রাস্তার পাশের গাছপালা কেটে গড়ে তোলা হচ্ছে নতুন সব দোকানপাট। পদ্মা সেতুর কেবল জাজিরা প্রান্তেই নয়, মাওয়া প্রান্তেও ভ্যান নিয়ে রাস্তার পাশে বিভিন্ন পণ্যের পসরা বসিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দ্রুতগতির সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কের পাশে ব্যাঙের ছাড়ার মতো গড়ে উঠা এসব স্থাপনায় পরিবেশ ও সৌন্দর্যই বিনষ্ট করছে না, রীতিমতো ঝুঁকিও তৈরি করছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাদের অনেকেই মাওয়া ঘাটে ছিলেন। পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া ঘাট বন্ধে তাদের এদিকে চলে আসতে হয়েছে। ভূমিহীন হওয়ায় পেটের দায়ে ভ্রাম্যমাণ দোকান দিতে বাধ্য হয়েছেন বলেও জানান তারা।
আর এলাকাবাসী বলছেন, ০১ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা চৌকি সরিয়ে নেয়ার পরই দখলের এ মহোৎসব শুরু হয়।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ডা. আবদুল আওয়াল বলেন, যদি কোনো অবৈধ অনুপ্রবেশকারী আমাদের পদ্মা সেতুর জমিতে প্রবেশ করে তাদের বিষয়ে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
তবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চুক্তির মেয়াদ শেষে সেনাবাহিনী সরে গেলেও দু’পারেই সেনানিবাস রয়েছে। সেনাবাহিনীর স্বল্পসংখ্যক সদস্য এখনও টহলে আছে। তবে সেতুর নিরাপত্তার দায়িত্ব থেকে সেনাবাহিনী চলে যাওয়ার পর এখন আনসার ও বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মীরা কাজ করছেন। অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তারা।