উত্তর কোরিয়ার দাবি, তারা বাধ্য হয়েই এই পদক্ষেপ করেছে। আর এর জন্য একমাত্র দায়ী আমেরিকার ‘দমনমূলক’ নীতি।
আন্তর্জাতিক মহলের আশঙ্কা বাড়িয়ে রবিবার তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করল উত্তর কোরিয়া। এর আগে ২০১৭ সালে শেষবার এই মাপের ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ-পরীক্ষা করেছিল কিম জং উন-এর দেশ। তবে যা সবচেয়ে নজর কেড়েছে তা হল, একই মাসে এই নিয়ে সপ্তমবার পরীক্ষামূলক ভাবে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করল পিয়ংইয়্যাং!
এক মাসে এতগুলি উৎক্ষেপণ সেরে নিজেদেরই রেকর্ড ভাঙল উত্তর কোরিয়া। তা ছাড়া, দূরপাল্লার এবং পরমাণু শক্তিধর ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে যে স্থগিতাদেশ এনেছিল কিম প্রশাসন, দীর্ঘ পাঁচ বছর পর এ দিনের এই পদক্ষেপে তারা সেটিও ভেঙেছে। যার প্রেক্ষিতে দক্ষিণ কোরিয়ার আশঙ্কা, এর পরে হয়তো পরমাণু পরীক্ষণের দিকেও ঝুঁকবে উত্তর।
তবে উত্তর কোরিয়ার দাবি, তারা বাধ্য হয়েই এই পদক্ষেপ করেছে। আর এর জন্য একমাত্র দায়ী আমেরিকার ‘দমনমূলক’ নীতি। পিয়ংইয়্যাংয়ের সঙ্গে ওয়াশিংটনের শান্তি আলোচনা আপাতত স্থগিত। কূটনীতিকেরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতিতে কিমের সামরিক শক্তি বাড়ানোর হুঙ্কারকেই চরিতার্থ করছে পিয়ংইয়্যাং। আর তা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মহল এবং বিশেষত আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার বোঝার তোয়াক্কা না-করেই।
এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ বন্ধ রাখার ঘোষণা তারা প্রায় ভেঙেই ফেলেছে পিয়ংইয়্যাং। এ বার হয়তো খুব তাড়াতাড়ি পরমাণু এবং আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণও শুরু করতে পারে তারা।’’ একই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটনও।
রাজশাহীর সময় / এম আর