দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ডান পায়ের রগ কেটে এবং জবাই করে কিশোর রিসান হত্যা মামলার মূল আসামি স্বাধীন উদ্দিনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৩। গতকাল রোববার ঘটনা ঘটার ২৪ ঘন্টার মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন জায়গা হতে তাদেরকে গ্রেপ্তার ও হত্যার রহস্য উদঘাটন করে র্যাব।
সোমবার ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে র্যাব-১৩ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সৈয়দ মইদুল ইসলাম।
গ্রেপ্তার স্বাধীন উদ্দীন দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার কশিগাড়ী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি একজন পানের দোকানদার। গ্রেপ্তার আরোও দুজন কিশোর বয়সী হওয়ায় তাদের পরিচয় প্রকাশ করেনি র্যাব-১৩।
সংবাদ সম্মেলনে মেজর সৈয়দ মইদুল ইসলাম জানান, প্রায় ১০ মাস আগে নিহত রিসান প্রতি মাসে সুদের বিনিময়ে স্বাধীন উদ্দীনের কাছে টাকা ধার নেয়। তিন মাস সুদের টাকা নিয়মিত পরিশোধ করলেও, পরে সুদের টাকা দিতে ব্যর্থ হয় কিশোর রিসান। এ নিয়ে তাদের দুজনের মাঝে ঝগড়া শুরু হয়। এছাড়াও কিশোর রিসান হোটেলে কাজ করে মায়ের কাছে ২০ হাজার টাকা জমা করেছিল। যা ঘাতক স্বাধীন কোনোভেবে জেনে যায়। এর জের ধরে গত ২৭ তারিখ ঘাতক স্বাধীন উদ্দীনসহ তার আরো দুই সহযোগীকে নিয়ে রিসানকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৮ তারিখ রাত ১০টায় ঘাতক স্বাধীন উদ্দীন তার অপর দুই সহযোগীর মাধ্যমে রিসানকে রানীগঞ্জ গোহাটির পেছনে সাপ্তাহিক খাবারের হোটেলে নিয়ে যায়। এরপর স্বাধীন উদ্দীন তার পানের দোকান বন্ধ করে ওই হোটেলে যায় এবং পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ার এক পর্যায়ে নিজের কাছে থাকা একটি চাকু দিয়ে রিসানের গলা কেটে দেয়। পরে অপর কিশোর তার নিজের কাছে থাকা আরেকটি চাকু দিয়ে রিসানের পায়ের রগ কেটে তাকে হত্যা করে তারা পালিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জানুয়ারি দুপুরে ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ গোহাটির পেছনে একটি হোটেলের ভেতর থেকে কিশোর রিসানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একই দিন নিহত রিসানের মা বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করে। নিহত রিসান রানীগঞ্জ আলহেরা স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল। পাশাপাশি হোটেল বয়ের কাজ করতো সে।
রাজশাহীর সময় / এফ কে