কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৪ মাঝিকে (নেতা) হত্যার দায় স্বীকার করে রোহিঙ্গা যুবক মো. হাসিমের (২১) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও প্রকাশ। মো. হাসিম নামে এই রোহিঙ্গা যুবক নিজেকে ‘ইসলামী মাহাজ’ নামের একটি সংগঠনের সদস্য বলে দাবি করেছেন।
বুধবার সকাল ৮টায় মো. আব্দুল্লাহ নামে এক ফেসবুক আইডি থেকে ওই ভিডিও বার্তাটি আপলোড করা হয়। ভিডিও বার্তাটি আপলোড করার পরপর মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বিদেশি পিস্তল হাতে নিয়ে গত ১ মাসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চার মাঝিকে কাকে কীভাবে হত্যা করেছিল তার বর্ণনা দিচ্ছে মো. হাসিম।
মো. হাশিম মিয়ানমার বুচিডং কুয়ানচিবংয়ের পুর্বপাড়া আব্দুল জব্বারের ছেলে। সে বর্তমানে উখিয়ার বালুখালি ৯৩ ব্লকের ক্যাম্প-১৮ এর বসবাসকারী বলে দাবি করেন।
ভিডিওতে রোহিঙ্গা যুবক মো. হাসিম বলেন, তার মতো আরও ২৫ জন যুবককে অস্ত্র দিয়েছে ইসলামী সংগঠন মাহাজ। যাদের কাজ ছিল হত্যার মিশন বাস্তবায়ন করা। যার জন্য তাদের দেয়া হতো মোটা অংকের টাকা।
মো. হাসিম আরও বলেন, হেড মাঝি আজিম উদ্দিন, হেড মাঝি সানা উল্লাহ, হেড মাঝি জাফর ক্যাম্প-১৭ এর ইসমাইলকে তারা হত্যা করে বলে দায় স্বীকার করে সে।
এসময় ভিডিওতে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপে ইসলামী মাহাজ সংগঠনের ৬ জন মুখপাত্রের নামও বলেন, তারা হলেন- জিম্মাদার সাহাব উদ্দিন, রহমত উল্লাহ, হেড মাঝি ভুঁইয়া, মৌলভী রফিক, কাদের ও খায়রু, এই ৬ জন সংগঠনের নেতৃত্ব দিতেন বলে এই রোহিঙ্গা যুবক জানান।
রোহিঙ্গা যুবক হাসিম ভিডিওতে আরও জানান, তাদের সামনে আরও বড় মিশন ছিল। কিন্তু সে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে। তাই এই খারাপ জগত ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায়। এদিকে মো.হাসিমের সেই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।
এ বিষয়ে ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, রোহিঙ্গা যুবকের ভিডিও বার্তা আমাদের নজরে এসেছে ঘটনাটি আমরা যাচাই-বাচাই করছি। তার পরিচয় শনাক্ত করে তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। এই যুবক যাদের নাম উল্লেখ করেছে, সেটিও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ক্যাম্পে গোয়েন্দা নজরদারিও বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।