রাজশাহী মহানগরীতে স্বর্ণ ও টাকা চুরির অভিযোগে ১ চোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এসময় আসামীর কাছ থেকে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা মূল্যের স্বর্ণ এবং নগদ ১০ হাজার ৬৭০ টাকা উদ্ধার হয়।
গতকাল সোমবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে মহানগরীর সাহেববাজার স্বর্ণপট্টিতে চুরি করা স্বর্ণ বিক্রি করতে আসলে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত হলো: মোঃ মিজানুর রহমান (২৮)। রাজশাহী দুর্গাপুর থানার আমগাছী গ্রামের মৃত মুরশিদ আলীর ছেলে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সদর), গোলাম রুহুল কুদ্দুস।
তিনি জানান, গত (২৬ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ১২ টায় নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার কাশিয়াডাঙ্গা সেন্টাপাড়ার আলহাজ্ব মোঃ মতিয়ার রহমানের বাড়ী ভাড়া নেওয়ার জন্য ৩ জন বোরকা পরিহিত মহিলা আসে। এরপর মতিয়ার রহমানের স্ত্রী তাদের বাড়ীর নীচ তলা দেখান। তারা পানি খেতে চাইলে মতিয়ার রহমানের স্ত্রী তাদের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে গিয়ে নাস্তা খাওয়ান। তারা সেই দিনই বাড়ীতে উঠতে চান বলে বাড়ীটি পরিস্কার করতে বলেন। ওই সময় তাদের সাথে নিয়ে মতিয়ার রহমানের স্ত্রী বাসার নিচে গিয়ে রুম গুলো পরিস্কার করতে শুরু করেন। তাদের মধ্যে একজন মতিয়ার রহমানের স্ত্রীর সাথে বিভিন্ন কথা বলে তাকে ব্যস্ত রাখে এবং অপর দুইজন কৌশলে আবার দ্বিতীয় তলা গিয়ে ঘরে প্রবেশ করে শো-কেস হতে তার স্ত্রী, মেয়ে ও ছেলের বউয়ের প্রায় সাড়ে ১৬ লক্ষ টাকার স্বর্ণ ও ডায়মন্ডের গয়না এবং নগদ ৩ লক্ষ টাকা চুরি করে পালানোর সময় তাদের মধ্যে একজনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ফেলে যায়। এ ঘটনায় কাশিয়াডাঙ্গা থানায় একটি চুরির মামলা রুজু হয়।
মামলা রুজুর পর কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ আরএমপি সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহকারি পুলিশ কমিশনার উৎপল কুমার চৌধুরী পিপিএম ও তাঁর চৌকষ দলের সহায়তায় চোরদের ফেলে যাওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামীর নাম ঠিকানা ও ছবি সংগ্রহ করেন।
এদিকে আসামী মিজানুর রহমান (৩১ জানুয়ারি) রাতে সাহেববাজার স্বর্ণপট্টিতে চুরি করা স্বর্ণ বিক্রি করতে আসলে কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ গোপন সংবাদের মাধ্যমে তা জানতে পেরে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে। এসময় আসামীর কাছ থেকে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা মূল্যের স্বর্ণ এবং নগদ ১০ হাজার ৬৭০ টাকা উদ্ধার হয়।
অভিযানটি পরিচালনা করেন কাশিয়াডাঙ্গা থানার উপ-পুলিম কমিশনার মোঃ মনিরুল ইসলামের তত্বাবধানে কাশিয়াডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম মাসুদ পারভেজের নেতৃতে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ জয়নাল আবেদীন, এসআই মোঃ ইমরান হোসেন, এসআই মোঃ শাহীনুর ইসলাম ও সঙ্গীয় ফোর্স।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামী মিজানুর রহমান জানায়, তার স্ত্রীসহ আরো দুইজন মহিলা এই চুরির ঘটনার সাথে জড়িত। তারা দীর্ঘ দিন ধরে ভাড়াটিয়া সেজে চুরি করে আসছে।
ঘটনার সাথে জড়িত পলাতক আসামীদের গ্রেফতার ও অন্যান্য চোরাই মালামাল উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানায় পুলিশের এই মুখপাত্র।