আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিশেষ’ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডির তদন্তকারী অফিসাররা। আদালতের নির্দেশ মতই মঙ্গলবার অর্পিতাকে জেরা করা হয়েছে। সূত্রের খবর, অর্পিতার পর চলতি সপ্তাহেই প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি।
উল্লেখ্য, এদিন বেলা বারোটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত অর্পিতাকে আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারের জেল সুপারের অফিসের একটি ঘরে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডির তদন্তকারী অফিসাররা। মাঝে শুধুমাত্র দুপুরবেলা খাওয়ার জন্য অর্পিতাকে ৩০ মিনিটের জন্য ছাড়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি ইডির অফিসারদের কাছে স্বীকার করেছেন অর্পিতা। কিন্তু তিনি নগদ টাকা ও নথির বিষয়ে কিছুই জানতেন না বলে জানিয়েছেন। অর্পিতার দাবি, ‘পার্থবাবু মাঝেমধ্যেই আমার ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাটে আসতেন। এছাড়াও অন্যান্য সময় বহু জায়গায় দেখা হত। তবে বেশিরভাগ সময়ই আমাকে দলীয় অফিসে যেতে বলতেন উনি। তখন আশেপাশে কোনও কর্মী কিংবা সাধারণ লোকজন থাকত না। এমনকি গাড়িতে চেপে বিভিন্ন জায়গায় দুজন বেড়াতেও যেতাম।’
তবে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় এসএসসি ও টেট দুর্নীতিতে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করেছেন। সূত্রের খবর, ইডির তদন্তকারী অফিসাররা এমনটাই দাবি করেছেন। তবে এর পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন যে এই দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িত, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন অর্পিতা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার অর্পিতাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে ইডির হাতে। পার্থ-সহ একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি সরকারি চাকরিতে যে দুর্নীতি করেছেন, সরকারি চাকরি বিক্রি করে টাকা লুট করেছেন, সেই তথ্যই উঠে এসেছে বলে সূত্রের দাবি।
