এতে জলের ভাগ বেশি থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূরে থাকে। ফলে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও সাহায্য করে পেঁপে। সহজলভ্য এই ফলে চাইমোপ্যাপেইন নামের এক এনজ়াইমও রয়েছে। যা প্রদাহের সমস্যা দূর করে। খালিপেটে খেলে বদহজম, পেটফাঁপার মতো সমস্যাও কম হয়।
৪। ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য ভাল: পেঁপের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। তাই ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্যও এটি উপকারী। দীর্ঘ ক্ষণ না খেয়ে থাকার পরে সকালে প্রথম যে খাবারটি খান ডায়াবিটিসের রোগীরা, তা ভেবেচিন্তে বেছে নিতে হয়। কারণ, এতে তাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ অনেকটা বেড়ে যেতে পারে। খালি পেটে পেঁপে খেলে সেই সমস্যা হবে না। পুষ্টিবিদ জানাচ্ছেন, বহু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পেঁপের হাইপোগ্লাইসেমিক প্রভাব বরং রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
৫। ওজন কমাতে সাহায্য করে: পেঁপে বিপাকের হার বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। পেঁপেতে থাকা প্যাপেইন এবং চাইমোপ্যাপেইন এ কাজে সাহায্য করে। যা ফ্যাট এবং ক্যালোরি ঝরানোর জন্য সহায়ক। খালি পেটে নিয়মিত পেঁপে খেলে তা ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।
সতর্কতা: তবে শ্রেয়া একটি ব্যাপারে সতর্কও করেছেন। তিনি বলছেন, ‘‘যাঁদের আইবিএস অথবা অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের খালি পেটে পেঁপে না খাওয়াই ভাল। তাঁরা পেঁপে খাওয়ার আগে ডিমের সাদা অংশ বা একটি গোটা ডিম খেতে পারেন। অথবা অঙ্কুরিত মুগ খেয়েও পেঁপে খেতে পারেন। অথবা প্রাতরাশের পরে এবং দুপুরের খাবার মাঝামাঝি সময়ে এক বাটি পেঁপে খেতে পারেন।’’
খালি পেটে পেঁপে খাওয়ার উপকার কী কী?
১। হার্টের জন্য ভাল: পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার যা লাইপোপ্রোটিনের মাত্রা কমিয়ে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে থাকা পটাশিয়ামও হার্টের জন্য ভাল। নুন বা নোনতা খাবার থেকে যে সোডিয়াম শরীরে যায়, তা হার্টের জন্য ক্ষতিকর। সোডিয়ামের কুপ্রভাব দূর করতে সাহায্য করে পটাশিয়াম। এ ছাড়া পেঁপেতে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি, ই, বিটা ক্যারোটিন এবং লাইকোপেন। যা শরীরে অক্সিডেশনের সমস্যা কমায়। ফলে রক্তে কোলেস্টেরল জমে না, ধমনীতে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা ভাল রাখে। যা হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের সম্ভাবনা অনেকটা কমিয়ে দিতে পারে। শ্রেয়া বলছেন, ‘‘খালি পেটে পেঁপে খেলে এর পুষ্টিগুণ শরীর অনেক বেশি পরিমাণে গ্রহণ করতে পারে।’’
২। উজ্জ্বল, বলিরেখাহীন ত্বক: নিয়মিত পেঁপে খেলে বয়স কম দেখাতে পারে! কারণ পেঁপেতে রয়েছে প্যাপেইন নামের অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস। যা ত্বককে মৃতকোষ মুক্ত রাখতে সাহায্য করে, ত্বকের রন্ধ্রপথ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। ভিতর থেকে ত্বককে আর্দ্র রাখতেও সাহায্য করে ফলে ত্বকে বলিরেখা পরে না। এ ছাড়া পেঁপেতে থাকা ভিটামিন সি ত্বকে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে ত্বককে টান টান রাখতেও সাহায্য করে।
৩। হজমে সহায়ক: পুষ্টিবিদ জানাচ্ছেন, খালি পেটে পেঁপে খাওয়া হজমের জন্য অত্যন্ত ভাল। পেঁপেতে থাকা হজমকারক এনজ়াইম খাবারকে দ্রুত ভাঙতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, পেঁপের নিজস্ব ঔষধী গুণ হজমের সঙ্গে জড়িত প্রত্যঙ্গগুলিকেও ভাল রাখে। এতে জলের ভাগ বেশি থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূরে থাকে। ফলে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও সাহায্য করে পেঁপে। সহজলভ্য এই ফলে চাইমোপ্যাপেইন নামের এক এনজ়াইমও রয়েছে। যা প্রদাহের সমস্যা দূর করে। খালিপেটে খেলে বদহজম, পেটফাঁপার মতো সমস্যাও কম হয়।
৪। ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য ভাল: পেঁপের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। তাই ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্যও এটি উপকারী। দীর্ঘ ক্ষণ না খেয়ে থাকার পরে সকালে প্রথম যে খাবারটি খান ডায়াবিটিসের রোগীরা, তা ভেবেচিন্তে বেছে নিতে হয়। কারণ, এতে তাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ অনেকটা বেড়ে যেতে পারে। খালি পেটে পেঁপে খেলে সেই সমস্যা হবে না। পুষ্টিবিদ জানাচ্ছেন, বহু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পেঁপের হাইপোগ্লাইসেমিক প্রভাব বরং রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
৫। ওজন কমাতে সাহায্য করে: পেঁপে বিপাকের হার বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। পেঁপেতে থাকা প্যাপেইন এবং চাইমোপ্যাপেইন এ কাজে সাহায্য করে। যা ফ্যাট এবং ক্যালোরি ঝরানোর জন্য সহায়ক। খালি পেটে নিয়মিত পেঁপে খেলে তা ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।
সতর্কতা: তবে শ্রেয়া একটি ব্যাপারে সতর্কও করেছেন। তিনি বলছেন, ‘‘যাঁদের আইবিএস অথবা অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের খালি পেটে পেঁপে না খাওয়াই ভাল। তাঁরা পেঁপে খাওয়ার আগে ডিমের সাদা অংশ বা একটি গোটা ডিম খেতে পারেন। অথবা অঙ্কুরিত মুগ খেয়েও পেঁপে খেতে পারেন। অথবা প্রাতরাশের পরে এবং দুপুরের খাবার মাঝামাঝি সময়ে এক বাটি পেঁপে খেতে পারেন।’’