‘রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কলাপট্টি এলাকায় আরবেন রেস্তোরাঁয় লাগা আগুনে ভবনের নিচতলা ও দোতলার সব কিছু পুড়ে গেছে। ক্যাশিয়ার বসার স্থানটি থেকে এখনো ধোঁয়া উড়ছে। সকালের নাস্তার জন্য ময়দার খামির ও তেল পুড়ে গেছে।’
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা ৭ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। পোস্তগোলা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার জহিরুল ইসলাম এ কথা জানান।
জহিরুল ইসলাম বলেন, আমরা ভোর ৬টা ১০ মিনিটের দিকে আগুন লাগার মেসেজ পাই। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হই। পরে আমাদের সঙ্গে আরও দশটি ইউনিট যোগ দেয়। মোটামুটি এক ঘণ্টা কাজ করার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। হোটেলে ফলস সিলিং থাকায় আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে।
তিনি বলেন, এতে কোনো হতাহত হয়নি। বলা হচ্ছে গ্যাসের আগুন থেকে আগুন লেগেছে আবার কেউ বলছেন ট্রান্সমিটার বিস্ফোরণ হয়ে আগুন লেগেছে। তবে, কী কারণে আগুন লেগেছে তা এখনই আমরা বলছি না।
আগুন নেবানোর পর সকাল সাড়ে নয়টার দিকে রেস্টুরেন্টের মধ্যে প্রবেশ করে দেখা গেছে, মোটামুটি ভেতরের সবকিছু পুড়ে গেছে। ক্যাশিয়ার বসার স্থানটি থেকে এখনো ধোঁয়া উড়ছে। সকালের নাস্তার জন্য ময়দার খামি, তেল পুড়ে গেছে। তখনো ভেতরে প্রচণ্ড উত্তাপ।
আরবেন রেস্টুরেন্টের কর্মী মো. সুলতান বলেন, সকাল ৬টার কিছু আগে আগুন লাগে। আমরা সবাই দোতালায় ঘুমিয়ে ছিলাম। প্রথম আমরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করি, পুরো রেস্টুরেন্টে আগুন ধরে গেলে তখন আমরা জীবন বাঁচাতে বেরিয়ে যাই। ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভায়। নিচ তলা ও দোতলার সব কিছু পুড়ে গেছে।
রেস্টুরেন্টের কর্মী মো. মুন্না মিয়া বলেন, হোটেলের নিচতলা এবং দোতলার সম্পূর্ণ ডেকোরেশন নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতি কমপক্ষে ১৫ কোটি টাকা।
রেস্টুরেন্টের সামনে বিদ্যুতের ট্রান্সমিটার বিস্ফোরণ হয়ে এ আগুন লাগে দাবি করে তিনি বলেন, এ ট্রান্সমিটার থেকে এর আগেও আগুন লেগেছে।