পরীক্ষার আগের রাতেই পাওয়া যাবে এসএসসির প্রশ্নপত্র। কমনের নিশ্চয়তাও শতভাগ। এ জন্য গুনতে হবে মাত্র ৩০০ থেকে এক হাজার টাকা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। চক্রটির দুই সদস্যকে গ্রেফতারের পর গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, পুরোটাই প্রতারণা।
এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে ১৫ সেপ্টেম্বর। প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে প্রতিবছরই সতর্ক থাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারপরও কখনো কখনো প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটে। আর এই সুযোগটিকেই কাজে লাগাতে চায় একটি প্রতারকচক্র।
প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষার সময় কিছু অসাধুচক্র টাকা হাতিয়ে নিতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের চেষ্টা করে। তারা প্রশ্নফাঁস করার নামে বিভিন্ন প্যাকেজ নিয়ে ফেসবুক, মেসেঞ্জারসহ ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার চালান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ানোর অভিযোগে এ রকম একটি চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
চক্রটি ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলে শতভাগ নিশ্চয়তাসহ এসএসসি পরীক্ষার বিভিন্ন বিষয়ের প্রশ্নপত্র আগাম পাইয়ে দেয়ার বিজ্ঞাপন দিত। আর তা পেতে খরচ মাত্র ৩০০ থেকে এক হাজার টাকা। কৌশলে বিগত বছরের প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি।
গ্রেফতারকৃতরা বলেন, ফেসবুকে স্টুডেন্টদের টাকার বিনিময়ে লিংক দিতাম। গুগল থেকে বিগত বছরের প্রশ্নের সাজেশন আকারে যেগুলো থাকত, সেগুলো দিতাম।
পুলিশ বলছে, প্রশ্নফাঁসের সক্ষমতা এই প্রতারকদের নেই। যেসব পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক পরীক্ষার আগে এসব অসাধুচক্রের পেছনে ছোটেন তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, অভিভাবকদের দায়িত্ব হচ্ছে যে তাদের (অসাধুচক্র) পেছনে না ছুটে ছেলেমেয়েরা যেন সঠিকভাবে লেখাপড়া করে, সেদিকে খেয়াল রাখা। অভিভাবকদের আহ্বান জানাই, কেউ এ ধরনের অনৈতিক প্রস্তাব দিলে তাদের ধরিয়ে দেন বা ডিবিকে অবহিত করেন।
সামাজিকমাধ্যমে কেউ যেন ভুয়া প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়াতে না পারে সে জন্য নিয়মিত সাইবার প্যাট্রোলিংয়ের মাধ্যমে নজরদারি করছেন গোয়েন্দারা।