পাসওয়ার্ড না থাকায় ভাঙা হয়েছে ইভ্যালির লকার। তাতে টাকা পয়সা দামি স্বর্ণালংকার কিছুই পাওয়া যায়নি, তবে মিলেছে বিভিন্ন ব্যাংকের শতাধিক চেক বই।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ৩টার সময় ধানমন্ডিতে ইভ্যালির প্রধান কার্যালয়ের তৃতীয় তলায়, লকার মিস্ত্রির সহায়তায় লকারটি ভাঙা শুরু হয়। প্রায় ৩৫ মিনিটের চেষ্টায় ভাঙা সম্ভব হয় লকারটি।
এর আগে, সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে ধানমন্ডির ইভ্যালির কার্যালয়ে এসেছেন পরিচালনা পর্ষদ কমিটির চেয়ারম্যান আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসফিয়া সিরাত। সেই সঙ্গে পুলিশের ধানমন্ডি থানার একটি দলও উপস্থিত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রতারণাসহ নানা অভিযোগে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। তারা দু'জন এখনো কারাগারে। অন্যদিকে, ইভ্যালির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে গত বছরের ১৮ অক্টোবর হাইকোর্ট এক রিটের শুনানি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে গ্রাহকের পাওনা পরিশোধসহ এর কার্যক্রম চালুর বিষয়ে পাঁচ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দেন। বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে চেয়ারম্যান করে গঠিত এই পর্ষদে সদস্য হিসেবে আছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. রেজাউল আহসান, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলনকে করা হয়েছে ইতালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
রাজশাহীর সময় /এএইচ