শেরপুরে নিখোঁজের পরদিন নাঈম ইসলাম লাবন (১৪) নামে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে সদর উপজেলার বেতমারী ঘুঘুরাকান্দি ইউনিয়নের সূবর্ণর চর গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত নাইম সূবর্ণচর গ্রামের মাসুদ আলীর ছেলে ও ঘুঘুরাকান্দি মডেল অ্যাকাডেমির শিক্ষার্থী।
স্বজনরা জানান, নাঈম মঙ্গলবার স্কুল থেকে ফিরে বিকেলে বাড়ির বাইরে বন্ধুদের সাথে খেলতে যায়। কিন্তু সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও সে বাড়ি না ফেরায় আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িসহ আশেপাশে তাকে খোঁজাখুঁজি করা হয়। পরে বুধবার সকাল ১১টার দিকে তাদের বাড়ির আনুমানিক ৩০০ গজ দূরের একটি লেবুবাগান থেকে তার ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেন তারা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নাঈমের মরদেহ উদ্ধার করে শেরপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হত্যাকারীরা শিশুটির শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সিগারেটের আগুনে ঝলসে দিয়েছে। দুই কানে রড ঢুকিয়ে এবং গোপনাঙ্গ কেটে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে পুরোনো কোনো ক্ষোভ কাজ করেছে বলে ধারণা পুলিশের।
এদিকে নির্মমভাবে হত্যা করায় খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী।
শেরপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) হান্নান মিয়া বলেন, নির্মম এই হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই সদর উপজেলার ভীমগঞ্জ বাজার সংলগ্ন একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু সেই হত্যাকাণ্ডের রহস্য এখনও উদঘাটন করতে পারেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরইমধ্যে আবারও এমন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।
