২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০৩:৩৪:২৪ পূর্বাহ্ন


পত্নীতলায় প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে মৃৎশিল্পীরা
শামীম আক্তার চৌধুরী প্রিন্স, পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০৯-২০২২
পত্নীতলায় প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে মৃৎশিল্পীরা পত্নীতলায় প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে মৃৎশিল্পীরা


পত্নীতলায় শারদীয় দুর্গোৎসবের আগমনী বার্তায় প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে মৃৎশিল্পীরা। এখন দম ফেলার সময় নেই তাদের। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরে মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা। দুর্গাপূজার দিন গণনা, মহালয়ার দিন থেকেই শুরু হয়। এই শারদীয় দুর্গা উৎসব শুরু হবে আগামী ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিমা শিল্পীরা কল্পনায় দেবী দুর্গার অনিন্দ্যসুন্দর রূপ দিতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচেছ।

এবার পত্নীতলায় পৌরসভা এবং উপজেলার ইউনিয়ন গুলোতে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী ও অন্যান্যদের ১৩টি সহ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ৭৩টি মোট  ৮৬টি মন্ডপে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় জাঁকজমক পূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন চলছে। এর মধ্য পৌর শহরে রয়েছে ১৬টি মন্ডপ। 

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে, দেবী দুর্গা চলতি বছরের ১লা অক্টোবর ঘোটকে (ঘোড়ায়) চড়ে মহা ষষ্ঠীর দিনে পৃথিবীতে আসবেন, মহিশ অসুর কে বধ করার মাধ্যমে পৃথিবী থেকে সকল দুর্গতি নাশ করে দশমির মহাপ্রলয়ের দিনে দোলায় চড়ে আবার স্বর্গে ফিরে যাবেন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন মন্দিরে মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। অনেক মন্দিরে মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। এখন প্রতিমা শুকানোর কাজ চলছে। তারপর দুর্গাপূজার শুরুর আগ মহূর্তে নিপুণ শিল্পীর কারুকাজে রং তুলির আচর দিয়ে প্রতিমাগুলোকে প্রাণবন্ত করা হবে। দেবী দুর্গার প্রতিমা ছাড়াও কার্তিক, গনেশ, লক্ষ্মী ও সরস্বতী, অসুর, মহিষাসুরসহ মোট ১২ টি প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন মৃতশিল্পীরা। তারা জানান সময় ঘনিয়ে আসায় কাজের চাপ অনেকটাই বেড়ে গেছে, যার কারণে সারাদিন কাজ করার পরে রাতেও কাজ করতে হচ্ছে। ইতোমধ্যে শিল্পীদের দক্ষ হাতের ছোঁয়ায় পূর্ণরূপে ফোটে ওঠছে দৃষ্টি নন্দন অধিকাংশ প্রতিমা। 

পাঁচ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠেয় পূজায় উপজেলার হাজার হাজার ভক্ত ও পূণ্যার্থী শারদীয় দূর্গা উৎসব পালন করবে। মহামারী করোনার কারণে গত দু’বছর দুর্গাপূজার আনন্দ অনেকটা ম্লান ছিল। পূজার সেই পুরনো সংস্কৃতি অনেকটা অগোচরে ছিলো সেই সময়। ঢাক, ঢোল, শংখ ধ্বনী আর উলুধ্বনী দিয়ে দেবী দূর্গাকে বরন করে নেয়ার অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে ভক্তরা।