২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ১০:৪০:০৯ পূর্বাহ্ন


ঠাকুরগাঁওয়ে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে ৯ম শ্রেণির ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০২-২০২২
ঠাকুরগাঁওয়ে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে ৯ম শ্রেণির ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ফাইল ফটো


ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার ঢোলারহাট ইউনিয়নের আরাজি গ্রামে মধ্যরাতে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে ৯ম শ্রেণির ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রুহিয়া থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে মেয়েটির পরিবার। 

ধর্ষণের শিকার ছাত্রী হাসপাতালের বেডে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বর্বরতার ঘটনা বর্ণনা করে জানায়, ঘটনার দিন প্রেমিক সুজনের ফোন পেয়ে বাড়ির সকলের অগোচরে ঘর থেকে মেয়েটি বেরিয়ে আসে। পরে তাকে মটরসাইকেলে একটি মুরগীর খামারের ভেতরে নিয়ে গিয়ে প্রেমিক সুজন ও তার বন্ধু আশরাফুল, বিপ্লব, আরিফসহ চার-পাঁচজন মিলে গণধর্ষণ করে। এ সময় সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে, পরে জ্ঞান ফিরলে দেখে সে তার বাড়ির পাশের রাস্তায় পড়ে রয়েছে। পরে সেখান থেকে কোনরকমে সে বাসায় পৌঁছায়। 

অভিযুক্ত সুজনের বাসা পুরাতন ঠাকুরগাঁওয়ের দেবিগঞ্জে। সুজন ঠাকুরগাঁও ইসলামনগর হাইস্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্র। এ সময় মেয়েটি তার এ ঘটনার জন্য দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানায়।

ছাত্রীটির পিতা জানান, সোমবার রাত ১২ টার দিকে পরিবারের সকলে রাতের খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়ে। পরে রাত আনুমানিক তিনটার দিকে তিনি বাড়ি আঙিনায় মেয়ের কান্নার আওয়াজ পেয়ে ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন, তার মেয়ের গাল বেয়ে রক্ত ঝরছে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঁচড়ের চিহ্ন। পরে রাতেই ঢোলারহাট বাজারের পল্লী চিকিৎসক লিজা বিশ্বাসের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে স্থানীয় মেম্বারকে বিষয়টি অবগত করেন। সকালে স্থানীয় মেম্বার ও মেয়েকে নিয়ে রুহিয়া থানায় অভিযোগ দিতে গেলে মেয়ে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে পুলিশের গাড়িতে ভুক্তভোগী মেয়েকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্তরঞ্জন রায় বলেন, এই বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থল শনাক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। ভুক্তভোগীর মেডিক্যাল টেস্ট করার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

রাজশাহীর সময় /এএইচ