ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন জনস্বাস্থ্যে সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে ধূমপান করা দন্ডনীয় অপরাধ। আইন অমান্যে জরিমানা ৩০০ টাকা। সেই আইন বাস্তবায়নে অনেকের মধ্যে যিনি সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন এবং এক পর্যায়ে নিজেও ধূমপান ছেড়ে দিয়েছেন, তিনি হলেন কুষ্টিয়া জেলার আইলচারার কৃতি সন্তান অতিরিক্ত ডিআইজি ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান।
কুষ্টিয়ার পোড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদ হল রুমে এক সংবর্ধণা ও মতবিনিময় সভায় সাফ‘র পক্ষ থেকে সাফ‘র নির্বাহী পরিচালক ও জেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য মীর আব্দুর রাজ্জাক অতিরিক্ত ডিআইজিকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন।
অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, ধূমপান মাদকের প্রবেশদ্বার। ধূমপানের পরোক্ষ ক্ষতিও ব্যাপক। আমাদের পরিবার থেকে ধূমপান ও মাদক বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ধূমপান ছাড়ার জন্য ইচ্ছা শক্তিই যথেষ্ট। আমি ছেড়ে দিয়েছি।
সাফকে ধন্যবাদ জানাই সচেতনতামূলক কার্যক্রম চলমান ভাবে চালানোর জন্য। মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, আত্মহত্যা, যৌতুক, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং বিরোধী কাজে আমাদের সবারই উচিত অংশগ্রগণ করা যাতে করে এই আন্দোলন সামাজিক আন্দোলনে পরিণত হয়। নবপ্রজন্মের জন্য আমরা সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ উপহার দিতে পারি। যুব সমাজ যদি নেশাগ্রস্থ বা মাদকাসক্ত হয় তাহলে আমাদের সব অর্জন কারা ধরে রাখবে? আমাদের প্রত্যয় ব্যক্ত করতে হবে, নেশামুক্ত পরিবার, হোক আমাদের অঙ্গীকার।