বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র উপহার স্বরূপ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় মহানগরীর কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ে এসব কম্বল বিতরণ করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি মাহ্ফুজুল আলম লোটন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, উত্তরাঞ্চলে যখন শীত জেঁকে বসেছে, ঠিক তখনই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা শীতার্তদের কষ্ট অনুভব করে আপনাদের জন্য কম্বল পাঠিয়েছেন যা আপনাদের মাঝে তুলে দেওয়া হচ্ছে। আপনারা জানেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা নিরলস ভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন একটি বিশেষ মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। ষড়যন্ত্র আগেও হয়েছে, এখনও হচ্ছে। ষড়যন্ত্র থেকে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে এই ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহিদের এক সাগর রক্ত ও ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা লাল-সবুজের পতাকা ছিনিয়ে এনেছিলাম। বঙ্গবন্ধু জাতিকে উপহার দিয়েছিলেন একটি স্বাধীন দেশ, বাংলাদেশ। ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করার পর দীর্ঘ ২১ বছর জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করে গণতন্ত্রকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দান করেছেন যার সুফল আজ দেশবাসী পাচ্ছেন। বাংলাদেশ আজ উন্নত ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ঠিক সেই সময় জামায়াত-বিএনপি’র মদদপুষ্ট একটি মহল দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি সহ্য করতে না পেরে দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্টের জন্য দেশে-বিদেশে নানান রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। যারা দেশের ভাবমূর্তি নিয়ে ষড়যন্ত্র করে তারা কখনই দেশপ্রেমিক ও দেশের বন্ধু হতে পারে না। এদের চিহ্নিত করুন ও প্রতিহত করুন। আমরা লক্ষ্য করেছি বাংলাদেশে যখনই নির্বাচনের মৌসুম আসে তখনই এই জামায়াত-বিএনপি দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে, এরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা-কে নিয়ে কুৎসা রটনা করে। কিন্তু দেশের জনগণ সচেতন। রাজপথের আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে দেউলিয়া সংগঠনে পরিনত হয়েছে বিএনপি, তাই তারা ষড়যন্ত্রকেই ক্ষমতায় যাওয়ার পথ হিসেবে বেছে নিয়েছে। তাদের এই দুঃস্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না। বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবেই। কোন অপশক্তি বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করতে পারবে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মোঃ ডাবলু সরকার বলেন, আপনারা আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা’র জন্য দোয়া করবেন, তিনি যেন সুস্থ থেকে সুন্দর ভাবে দেশ পরিচালনা করতে পারেন এবং আপনাদের সেবা করে যেতে পারেন। মনে রাখতে হবে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা অপরিহার্য, তিনি সুস্থ থাকলে আমরা সুস্থ থাকবো। তিনি আমাদের আলোর দিশারী। তাঁর আলোতেই আমরা আলোকিত। তাঁর গতিশীল নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নত ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ষড়যন্ত্র হচ্ছে, আমরা জানি জামায়াত-বিএনপি’র প্রেতাত্মারা লক্ষ লক্ষ মার্কিন ডলার ব্যয় করে লবিস্ট নিয়োগ করেছে দেশ বিরোধী অপপ্রচারে। কোন ষড়যন্ত্রই কাজে আসবে না, শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। তারা চায় আজ উন্নয়ন, তারা চায় খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, বাসস্থানের নিশ্চয়তা- যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আপনারা দেখেছেন করোনাকালীন সময়ে আমরা রাজশাহীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে খাদ্য ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছিলাম। রাজশাহীতে একটি মানুষও অভুক্ত ছিলো না। প্রত্যেকের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আগামীতে আমাদের নেতা খায়রুজ্জামান লিটন নৌকা প্রতিক নিয়ে যে পদে দাঁড়াবেন, তাঁকে আমরা বিপুল ভোটে বিজয়ী করবো, আপনাদের কাছে এই প্রত্যাশা করি। আমরা আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি, থাকবো। জনগণ আর বিএনপি’র অগ্নি সন্ত্রাসের যুগে ফিরে যেতে চায় না। বিএনপি’র আমলে আমাদের দেশ দূর্নীতিতে পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো, আমরা আর সেই পথে হাঁটতে চায় না। আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে সুন্দর আগামীর স্বপ্ন দেখি।
সভার সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে সকল ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, রেজাউল ইসলাম বাবুল, ডাঃ তবিবুর রহমান শেখ, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আসাদুজ্জামান আজাদ, আহ্সানুল হক পিন্টু, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম বুলবুল, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনসারুল হক, বন ও পরিবেশ সম্পাদক রবিউল আলম রবি, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল আলম জাহিদ, শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক ওমর শরীফ রাজিব, উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে, উপ-প্রচার সম্পাদক সিদ্দিক আলম, সদস্য জাহির উদ্দিন তেতু, মোশফিকুর রহমান হাসনাত, শাহাব উদ্দিন, আশরাফ উদ্দিন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আব্দুল মান্নান, আতিকুর রহমান কালু, তোজাম্মেল হক বাবলু, মজিবুর রহমান, আলিমুল হাসান সজল, মাসুদ আহমদ, কে এম জামান জুয়েল, আশীষ তরু দে সরকার অর্পণ, থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানার সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, মতিহার থানার সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম ও সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সিরাজুম মুবিন সবুজ প্রমুখ।