২৮ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০২:৪১:২২ পূর্বাহ্ন


মিয়ানমার সীমান্তে আজও গুলি-মর্টার শেলের শব্দ, আতঙ্কে স্থানীয়রা
অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০৯-২০২২
মিয়ানমার সীমান্তে আজও গুলি-মর্টার শেলের শব্দ, আতঙ্কে স্থানীয়রা মিয়ানমার সীমান্তে আজও গুলি-মর্টার শেলের শব্দ, আতঙ্কে স্থানীয়রা


বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আবারও থেমে থেমে গুলি ও মর্টার শেলের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে।

তীব্র গুলির শব্দে প্রতিটি মুহূর্ত আতঙ্কে কাটছে স্থানীয়দের।

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই সীমান্তের ওপার থেকে গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে। বুধবারও গোলাগুলির শব্দ শোনা গিয়েছিল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ বাংলানিউজকে বলেন, সীমান্তের ওপার থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। থেমে থেকে কিছুক্ষণ পর গুলির শব্দে এপারের জনগণের মধ্যে ভয়ভীতি কাজ করছে। তবে আকাশে মিয়ানমারের কোনো হেলিকপ্টার বা যুদ্ধবিমান উড়তে দেখা যাচ্ছে না।

চেয়ারম্যান বাংলানিউজকে আরও বলেন, সীমান্তের কয়েকদিনের টানা উত্তেজনার কারণে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ বন্ধ রয়েছে, শ্রমিকরা কাজে যাচ্ছে না। সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের গোলাগুলি হলেও আতঙ্কও বিরাজ করছে এ পাড়ের মানুষের মধ্যে। বিশেষ করে তুমব্রু এলাকায় মিয়ানমারের নিক্ষিপ্ত গোলা পড়া ও যুদ্ধ বিমানের মহড়ার কারণে সীমান্তে কর্মরত শ্রমিকেরা এখন কাজ বন্ধ রেখে নিরাপদ স্থানে সরে রয়েছে। চলমান অবস্থায় ইউনিয়নবাসীকে সাবধানে থাকতে ও নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দিচ্ছি।

এদিকে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌসকে মুঠোফোনে কয়েকবার কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভি করেননি।

প্রসঙ্গত, ২৮ আগস্ট বান্দরবানের মিয়ানমার সীমান্তবর্তী উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের দুটি মর্টার শেল এসে পড়ার পর থেকে সর্বোচ্ছ সর্তকবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, তুমব্রু, বাইশফাঁড়ি, রেজু-আমতলী এবং আষাঢ়তলীসহ পুরো সীমান্ত এলাকা।