নোয়াখালীর সেনবাগে স্ত্রীর (২২) আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে সাবেক স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত (২৮) ব্যক্তি কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার দৌলখাড় ইউনিয়নের কেকৈয়া মুন্সি বাড়ির নাজির আহম্মেদের ছেলে।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের ফকিরহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে একটি স্মার্টফোন জব্দ করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ বছর আগে সেনবাগের কাদরা ইউনিয়নে বিয়ে করেন ওসমান গনি। বিয়ের পর থেকে সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ওসমান তার স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন। একপর্যায়ে চলতি বছরের গত ২১ জুলাই বাবার বাড়িতে এসে ওসমান গনিকে তালাকনামা পাঠায় তার স্ত্রী। তালাকের বিষয়টি জানতে পেরে মোবাইল ফোনে ও বিভিন্নমাধ্যমে স্ত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায় ওসমান।
বিষয়টি ওসমানের মা এবং ভাইকে একাধিকবার জানালেও তারা এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বরং ওসমান তার ওপর আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয় এবং তার স্ত্রীর নামে ফেসবুকে একটি ভুয়া আইডি খুলে সেখানে স্ত্রীর অশ্লীল ও আপত্তিকর ছবি পোস্ট করতে থাকেন।
বিষয়টি চাপা দেওয়ার জন্য সে ভুক্তভোগীর কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না পেয়ে আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপে ও এ সব ছবি পাঠাতে থাকেন ওসমান।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদি হয়ে শনিবার দুপুরে সেনবাগ থানায় ওসমান গনি, ওসমানের বড় ভাই আলাউদ্দিন ও মা ছালেহা বেগমকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওসমানকে গ্রেপ্তার করে।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন বলেন, ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ওসমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
ওসি আরো জানান রোববার সকালে গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হবে।