পঞ্চগড়ের করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় আরও ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫ জনে।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে পঞ্চগড় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) ও তদন্ত কমিটির প্রধান দীপঙ্কর রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
দুর্ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে আত্রাই ও পুনর্ভবা নদী থেকেও ভাসমান মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এ পর্যন্ত উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ, ২৭ জন নারী ও ১৩ জন শিশু রয়েছে। তারা পঞ্চগড় সদর, বোদা, দেবীগঞ্জ, আটওয়ারী ও ঠাকুরগাঁও সদরের বাসিন্দা।
জানা গেছে, পঞ্চগড়সহ আশপাশের জেলার ফায়ার সার্ভিসের আট ইউনিট উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। এছাড়া রংপুর, কুড়িগ্রাম ও রাজশাহী থেকে আসা তিনটি দলের ৯ ডুবুরি উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছেন।
এর আগে ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়া ঘাটের করতোয়া নদীতে যাত্রীবাহী একটি নৌকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডুবে যায়। এ ঘটনায় এখনও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের সন্ধানে এখনও উদ্ধার তৎপরতা চলছে।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোলেমান আলী জানান, মৃত প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা ও আহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক (ডিসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, এ জেলার ইতিহাসে ভয়াবহ নৌকাডুবি এটি। এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে নৌকাডুবির খবর শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যান রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন। করতোয়া নদী পারাপারের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে ইংরেজি বর্ণ ‘ওয়াই’ আকৃতির ব্রিজের কাজ দ্রুত শুরু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী।