কলকাতায় ফের এক উঠতি মডেলের রহস্যমৃত্যু। বাঁশদ্রোণী এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রবিবার। এক বন্ধুর সঙ্গে তিনি বাঁশদ্রোণী এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন বলেন খবর। শনিবার রাতে পূজা সরকার নামে ওই মডেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর সঙ্গীকে জেরা করছে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায়শই পূজা এবং তাঁর সঙ্গীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি-অশান্তি হত। প্রতিবেশীরা অনেক সময় সেই অশান্তির শব্দ পেতেন। শনিবার রাতে রহস্যমৃত্যুর আগে কোনও ভাবে সঙ্গীর সঙ্গে ঝগড়া-অশান্তি হয়েছিল কি না তা তদন্ত করছে পুলিশ। পাশাপাশি তরুণী মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, পূজা উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার বাসিন্দা। বয়স ছিল ১৯ বছর। মাস ছয়েক আগে বন্ধুর সঙ্গে বাঁশদ্রোণীতে ফ্ল্যাট ভাড়া নেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ফ্ল্যাটে আরও দুজন তরুণ-তরুণী থাকতেন। সবাই মিলে ফ্ল্যাটটিতে থাকতেন। অনেক সময় রাত করে বাড়ি ফিরতেন পূজা। অনেক রাতে ফ্ল্যাট থেকে ঝগড়াঝাটির আওয়াজ পেতেন প্রতিবেশীরা।
এইভাবে অশান্তি গাসয়ে গিয়েছিল পড়শিদের। খুব একটা মাথা ঘামাতেন না তাঁরা। শনিবার রাতে পূজার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ার পর ঘটনাস্থলে যায় বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ। তাঁর সঙ্গীকে জেরা করা হয়। মৃত্যুর সময় সঙ্গী ফ্ল্যাটেই মজুত ছিলেন। তিনি কেন কিছু টের পেলেন না তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। এটি আত্মহত্যা নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে তার তদন্ত চলছে।
গোবরডাঙা হিন্দু কলেজের ছাত্রী ছিলেন পূজা। পড়াশোনার পাশাপাশি মডেলিংও করতেন। ফ্ল্যাট মালিকের দাবি, এক বন্ধুর সঙ্গে মিলে একতলার ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন পূজা। কিন্তু মালিকের দাবি নস্যাৎ করেছেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, ফ্ল্যাটে আরও দুই তরুণ-তরুণী থাকতেন। গভীর রাতে রোজই প্রায় ফ্ল্যাটের ভিতর ঝগড়া-অশান্তি হত বলে দাবি তাঁদের।