২৮ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০২:৪৯:১০ পূর্বাহ্ন


পিরোজপুরে কিশোর হত্যার ১৬ বছর পর দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৯-২০২২
পিরোজপুরে কিশোর হত্যার ১৬ বছর পর দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন পিরোজপুরে কিশোর হত্যার ১৬ বছর পর দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন


পিরোজপুরের ইন্দুরকানিতে রফিকুল ইসলাম (১৩) নামে এক কিশোরকে হত্যার ১৬ বছর পর দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এসএম নূরুল ইসলাম ৩ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর ৩ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন: পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার কলারণ গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে মো. হারুন (৫২) ও আবুল কালাম কালু (৩৪)। দণ্ডপ্রাপ্ত মো. হারুন পলাতক আছেন।

খালাসপ্রাপ্তরা হলেন: উপজেলার কলারণ গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মো. জামাল হোসেন, হাজি নূর মোহাম্মদের ছেলে কবির হাওলাদার ও আসমত আলী শেখের ছেলে নিপুণ শেখ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পিরোজপুরে ইন্দুরকানি উপজেলার কলারণ গ্রামের মামা মোদাচ্ছের হোসেনের বাড়িতে মায়ের সঙ্গে রফিকুল ইসলাম ও তার দুই ভাই বসবাস করতেন। ২০০৬ সালের ০৮ মার্চ সকাল ৬টার দিকে রফিকুল তার ভাই রিয়াদুলকে নিয়ে মামার বাড়ির খেজুর গাছের রস আনতে যান। এ সময় রফিকুল ১টি গাছের রস নামিয়ে নামাজের জন্য চলে যান। রিয়াদুল বাকি রস নামিয়ে বাড়িতে চলে আসেন।

এরপর সকাল ৮টার দিকে রফিকুলের মামা মোদাচ্ছের হোসেনের চাচাতো ভাই ফজলুল হক পার্শ্ববর্তী জমাদ্দার খালে মাছ ধরতে গেলে খালের তীরের আলুক্ষেতে রফিকুলের মরদেহ দেখতে পান। এ সময় তিনি চিৎকার দিলে স্বজনরা গিয়ে রফিকুলকে গলাকাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।

এ ঘটনায় রফিকুলের মামা মোদাচ্ছের আলী হাওলাদার বাদী হয়ে ওইদিনই ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে একই বছরের ০৫ অক্টোবর পুলিশ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) জহুরুল ইসলাম জানান, মামলায় ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় ২ জনকে যাবজ্জীবন ও ৩ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত মো. হারুন পলাতক আছেন।