রাজশাহীর দূর্গাপুরে পরকীয়া সম্পর্কের জেরে মকবুল হত্যা মামলার প্রধান আসামী আলামিন সহ ৫ জন পলাতক আসামীদেরকে কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
রবিবার (১১ মে) ভোর ৪টায় কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন সুগন্ধা লাইট হাউজপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার আসামী মোঃ আলামিন (৩৫), সে দূর্গাপুর থানার তরিপতপুর গ্রামের মৃত আজাহারের ছেলে, একই এলাকার মোঃ আরফান আলীর ছেলে মোঃ শহিদুল ইসলাম (২৫), মৃত আজির উদ্দিনে ছেলে মোঃ শাহাবুর (৩০), মোঃ গবির উদ্দিনের ছেলে মোঃ রিপন (২৫), মোঃ মেহের আলীর ছেলে মোঃ মেহেদী হাসান ওরফে বাটুল (২২)।
রবিবার বিকালে র্যাব-৫, রাজশাহীরমোল্লাপাড়া ক্যাম্পের পাঠানো একপ্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
র্যাব জানায়, জনৈক মোঃ ইসমাঈলের বাড়ীতে পরকিয়া সম্পর্কের জের ধরে মোছাঃ মৌ (৩০) নামের একটি মেয়ে আসে। এ নিয়ে নিহতের গ্রামের জনৈক সালামের বাড়ীতে শালিশের ব্যবস্থা হলে আসামীগন ওই বাড়ীতে এসে তাদের আধিপত্য বিস্তার করানোর জন্য নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে চাইলে গ্রামের লোকজন তাদের নাক গলাতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে আসামীগন নিহতের গ্রামের লোকজনের উপর ক্ষিপ্ত হয়।
ওই বিরোধে জের ধরে (১৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টায় রাজশাহীর দূর্গাপুর থানাধীন আমচত্ত্বর মোড়ে মকবুল হোসেন সহ গ্রামের লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা করে এবং দেশীয় অস্ত্র দ্বারা মকবুলের মাথায় আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায় ।
মকবুলের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় দূর্গাপুর থানায় নিহতের স্ত্রী বাদী একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর আসামীদের গ্রেফতারের জন্য র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। আসামীরা সুকৌশলে নিজেদেরকে দেশের বিভিন্ন স্থানে আতœগোপনে চলে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার ভোর রাতে কক্সবাজার সদর থানাধীন সুগন্ধা লাইট হাউজপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় আসামীদের গ্রেফতার করা হয়। পালিয়ে থাকা অন্যান্য আসামীদের দ্রæত গ্রেফতারে র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা চলমান রয়েছে।
রবিবার সকালে গ্রেফতার আসামীদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে দূর্গাপুর থানা পুলিশ।